খালিদ হাসান মিলু ১৯৬০ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার আদর্শপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন সঙ্গীতশিল্পী এবং মা ছিলেন গৃহিণী। মিলুর তিন ভাই এবং দুই বোন ছিল।
মিলু তার শৈশব থেকেই সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি তার বাবার কাছ থেকে সঙ্গীত শিক্ষা নেন। ১৯৮০ সালে তিনি তার প্রথম অ্যালবাম “ওগো প্রিয় বান্ধবী” প্রকাশ করেন। এরপর তিনি একক এবং দ্বৈত মিলিয়ে মোট ১২টি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। তিনি প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন।
মিলু ১৯৮৫ সালে তার প্রথম স্ত্রী শেফালীকে বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ১৯৯৭ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ২০০৩ সালে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী শামীমাকে বিয়ে করেন।
মিলু ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ ঢাকার মনোয়ারা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মিলু একজন সফল সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। তিনি তার কণ্ঠের মাধুর্যে হাজারো মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। তার মৃত্যু আজও সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য এক অশ্রুবিন্দু।
মিলু ব্যক্তিগত জীবনে একজন বন্ধুসুলভ এবং সহায়ক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তার সঙ্গীতের মাধ্যমে মানুষের মনে ভালোবাসা এবং প্রেরণা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি তার কর্মজীবনের মাধ্যমে বাংলা সঙ্গীতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন।
মিলু সম্পর্কে কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য:
- তিনি ১৯৬০ সালের ৬ এপ্রিল পিরোজপুর জেলার আদর্শপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তার বাবা ছিলেন একজন সঙ্গীতশিল্পী।
- তিনি ১৯৮০ সালে তার প্রথম অ্যালবাম “ওগো প্রিয় বান্ধবী” প্রকাশ করেন।
- তিনি প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন।
- তিনি ২০০৩ সালে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শামীমাকে বিয়ে করেন।
- তিনি ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ ঢাকার মনোয়ারা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
খালিদ হাসান মিলু মৃত্যু
খালিদ হাসান মিলু ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ ঢাকার মনোয়ারা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর কারণ ছিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ।
মিলু ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু ২০০৪ সালে তিনি আবারও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। এসময় তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যান। তবে চিকিৎসার পরও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি।
২০০৫ সালের ২৩ মার্চ মিলু আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ঢাকার মনোয়ারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ রাত ১২টা ১০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মিলু’র মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি একজন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন এবং তার মৃত্যু সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য এক অশ্রুবিন্দু।
মিলু’র মৃত্যুর পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ করা হয় যে, মিলুকে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মিলু’র মৃত্যু আজও সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য এক বেদনা। তিনি তার কণ্ঠের মাধুর্যে হাজারো মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। তার মৃত্যু বাংলা সঙ্গীতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
সঙ্গীত জীবন
খালিদ হাসান মিলু ছিলেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী। তিনি ১৯৮০ সালের প্রথমার্ধে তার সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। মিলুর প্রকাশিত একক এ্যালবাম সংখ্যা ১২টি এবং মিশ্র ও দ্বৈত এ্যালবাম সংখ্যা প্রায় ১২০টি। তিনি প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রে কণ্ঠে দিয়েছেন। তিনি সর্বমোট প্রায় ১৫০০-এর মতো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
