বাপ্পী লাহিড়ীর সোনার গয়নার বাজারমূল্য ছিল ৪০ লাখ টাকা। রুপার গয়নার বাজারমূল্য ছিল দুই লাখ ২০ হাজার টাকা।
পাঁচটি গাড়ির মধ্যে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি ছিল ৪২ লাখ টাকার, একটি অডি গাড়ি ছিল ৩২ লাখ টাকার, একটি ফিয়াট গাড়ি ছিল ২০ লাখ টাকার, একটি সোনাটা গাড়ি ছিল ১৬ লাখ টাকার এবং একটি স্করপিও গাড়ি ছিল আট লাখ টাকার।
মুম্বাইয়ের বাড়িটির দাম ছিল সাড়ে তিন কোটি টাকা।
বাপ্পী লাহিড়ীর মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে রয়েছে তার স্ত্রী কিরণ দেবী, তার মেয়ে রিমা লাহিড়ী এবং তার ছেলে বব লাহিড়ী।
বাপ্পী লাহিড়ী শৈশবের দিনলিপি
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর
আজ আমার জন্মদিন। আমি আজ ৬ বছর বয়সী হয়েছি। আমি খুব খুশি। আমার মা আমাকে একটি নতুন খেলনা কিনে দিয়েছে। আমি এটিকে খুব পছন্দ করি।
আমি আজ আমার বন্ধুদের সাথে খেলেছি। আমরা ফুটবল খেলেছি। আমি ফুটবল খেলতে খুব ভালোবাসি।
আমার বাবা আমাকে একটি নতুন গান শিখিয়েছে। আমি সেই গানটি খুব ভালোভাবে গাইতে পারি।
আজ আমার একটা খুব ভালো দিন ছিল।
১৯৫৩ সালের ২৭ নভেম্বর
আজ আমার জন্মদিন। আমি আজ ৭ বছর বয়সী হয়েছি। আমি খুব খুশি। আমার বাবা আমাকে একটি নতুন গিটার কিনে দিয়েছে। আমি এটিকে খুব পছন্দ করি।
আমি আজ আমার বন্ধুদের সাথে গিটার বাজিয়েছি। তারা আমার বাজানো শুনে খুব খুশি হয়েছে।
আমার মা আমাকে একটি নতুন বই কিনে দিয়েছে। আমি সেই বইটি খুব ভালোভাবে পড়তে পারি।
আজ আমার একটা খুব ভালো দিন ছিল।
১৯৫৪ সালের ২৭ নভেম্বর
আজ আমার জন্মদিন। আমি আজ ৮ বছর বয়সী হয়েছি। আমি খুব খুশি। আমার মা আমাকে একটি নতুন পোশাক কিনে দিয়েছে। আমি এটিকে খুব পছন্দ করি।
আমি আজ আমার বন্ধুদের সাথে গান গেয়েছি। তারা আমার গান শুনে খুব খুশি হয়েছে।
আমার বাবা আমাকে একটি নতুন রেকর্ড প্লেয়ার কিনে দিয়েছে। আমি সেই রেকর্ড প্লেয়ারে গান শুনতে খুব ভালোবাসি।
আজ আমার একটা খুব ভালো দিন ছিল।
এভাবেই বাপ্পী লাহিড়ীর শৈশবের দিনলিপি লেখা যেতে পারে। এই দিনলিপিতে বাপ্পী লাহিড়ীর শৈশবকালের বিভিন্ন ঘটনা ও অনুভূতি তুলে ধরা যেতে পারে।
এখানে কিছু নির্দিষ্ট ঘটনা ও অনুভূতি উল্লেখ করা হল:
- বাপ্পী লাহিড়ী খুব ছোট থেকেই গান ও সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে গান শেখেন।
- বাপ্পী লাহিড়ী খুব ছোট থেকেই সঙ্গীত তৈরি করতেন। তিনি তার বন্ধুদের সাথে সঙ্গীত তৈরি করতেন।
- বাপ্পী লাহিড়ী খুব ছোট থেকেই সঙ্গীতের প্রতি প্রতিভাবান ছিলেন। তিনি তার প্রতিভা দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করতেন।
বাপ্পী লাহিড়ীর শৈশবের দিনলিপি থেকে তার সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ ও প্রতিভা সম্পর্কে জানা যায়।
বাপ্পী লাহিড়ী ব্যক্তিগত জীবন
বাপ্পী লাহিড়ী ছিলেন একজন ব্যক্তিত্বময় ব্যক্তি। তার ব্যক্তিগত জীবনও ছিল বেশ আলোচিত। তিনি দুইবার বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন লতা শ্রীবাস্তব। তারা ১৯৭৭ সালে বিয়ে করেন এবং ১৯৯০ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে, যার নাম রিমা লাহিড়ী।
বাপ্পী লাহিড়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন কিরণ দেবী। তারা ১৯৯০ সালে বিয়ে করেন এবং তাদের একটি ছেলে রয়েছে, যার নাম বব লাহিড়ী।
বাপ্পী লাহিড়ী তার ব্যক্তিগত জীবনে বেশ কিছু বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনি তার বিবাহবিচ্ছেদ, তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং তার ব্যয়বহুল জীবনযাপনের জন্য সমালোচিত হয়েছেন।
বাপ্পী লাহিড়ীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল:
- ১৯৭৭ সালে তিনি লতা শ্রীবাস্তবের সাথে বিয়ে করেন।
- ১৯৯০ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
- ১৯৯০ সালে তিনি কিরণ দেবীর সাথে বিয়ে করেন।
- ১৯৯২ সালে তাদের একটি ছেলে হয়, যার নাম বব লাহিড়ী।
- তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং ব্যয়বহুল জীবনযাপনের জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন।
বাপ্পী লাহিড়ীর ব্যক্তিগত জীবন তার সঙ্গীত জীবনের মতোই আলোচিত ছিল। তার ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ক তার সঙ্গীত জীবনের প্রতিফলন ঘটিয়েছিল।
বাপ্পী লাহিড়ীর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু বিতর্কিত ঘটনা হল:
- তার বিবাহবিচ্ছেদ: বাপ্পী লাহিড়ী এবং লতা শ্রীবাস্তব ১৯৯০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। এই বিবাহবিচ্ছেদ ছিল ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের একটি বড় ঘটনা।
- তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক: বাপ্পী লাহিড়ী তার সঙ্গীত জীবনের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবনেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি তার বিভিন্ন অভিনেত্রী সহকর্মীদের সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্য সমালোচিত হয়েছেন।
- তার ব্যয়বহুল জীবনযাপন: বাপ্পী লাহিড়ী তার ব্যয়বহুল জীবনযাপনের জন্যও সমালোচিত হয়েছেন। তিনি তার বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি এবং অন্যান্য সম্পত্তির জন্য পরিচিত ছিলেন।
বাপ্পী লাহিড়ীর ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ক তার সঙ্গীত জীবনের প্রতিফলন ঘটিয়েছিল। তার সঙ্গীত জীবনের মতোই তার ব্যক্তিগত জীবনও ছিল বহুমুখী এবং চ্যালেঞ্জিং।