যমুনা সেতু কত কিলোমিটার লম্বা? যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত

যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। সেতুটির প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।

যমুনা সেতু বাংলাদেশের টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে যমুনা নদীর উপর নির্মিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন এটি উদ্বোধন করা হয়।

সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৩.২ কিলোমিটার এবং দীর্ঘতম স্প্যান ১০০ মিটার। সেতুটির প্রস্থ ১৮.৫ মিটার। এতে চার লেনের সড়ক এবং একটি ট্রেন লাইন রয়েছে।

যমুনা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের সময় এবং ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে।

যমুনা সেতু নির্মাণকারী কোম্পানির নাম কি

যমুনা সেতু নির্মাণকারী কোম্পানির নাম হলো জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (JICA)। JICA হলো জাপানের একটি সরকারি উন্নয়ন সংস্থা। এটি যমুনা সেতু প্রকল্পের জন্য $২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সাথে সহযোগিতা করে।

যমুনা সেতু প্রকল্পে জাপানের পাশাপাশি বাংলাদেশের আরও কয়েকটি কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (BBA): BBA হলো যমুনা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা।
  • বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পের নির্মাণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET): BUET প্রকল্পের নকশা এবং নির্মাণে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করে।

যমুনা সেতু প্রকল্পটি ছিল একটি অত্যন্ত জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। জাপান এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়।

যমুনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় কবে?

যমুনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর। সেতুটি নির্মাণে মোট ৫ বছর সময় লেগেছিল। ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন সেতুটি উদ্বোধন করা হয়।

যমুনা সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল $৯৬২ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে $২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (JICA)। বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহ করা হয়।

যমুনা সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের সময় এবং ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

যমুনা সেতু কত সালে চালু হয়

যমুনা সেতু ১৯৯৮ সালে চালু হয়। ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। সেতুটি চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের সময় এবং ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

যমুনা সেতু বাংলাদেশের টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে যমুনা নদীর উপর নির্মিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু।

যমুনা সেতুর খরচ কত

যমুনা সেতুর মোট নির্মাণ ব্যয় ছিল $৯৬২ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে $২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (JICA)। বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহ করা হয়।

বাংলাদেশি মুদ্রায়, যমুনা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ছিল প্রায় ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

যমুনা সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের সময় এবং ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

যমুনা সেতুর স্প্যান কয়টি

যমুনা সেতুর মোট ৪৯টি স্প্যান রয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৩.২ কিলোমিটার এবং দীর্ঘতম স্প্যান ১০০ মিটার। সেতুটির প্রস্থ ১৮.৫ মিটার। এতে চার লেনের সড়ক এবং একটি ট্রেন লাইন রয়েছে।

যমুনা সেতুর স্প্যানগুলি নিম্নরূপ:

  • মূল সেতু: ৪৯টি স্প্যান, যার মধ্যে ৪৪টি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ৭০ মিটার এবং ৫টি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১০০ মিটার।
  • সংযোগ সেতু: ১টি স্প্যান, যার দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার।

যমুনা সেতুর স্প্যানগুলিতে ৪টি লেয়ার রয়েছে। প্রথম লেয়ারে সড়ক, দ্বিতীয় লেয়ারে রেললাইন, তৃতীয় লেয়ারে বিদ্যুৎ লাইন এবং চতুর্থ লেয়ারে নর্দমা রয়েছে।

যমুনা সেতুর স্প্যানগুলি নির্মাণে বিশেষ ধরনের স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। এই স্টিলগুলিতে ক্ষয়রোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

যমুনা বহুমুখী সেতুর পিলার কয়টি?

যমুনা বহুমুখী সেতুর (বর্তমানে নাম বঙ্গবন্ধু সেতু) পিলার সংখ্যা ৫০টি। এর মধ্যে মূল সেতুর ৪৯টি পিলার এবং সংযোগ সেতুর একটি পিলার রয়েছে।

মূল সেতুর পিলারগুলির উচ্চতা ৪২ মিটার থেকে ৬৫ মিটার পর্যন্ত। সংযোগ সেতুর পিলারের উচ্চতা ৪২ মিটার।

যমুনা বহুমুখী সেতুর পিলারগুলি নির্মাণে বিশেষ ধরনের কংক্রিট এবং স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। এই পিলারগুলি নদীর স্রোতের প্রভাবের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

যমুনা সেতুর উদ্বোধন করেন কে

যমুনা সেতুর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন তিনি যমুনা সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে সেতুটি উদ্বোধন করেন।

যমুনা সেতু বাংলাদেশের টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে যমুনা নদীর উপর নির্মিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু।

যমুনা সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের সময় এবং ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

যমুনা সেতুর আয়ুষ্কাল কত বছর

যমুনা সেতুর আয়ুষ্কাল ১২০ বছর। এটি নির্মাণের সময়ই এর আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেতুটি নির্মাণে বিশেষ ধরনের কংক্রিট এবং স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে, যা এটিকে দীর্ঘস্থায়ী করে তুলেছে।

যমুনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এবং ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। সেতুটি চালু হওয়ার পর থেকে এটি যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (BBA) সেতুটিকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করে থাকে।

যমুনা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের সময় এবং ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে। সেতুটি নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে।

যমুনা সেতুর খরচ কত

যমুনা সেতুর মোট নির্মাণ ব্যয় ছিল $৯৬২ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে $২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (JICA)। বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহ করা হয়।

বাংলাদেশি মুদ্রায়, যমুনা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ছিল প্রায় ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

যমুনা সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের সময় এবং ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

যমুনা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের হিসাব নিম্নরূপ:

  • জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (JICA) ঋণ: $২৫০ মিলিয়ন ডলার
  • বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল: $৭১২ মিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশি মুদ্রায়, যমুনা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের হিসাব নিম্নরূপ:

  • জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (JICA) ঋণ: ৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল: ২ হাজার ৬১১ কোটি টাকা

মোট: ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *