শালবন বিহার কত সালে নির্মিত হয়?

শালবন বিহার কি নামে পরিচিত?

শালবন বিহারকে ময়নামতি বিহার নামেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ময়নামতিতে অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। এটি খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব নির্মাণ করেন। শালবন বিহারটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও আকারে ছোট।

শালবন বিহারের আশপাশে এক সময় শাল-গজারির ঘন বন ছিল বলে এ বিহারটির নামকরণ হয়েছিল শালবন বিহার। এর সন্নিহিত গ্রামটির নাম শালবনপুর। এখনো ছোট একটি বন আছে সেখানে।

শালবন বিহারটি ছয়টি নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ পর্বের কথা জানা যায়। খৃস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় মন্দিরটি নির্মাণ করা হয় ও বিহারটির সার্বিক সংস্কার হয় বলে অনুমান করা হয়। চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের নির্মাণকাজ ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয় নবম-দশম শতাব্দীতে।

শালবন বিহারটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি বাংলাদেশের বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

শালবন বিহার কোথায় অবস্থিত

শালবন বিহারের অবস্থানের সঠিক স্থান হল:

  • ভৌগোলিক অবস্থান: ২৩°১৮′২৪″ উত্তর, ৯১°৩৬′৪৮″ পূর্ব
  • ডাক কোড: ৫৫০০
  • পোস্ট অফিস: ময়নামতি
  • থানা: ময়নামতি
  • জেলা: কুমিল্লা

শালবন বিহারটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি প্রাচীন বাংলার স্থাপত্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন।

শালবন বিহার’ কোন রাজবংশের কীর্তি

শালবন বিহারটি দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব নির্মাণ করেন। ধারণা করা হয় যে খৃস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি এ বিহারটি নির্মাণ করেন।

শালবন বিহারের ছয়টি নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ পর্বের কথা জানা যায়। খৃস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় মন্দিরটি নির্মাণ করা হয় ও বিহারটির সার্বিক সংস্কার হয় বলে অনুমান করা হয়। চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের নির্মাণকাজ ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয় নবম-দশম শতাব্দীতে।

সুতরাং, শালবন বিহারটি দেববংশের কীর্তি।

শালবন বিহার কে তৈরী করেন?

শালবন বিহার নির্মাণ করেন দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব। তিনি খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে এই বিহারটি নির্মাণ করেন।
শালবন বিহারের ছয়টি নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ পর্বের কথা জানা যায়। খৃস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় মন্দিরটি নির্মাণ করা হয় ও বিহারটির সার্বিক সংস্কার হয় বলে অনুমান করা হয়। চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের নির্মাণকাজ ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয় নবম-দশম শতাব্দীতে।

শালবন বিহারের পূর্ব নাম ছিল “বুদ্ধমন্দির”। এটি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার লালমাই ময়নামতি প্রত্নস্থলে অবস্থিত। এটি একটি বৌদ্ধ বিহার হলেও হিন্দুদেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান ছিল।

ফুলে ফুলে সেজেছে শালবন বিহার

শালবন বিহারটি ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফুলে ফুলে সেজে উঠে। ময়নামতি জাদুঘরের উদ্যোগে বিহারের আশপাশে বিভিন্ন জাতের ফুলের চারা লাগানো হয়। এতে বিহারের সৌন্দর্য বহুগুণে বেড়ে যায়।

শালবন বিহার ফুলে ফুলে সেজেছে

বিহারের প্রাচীন ইট-পাথরের স্থাপত্যের সাথে রঙিন ফুলের মিশ্রণ দর্শকদের মুগ্ধ করে। ফুলের দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন বিহারটি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে।

প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন শালবন বৌদ্ধ বিহার

শালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন। এটি কুমিল্লা জেলার ময়নামতিতে অবস্থিত। বিহারটি একটি বিশাল আয়তকার ইটের স্থাপনা। এর দৈর্ঘ্য ১৬৭.৭ মিটার এবং প্রস্থ ১২২.৫ মিটার। বিহারের চারপাশে একটি প্রশস্ত প্রাচীর রয়েছে। প্রাচীরের ভেতরে রয়েছে ১৫৫টি কক্ষ। কক্ষগুলোর মধ্যে একটি কক্ষ ছিল কেন্দ্রীয় মন্দির। মন্দিরটিতে একটি বুদ্ধমূর্তি ছিল।

শালবন বৌদ্ধ বিহারটি খ্রিস্টীয় সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। এটি দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব নির্মাণ করেন। বিহারটি প্রাচীন বাংলার স্থাপত্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন।

শালবন বৌদ্ধ বিহার

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *