মাদার তেরেসা একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাত্রী ছিলেন যিনি কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সংস্থাটি দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ এবং মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করে। মাদার তেরেসার এই কাজের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত এবং সম্মানিত হয়েছেন।
মাদার তেরেসা বিখ্যাত কারণ তিনি:
- দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সেবা করার জন্য তার অসাধারণ নিষ্ঠার জন্য। তিনি তার জীবনের ৪৫ বছর দারিদ্র্য, অসুস্থতা এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াই করে কাটিয়েছেন। তিনি কলকাতার রাস্তায় অসহায় মানুষদের সাহায্য করতেন, যারা অসুস্থ, ক্ষুধার্ত বা আশ্রয়হীন ছিল। তিনি কুষ্ঠরোগীদের জন্য হাসপাতাল, এতিমদের জন্য হোম এবং মৃত্যুপথযাত্রীদের জন্য আশ্রয় তৈরি করেছিলেন।
- তার অসামান্য ব্যক্তিত্বের জন্য। তিনি একজন দয়ালু, সহানুভূতিশীল এবং নিঃস্বার্থ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সবসময় অন্যদের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তার কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং অন্যান্য অনেক পুরস্কার পেয়েছিলেন।
- তার বিশ্বব্যাপী প্রভাবের জন্য। তার কাজ বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি দারিদ্র্য, অসুস্থতা এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি আন্দোলন শুরু করেছিলেন।
মাদার তেরেসার কাজ আজও অব্যাহত রয়েছে। মিশনারিজ অফ চ্যারিটি বিশ্বের 130 টিরও বেশি দেশে কাজ করে। এই সংস্থাটি দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ এবং মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করে। মাদার তেরেসার কাজ একটি অনুপ্রেরণা এবং আমাদের সবাইকে অন্যদের সাহায্যের জন্য উৎসাহিত করে।
মাদার তেরেসা কোন দেশের নাগরিক ছিলেন
মাদার তেরেসা ছিলেন একজন আলবেনীয় বংশোদ্ভূত ভারতীয় নাগরিক। তিনি ১৯১০ সালে আলবেনিয়ার স্কোপজেতে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের নাম ছিল অ্যাগনেস গঙ্জা বোজাজিও। ১৯২৮ সালে তিনি রোমান ক্যাথলিক ধর্মে দীক্ষিত হন এবং মেরি তেরেসা নাম গ্রহণ করেন।
১৯৩১ সালে তিনি কলকাতায় যান এবং মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
মাদার তেরেসার মৃত্যুর পর ২০০৩ সালে তাকে রোমান ক্যাথলিক চার্চ দ্বারা সন্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
মাদার তেরেসা কোথায় শিক্ষকতা করতেন?
মাদার তেরেসা কলকাতার সেন্ট মেরিজ স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তিনি ১৯২৯ সালে থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা, এবং ধর্মশিক্ষা পড়াতেন।
মাদার তেরেসা ১৯২৮ সালে লরেটো মিশনারি প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ভারতে আসেন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১৯২৯ সালে সেন্ট মেরিজ স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি এই স্কুলে ১৭ বছর ধরে শিক্ষকতা করেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি মাদার তেরেসা কলকাতার দারিদ্র্য এবং অসুস্থতার দিকেও মনোনিবেশ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থাটি দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ এবং মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করে।
কোন অলৌকিক ক্ষমতার জন্য সন্ত হয়েছিলেন মাদার তেরেসা
মাদার তেরেসা দুইটি অলৌকিক ক্ষমের জন্য সন্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম অলৌকিক ক্ষমতাটি ঘটেছিল ১৯৯৮ সালে। একজন ভারতীয় মহিলাকে একটি দুরারোগ্য রোগ থেকে নিরাময় করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় অলৌকিক ক্ষমতাটি ঘটেছিল ২০০৮ সালে। একজন ব্রাজিলিয়ান মহিলাকে একটি দুরারোগ্য মস্তিষ্কের অসুখে আক্রান্ত অবস্থা থেকে নিরাময় করা হয়েছিল।
প্রথম অলৌকিক ক্ষমতাটি ছিল কলকাতার একটি আশ্রমে বসবাসকারী একজন ভারতীয় মহিলাকে একটি দুরারোগ্য রোগ থেকে নিরাময় করা। মহিলাটির নাম ছিল গঙ্গা মণি দেবী।
তিনি ১৯৯৬ সালে একটি টিউমারে আক্রান্ত হন এবং তাকে নিরাময়ের জন্য কোন চিকিৎসা ছিল না। মাদার তেরেসার আশীর্বাদে তিনি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
দ্বিতীয় অলৌকিক ক্ষমতাটি ছিল ব্রাজিলিয়ান শহর রিও ডি জেনিরোতে বসবাসকারী একজন ব্রাজিলিয়ান মহিলার একটি দুরারোগ্য মস্তিষ্কের অসুখে আক্রান্ত অবস্থা থেকে নিরাময়। মহিলাটির নাম ছিল মার্সেলিনো দা সিলভা।
তিনি ২০০৩ সালে একটি মস্তিষ্কের টিউমারে আক্রান্ত হন এবং তাকে নিরাময়ের জন্য কোন চিকিৎসা ছিল না। মাদার তেরেসার আশীর্বাদে তিনি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এই দুইটি অলৌকিক ক্ষমতার স্বীকৃতি দেওয়ার পর, ২০১৬ সালে মাদার তেরেসাকে রোমান ক্যাথলিক চার্চ দ্বারা সন্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