মিলু ১৯৬০ সালের ৬ এপ্রিল পিরোজপুর জেলার আদর্শপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আব্দুল হাসান ছিলেন একজন সঙ্গীতশিল্পী। মিলু ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি তার বাবার কাছে সঙ্গীতের তালিম নেন।
মিলু ১৯৮০ সালে তার প্রথম একক এ্যালবাম “ওগো প্রিয় বান্ধবী” প্রকাশ করেন। এ্যালবামটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর তিনি আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় এ্যালবাম প্রকাশ করেন। তার উল্লেখযোগ্য এ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে “আহত হৃদয়”, “শেষ খেয়া”, “নীলা”, “শেষ ভালোবাসা”, “মানুষ”, “অচিন পাখী” ও “আমি একা বড় একা”।
মিলু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের গানের মধ্যে রয়েছে “হৃদয় থেকে হৃদয়”, “কে তুমি”, “অনেক সাধনার পরে”, “কতদিন দেহি না মায়ের মুখ”, “নিশিতে যাইও ফুলবনে”, “যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে”, “যে নদী মরুর পথে পথটি হারাল” ইত্যাদি।
মিলু ১৯৯৪ সালে “হৃদয় থেকে হৃদয়” চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
মিলু ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মিলু বাংলা সঙ্গীতের একজন কিংবদন্তি শিল্পী। তার কণ্ঠের মাধুর্যে তিনি হাজারো মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। তার মৃত্যু বাংলা সঙ্গীতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
মিলু’র উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- “অনেক সাধনার পরে” (হৃদয় থেকে হৃদয়)
- “কতদিন দেহি না মায়ের মুখ” (অনেক সাধনার পরে)
- “নিশিতে যাইও ফুলবনে” (নীলা)
- “যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে” (হৃদয় থেকে হৃদয়)
- “যে নদী মরুর পথে পথটি হারাল” (অনেক সাধনার পরে)
- “তুমি আমার হৃদয়ে যদি থাকো” (মানুষ)
- “পৃথিবীকে ভালোবেসে সুরে সুরে কাছে এসে” (আমি একা বড় একা)
- “শোনো শোনো ও প্রিয়া প্রিয়া গো” (অচিন পাখী)
- “যে নদী মরুর পথে পথটি হারাল” (অনেক সাধনার পরে)
মিলু’র গানের মাধ্যমে তিনি বাংলা সঙ্গীতের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছিলেন। তার গানগুলো আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে।
প্রকাশিত এ্যালবাম
খালিদ হাসান মিলু ১২টি একক এ্যালবাম এবং প্রায় ১২০টি মিশ্র ও দ্বৈত এ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য একক এ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ওগো প্রিয় বান্ধবী (১৯৮০)
- আহত হৃদয় (১৯৮২)
- শেষ খেয়া (১৯৮৩)
- নীলা (১৯৮৫)
- শেষ ভালোবাসা (১৯৮৬)
- মানুষ (১৯৮৭)
- অচিন পাখী (১৯৯০)
- আমি একা বড় একা (১৯৯২)
তার উল্লেখযোগ্য মিশ্র ও দ্বৈত এ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- মিলু ও মুন্নি (১৯৮২)
- মিলু ও সাবিনা (১৯৮৩)
- মিলু ও রুবি (১৯৮৪)
- মিলু ও ফেরদৌসী রহমান (১৯৮৫)
- মিলু ও হুমায়ুন আহমেদ (১৯৮৬)
- মিলু ও আবিদা সুলতানা (১৯৮৭)
- মিলু ও চম্পা (১৯৮৮)
- মিলু ও রুনা লায়লা (১৯৮৯)
- মিলু ও শবনম (১৯৯০)
- মিলু ও কবিতা (১৯৯১)
- মিলু ও মৌসুমী (১৯৯২)
- মিলু ও শাবনাজ (১৯৯৩)
- মিলু ও মমতাজ (১৯৯৪)
- মিলু ও সাবিনা ইয়াসমিন (১৯৯৫)
- মিলু ও রুমানা আহমেদ (১৯৯৬)
মিলু তার সঙ্গীত জীবনে প্রায় ১৫০০-এর মতো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের গানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- “অনেক সাধনার পরে” (হৃদয় থেকে হৃদয়)
- “কতদিন দেহি না মায়ের মুখ” (অনেক সাধনার পরে)
- “নিশিতে যাইও ফুলবনে” (নীলা)
- “যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে” (হৃদয় থেকে হৃদয়)
- “যে নদী মরুর পথে পথটি হারাল” (অনেক সাধনার পরে)
- “তুমি আমার হৃদয়ে যদি থাকো” (মানুষ)
- “পৃথিবীকে ভালোবেসে সুরে সুরে কাছে এসে” (আমি একা বড় একা)
- “শোনো শোনো ও প্রিয়া প্রিয়া গো” (অচিন পাখী)
- “যে নদী মরুর পথে পথটি হারাল” (অনেক সাধনার পরে)
মিলু বাংলা সঙ্গীতের একজন কিংবদন্তি শিল্পী। তার কণ্ঠের মাধুর্যে তিনি হাজারো মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। তার মৃত্যু বাংলা সঙ্গীতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।