কর্মসংস্থান ব্যাংক বাংলাদেশের বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ঋণ সুবিধা প্রদান করে। এই ঋণের মাধ্যমে আপনি নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে বা existing ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবেন।
কেন কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন?
- স্বল্প সুদ: অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের তুলনায় কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুদহার সাধারণত কম।
- জামানত ছাড়া ঋণ: অনেক ক্ষেত্রে জামানাত ছাড়াই ঋণ পাওয়া যায়।
- সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা: সরকারি একটি ব্যাংক হওয়ায় এই ব্যাংকের ঋণ নেওয়া নিরাপদ।
লোন পাওয়ার যোগ্যতা
- বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে।
- বেকার বা অর্ধ বেকার হতে হবে।
- নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
- প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে (যদি প্রয়োজন হয়)।
- আবেদনকারীর বয়স সাধারণত ১৮-৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
লোন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- ঠিকানার প্রমাণ
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- প্রশিক্ষণ সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)
- ব্যবসা পরিকল্পনা
লোন পাওয়ার পদ্ধতি
- আবেদন: কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখায় গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- দলিল যাচাই: ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার দেওয়া দলিলপত্র যাচাই করবে।
- সাক্ষাৎকার: ক্ষেত্রবিশেষে আপনাকে সাক্ষাৎকারে ডাকা হতে পারে।
- ঋণ অনুমোদন: যদি আপনি যোগ্য বলে বিবেচিত হন, তাহলে আপনার আবেদন অনুমোদিত হবে।
- ঋণ সংগ্রহ: ঋণ অনুমোদন হওয়ার পর আপনি ঋণের টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংকের বিভিন্ন ঋণ স্কিম
- বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ: বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মনির্ভরশীল করার জন্য এই ঋণ স্কিমটি চালু করা হয়েছে।
- কৃষি ঋণ: কৃষি খাতে কাজ করার জন্য এই ঋণ পাওয়া যায়।
- শিল্প-কারখানা ঋণ: ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপনের জন্য এই ঋণ পাওয়া যায়।
- সেবা খাতের ঋণ: সেবা খাতে কাজ করার জন্য এই ঋণ পাওয়া যায়।