ড মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ কে ছিলেন
শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা, সংস্কৃত, এবং ইংরেজিতে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন এবং ১৯১৭ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
শহীদুল্লাহ ছিলেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একজন অগ্রপথিক। তিনি বাংলা ভাষার ইতিহাস, ব্যাকরণ, এবং শব্দভাণ্ডার নিয়ে গবেষণা করেন এবং বাংলা ভাষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
তিনি বাংলা ভাষার আদর্শ বানান প্রণয়ন করেন এবং বাংলা ভাষার জন্য একটি নতুন ব্যাকরণ রচনা করেন।
শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন দক্ষ শিক্ষক। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্রদের মধ্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ জাগ্রত করেন।
শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন সমাজসেবক। তিনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলা একাডেমি, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন।
শহীদুল্লাহ ১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পাশে সমাহিত করা হয়।
শহীদুল্লাহর উল্লেখযোগ্য অবদানগুলির মধ্যে রয়েছে:
- বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যাকরণ নিয়ে গবেষণা
- বাংলা ভাষার আদর্শ বানান প্রণয়ন
- বাংলা ভাষার জন্য একটি নতুন ব্যাকরণ রচনা
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নে অবদান
- সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান
শহীদুল্লাহকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য “বাংলা ভাষার জনক” হিসেবে অভিহিত করা হয়।
ড মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এর উক্তি
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন বিখ্যাত ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, লোকবিজ্ঞানী, গবেষক, অনুবাদক, পাঠক সমালোচক, সৃষ্টিধর্মী সাহিত্যিক, কবি এবং ভাষাসংগ্রামী।
তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তার উক্তিগুলো বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধের প্রতিফলন।
ভাষা ও সাহিত্য
- “ভাষা মানুষের মনের কথা প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম।”
- “ভাষার মাধ্যমেই মানুষের চেতনা বিকাশ লাভ করে।”
- “ভাষা হলো একটি জাতির প্রাণশক্তি।”
- “ভাষার মাধ্যমেই একটি জাতি তার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখে।”
- “সাহিত্য হলো মানুষের মনের প্রকাশ।”
- “সাহিত্য মানুষের হৃদয়ের কথা বলে।”
- “সাহিত্য মানুষের জীবনকে আলোকিত করে।”
জাতিসত্তা ও স্বাধীনতা
- “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালি।”
- “বাংলা ভাষা ও সাহিত্য আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়।”
- “বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মাধ্যমেই আমাদের জাতিসত্তা বিকাশ লাভ করবে।”
- “স্বাধীনতা ছাড়া জাতি বা রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নেই।”
- “বাংলা ভাষার জন্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম।”
- “বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মাধ্যমেই আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে পারব।”
জীবন ও সমাজ
- “জীবন হলো একটি অভিযান।”
- “জীবনে সব কিছুই অর্জন করা যায়, তবে পরিশ্রমের মাধ্যমে।”
- “সমাজের উন্নতি মানুষের চেতনার উন্নতির উপর নির্ভর করে।”
- “মানুষের জীবনকে আলোকিত করতে হলে তাকে সত্যের পথে চলতে হবে।”
- “মানুষের জীবনকে সুন্দর করতে হলে তাকে ভালোবাসতে হবে।”
- “মানুষের জীবনকে অর্থপূর্ণ করতে হলে তাকে মানুষের সেবা করতে হবে।”
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহের উক্তিগুলো বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, জাতি ও সমাজ, জীবন ও মানবতা সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রসারিত করে। তার উক্তিগুলো আমাদেরকে একজন সচেতন ও জ্ঞানবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্ম
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্ম ১০ জুলাই ১৮৮৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অবিভক্ত চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে। তার পিতার নাম মুহম্মদ আব্দুল লতিফ এবং মায়ের নাম জোহরা খাতুন। তিনি ১৩ জুলাই ১৯৬৯ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন বিখ্যাত ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, লোকবিজ্ঞানী, গবেষক, অনুবাদক, পাঠক সমালোচক, সৃষ্টিধর্মী সাহিত্যিক, কবি এবং ভাষাসংগ্রামী। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
তিনি বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, শব্দকোষ, ইতিহাস, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উপর গবেষণা করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্মবার্ষিকী বাংলাদেশে ভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।