হাসান সাব্বাহ কে? তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন কি?

কে এই হাসান বিন সাব্বাহ?

হাসান বিন সাব্বাহ (১০৫০-১১২৪) ছিলেন একজন নিজারি ইসমাইলি ব্যক্তিত্ব। তিনি উত্তর পারস্যের আলবুরজ পর্বতমালায় একটি গোষ্ঠীকে তিনি তার পক্ষাবলম্বন করাতে সক্ষম হন।

পরে তিনি আলামুত নামে পরিচিত একটি পর্বত দুর্গ অধিকার করেন এবং সেলজুক তুর্কিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের জন্য এটিকে সদরদপ্তর হিসেবে ব্যবহার করেন। তিনি একটি ফেদাইন গোষ্ঠী গঠন করেন। এর সদস্যদের হাশাশিন বা “এসাসিন” বলেও উল্লেখ করা হয়।

হাসান সাব্বাহর জন্ম ইরানের রিশান শহরে। তিনি ইসমাইলী মতবাদে দীক্ষিত হন এবং তৎকালীন ইসমাইলী ইমাম আল-মুনতাসির এর আনুগত্যের শপথ করেন।

আল মুনতাছির ছিলেন সে সময়ের ফাতিমিয় খলিফা। হাসান সাব্বাহ তার জ্ঞান ও কাজের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন ও খলিফার তাকে কাজে নিযুক্ত করেন।

১০৯০ সালে হাসান সাব্বাহ আলামুত দুর্গ দখল করেন। এই দুর্গটি ছিল উত্তর পারস্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ strategic location। হাসান সাব্বাহ এই দুর্গটিকে তার নিজারি ইসমাইলি রাজ্যের সদরদপ্তর হিসেবে ব্যবহার করেন।

তিনি তার অনুসারীদেরকে একটি সুসংগঠিত গোষ্ঠীতে পরিণত করেন এবং তাদেরকে সেলজুক তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রশিক্ষণ দেন।

হাসান সাব্বাহর অনুসারীদেরকে হাশাশিন বা “এসাসিন” বলা হয়। এই নামটি এসেছে আরবি “হাসসাসিন” শব্দ থেকে, যার অর্থ “হত্যার পেশাদার।” হাশাশিনরা ছিল অত্যন্ত দক্ষ গুপ্তঘাতক।

তারা তাদের লক্ষ্যবস্তুকে হত্যা করার জন্য যেকোনো উপায় অবলম্বন করতে দ্বিধা করত না।

হাসান সাব্বাহর নেতৃত্বে হাশাশিনরা সেলজুক তুর্কিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করে। তারা সেলজুক তুর্কিদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডগুলি সেলজুক সাম্রাজ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

হাসান সাব্বাহর মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা আলামুত দুর্গটি নিয়ন্ত্রণ করে। তারা ১২৫৬ সালে মঙ্গোলদের আক্রমণে পরাজিত হয় এবং দুর্গটি ধ্বংস হয়ে যায়।

হাসান সাব্বাহ একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাকে একজন ধর্মীয় নেতা, একজন রাজনীতিবিদ এবং একজন গুপ্তঘাতক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তিনি তার সময়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং তার কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

হাসান সাব্বাহর কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল:

  • ১০৯০ সালে তিনি আলামুত দুর্গ দখল করেন।
  • তিনি তার অনুসারীদেরকে একটি সুসংগঠিত গোষ্ঠীতে পরিণত করেন এবং তাদেরকে সেলজুক তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রশিক্ষণ দেন।
  • হাশাশিনরা ছিল অত্যন্ত দক্ষ গুপ্তঘাতক। তারা তাদের লক্ষ্যবস্তুকে হত্যা করার জন্য যেকোনো উপায় অবলম্বন করতে দ্বিধা করত না।
  • হাসান সাব্বাহর নেতৃত্বে হাশাশিনরা সেলজুক তুর্কিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করে।
  • হাসান সাব্বাহর মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা আলামুত দুর্গটি নিয়ন্ত্রণ করে।