মাদার তেরেসার পুরো নাম কি
মাদার তেরেসার পুরো নাম ছিল মেরি টেরিজা বোজাঝিউ। তিনি ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট আলবেনিয়ার স্কোপিয়েতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২৮ সালে রোমান ক্যাথলিক ধর্মে দীক্ষিত হন এবং মেরি তেরেসা নাম গ্রহণ করেন।
তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় দারিদ্র্য, অসুস্থতা এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নিবেদিত ছিলেন। তিনি কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ এবং মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করে।
মাদার তেরেসার জন্মের নাম ছিল অ্যাগনিস গঞ্জা বোজাঝিউ। তিনি ১৯২৮ সালে ভারতে আসেন এবং লরেটো মিশনারি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১৯২৯ সালে কলকাতার সেন্ট মেরিজ স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি মিশনারিজ অফ চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা করেন।
মাদার তেরেসার কাজের জন্য তাকে বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত এবং সম্মানিত হয়েছেন। তিনি ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। ২০০৩ সালে তিনি রোমান ক্যাথলিক চার্চ দ্বারা সন্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
মাদার তেরেসা কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেন
মাদার তেরেসা ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইউস্কুবে (অধুনা উত্তর মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কোপিয়ে) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আলবেনীয় বংশোদ্ভূত ছিলেন। ১৯৩৭ সালে তিনি ভারতে যান এবং ১৯৪৭ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
সুতরাং, মাদার তেরেসা আলবেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে, তিনি ভারতের নাগরিক ছিলেন।
মাদার তেরেসা কত সালে মৃত্যুবরণ করেন
তাঁর মৃত্যুর পর, তিনি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হন এবং ২০০৩ সালে তাকে রোমান ক্যাথলিক চার্চ দ্বারা সন্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
মাদার তেরেসা কত সালে নোবেল পুরস্কার পান
মাদার তেরেসা ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি ছিলেন একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাত্রী যিনি কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সংস্থাটি দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ এবং মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করে।
মাদার তেরেসার কাজের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত এবং সম্মানিত হয়েছেন। তিনি তার কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং অন্যান্য অনেক পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মাদার তেরেসার পুরস্কার প্রাপ্তির কারণ ছিল তার নিঃস্বার্থ সেবা এবং দারিদ্র্য, অসুস্থতা এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তার অসামান্য নিষ্ঠা।
মাদার তেরেসা কোন ধর্মের
তিনি কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ এবং মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করে।
মাদার তেরেসার কাজের জন্য তাকে বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত এবং সম্মানিত হয়েছেন। তিনি তার কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং অন্যান্য অনেক পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মাদার তেরেসা সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
মাদার তেরেসা সম্পর্কে ১০ টি বাক্য:
- মাদার তেরেসা ছিলেন একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাত্রী।
- তিনি ১৯১০ সালে আলবেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতায় যান এবং মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
- এই সংস্থাটি দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ এবং মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করে।
- মাদার তেরেসার কাজের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত এবং সম্মানিত হয়েছেন।
- তিনি ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
- ২০০৩ সালে তিনি রোমান ক্যাথলিক চার্চ দ্বারা সন্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
- তিনি একজন দয়ালু, সহানুভূতিশীল এবং নিঃস্বার্থ ব্যক্তি ছিলেন।
- তিনি বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
আরও কিছু বাক্য:
- মাদার তেরেসার কাজ দারিদ্র্য, অসুস্থতা এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে একটি অসামান্য অবদান ছিল।
- তিনি একজন সত্যিকারের মানবতার দূত ছিলেন।
- তার কাজ আমাদের সবাইকে অন্যদের সাহায্যের জন্য উৎসাহিত করে।