হাসান সাব্বাহর জীবন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেকগুলি বই এবং নিবন্ধ লেখা হয়েছে। তিনি একটি রোমাঞ্চকর এবং রহস্যময় ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং তার সম্পর্কে অনেকগুলি কিংবদন্তি রয়েছে।

“দ্যা এ্যাসাসিন” এর গুরু হাসান ইবনে সাব্বাহ

হাসান ইবনে সাব্বাহ ছিলেন একজন নিজারি ইসমাইলি ধর্মীয় নেতা, রাজনীতিবিদ এবং গুপ্তঘাতক। তিনি ১০৫০ সালে ইরানের রিশান শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ইসমাইলী মতবাদে দীক্ষিত হন এবং তৎকালীন ইসমাইলী ইমাম আল-মুনতাসির এর আনুগত্যের শপথ করেন। আল মুনতাছির ছিলেন সে সময়ের ফাতিমিয় খলিফা। হাসান সাব্বাহ তার জ্ঞান ও কাজের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন ও খলিফার তাকে কাজে নিযুক্ত করেন।

১০৯০ সালে হাসান সাব্বাহ আলামুত দুর্গ দখল করেন। এই দুর্গটি ছিল উত্তর পারস্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ strategic location।

হাসান সাব্বাহ এই দুর্গটিকে তার নিজারি ইসমাইলি রাজ্যের সদরদপ্তর হিসেবে ব্যবহার করেন। তিনি তার অনুসারীদেরকে একটি সুসংগঠিত গোষ্ঠীতে পরিণত করেন এবং তাদেরকে সেলজুক তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রশিক্ষণ দেন।

হাসান সাব্বাহর অনুসারীদেরকে হাশাশিন বা “এসাসিন” বলা হয়। এই নামটি এসেছে আরবি “হাসসাসিন” শব্দ থেকে, যার অর্থ “হত্যার পেশাদার।

” হাশাশিনরা ছিল অত্যন্ত দক্ষ গুপ্তঘাতক। তারা তাদের লক্ষ্যবস্তুকে হত্যা করার জন্য যেকোনো উপায় অবলম্বন করতে দ্বিধা করত না।

হাসান সাব্বাহর নেতৃত্বে হাশাশিনরা সেলজুক তুর্কিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করে। তারা সেলজুক তুর্কিদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডগুলি সেলজুক সাম্রাজ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

হাসান সাব্বাহর মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা আলামুত দুর্গটি নিয়ন্ত্রণ করে। তারা ১২৫৬ সালে মঙ্গোলদের আক্রমণে পরাজিত হয় এবং দুর্গটি ধ্বংস হয়ে যায়।

হাসান সাব্বাহ একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাকে একজন ধর্মীয় নেতা, একজন রাজনীতিবিদ এবং একজন গুপ্তঘাতক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি তার সময়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং তার কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

হাসান সাব্বাহর “দ্যা এ্যাসাসিন” এর গুরু হিসেবে পরিচিতি অর্জনের কারণ হল তিনি হাশাশিন গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা ছিলেন। হাশাশিনরা ছিল অত্যন্ত দক্ষ গুপ্তঘাতক যারা তাদের লক্ষ্যবস্তুকে হত্যা করার জন্য যেকোনো উপায় অবলম্বন করতে দ্বিধা করত না।

হাসান সাব্বাহর নেতৃত্বে হাশাশিনরা সেলজুক তুর্কিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করে। এই হত্যাকাণ্ডগুলি সেলজুক সাম্রাজ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

হাসান সাব্বাহর “দ্যা এ্যাসাসিন” এর গুরু হিসেবে পরিচিতির পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ নেতা ছিলেন যিনি তার অনুসারীদেরকে একটি সুসংগঠিত গোষ্ঠীতে পরিণত করতে সক্ষম হন।

দ্বিতীয়ত, তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ গুপ্তঘাতক ছিলেন যিনি নিজেও বেশ কয়েকটি সফল হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন। তৃতীয়ত, তিনি একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন যিনি তার সময়ের মধ্যপ্রাচ্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিলেন।

হাসান সাব্বাহর “দ্যা এ্যাসাসিন” এর গুরু হিসেবে পরিচিতি তাকে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত করে। তার কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, ধর্ম এবং সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *