খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত রোগের মধ্যে রয়েছে:
- অপুষ্টি
- স্থূলতা
- উচ্চ রক্তচাপ
- হার্ট অ্যাটাক
- স্ট্রোক
- টাইপ ২ ডায়াবেটিস
- ক্যান্সার
স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মধ্যে রয়েছে:
- ফলমূল
- শাকসবজি
- সম্পূর্ণ শস্য
- স্বাস্থ্যকর চর্বি
- প্রোটিন
ফলমূল এবং শাকসবজিতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সম্পূর্ণ শস্যগুলিতে ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে যা হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলি হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এবং প্রোটিন পেশী এবং কোষের বৃদ্ধি এবং মেরামত জন্য প্রয়োজনীয়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করুন:
- প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি সারাংশের ফল এবং সবজি খান।
- সম্পূর্ণ শস্যের উপর ভিত্তি করে একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করুন।
- স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করুন, যেমন অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো এবং বাদাম।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন মাছ, মাংস, ডিম এবং শিম।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত পানীয় এবং অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আপনি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা উন্নত করতে পারেন এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন।
পুষ্টি, পুষ্টিমান ও খাদ্য উপাদান
পুষ্টি হল এমন পদার্থ যা শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিকাশ এবং কার্যকারিতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয়। পুষ্টি উপাদানগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:
- ম্যাক্রোনোট্রিয়েন্টস হল শরীরের জন্য প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এগুলি হল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং চর্বি।
- মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস হল শরীরের জন্য অল্প পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এগুলি হল ভিটামিন, খনিজ এবং জল।
পুষ্টিমান হল একটি খাবারের পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ। একটি খাবারের পুষ্টিমান নির্ধারণ করতে, খাবারের পুষ্টি উপাদানের পরিমাণকে প্রতি ১০০ গ্রাম খাবারের পরিমাণে বিভক্ত করা হয়।
খাদ্য উপাদান হল এমন বস্তু যা মানুষের খাদ্যে পাওয়া যায় এবং শরীরের জন্য পুষ্টিকর। খাদ্য উপাদানগুলিকে নিম্নলিখিত শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে:
- কার্বোহাইড্রেট হল শরীরের প্রধান শক্তি উৎস। এগুলি শর্করা, ফাইবার এবং শস্যের মতো খাবারে পাওয়া যায়।
- প্রোটিন হল শরীরের কাঠামো এবং কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। এগুলি মাংস, মাছ, ডিম, দুধ এবং শিমজাতীয় খাবারে পাওয়া যায়।
- চর্বি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এগুলি শক্তি সরবরাহ করে, কোষের ঝিল্লি গঠন করে এবং হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে। এগুলি মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, বাদাম এবং বীজে পাওয়া যায়।
- ভিটামিন শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে সহায়তা করে। এগুলি ফল, শাকসবজি, শস্য এবং দুগ্ধজাত পণ্যে পাওয়া যায়।
- খনিজ শরীরের কাঠামো এবং কার্যকারিতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয়। এগুলি ফল, শাকসবজি, শস্য, মাংস এবং দুগ্ধজাত পণ্যে পাওয়া যায়।
- জল শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে এবং কোষের জন্য একটি দ্রাবক হিসাবে কাজ করে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের জন্য, বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য তালিকা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
পুষ্টি ও পুষ্টিমান
পুষ্টি হল এমন পদার্থ যা শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিকাশ এবং কার্যকারিতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয়। পুষ্টি উপাদানগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:
- ম্যাক্রোনোট্রিয়েন্টস হল শরীরের জন্য প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এগুলি হল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং চর্বি।
- মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস হল শরীরের জন্য অল্প পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এগুলি হল ভিটামিন, খনিজ এবং জল।
পুষ্টিমান হল একটি খাবারের পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ। একটি খাবারের পুষ্টিমান নির্ধারণ করতে, খাবারের পুষ্টি উপাদানের পরিমাণকে প্রতি ১০০ গ্রাম খাবারের পরিমাণে বিভক্ত করা হয়।
পুষ্টি ও পুষ্টিমানের মধ্যে পার্থক্য
- পুষ্টি হল এমন পদার্থ যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। পুষ্টিমান হল একটি খাবারের পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ।
- **পুষ্টি হল একটি বিস্তৃত ধারণা যা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানকে অন্তর্ভুক্ত করে। পুষ্টিমান হল একটি নির্দিষ্ট খাবারের একটি নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ।
- **পুষ্টি হল শরীরের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। পুষ্টিমান হল একটি খাবারের একটি পরিমাপ।
পুষ্টিমানের গুরুত্ব
পুষ্টিমান হল একটি খাবারের গুণমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। একটি খাবারের পুষ্টিমান যত বেশি হবে, খাবারটি তত বেশি পুষ্টিকর হবে। পুষ্টিকর খাবার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে, যা শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিকাশ এবং কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
পুষ্টিমান উন্নত করার উপায়
পুষ্টিমান উন্নত করার জন্য, বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য তালিকা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুষম খাদ্য তালিকাতে ফল, শাকসবজি, শস্য, মাংস, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য এবং বাদাম এবং বীজ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
আমিষ বা প্রোটিন
আমিষ এবং প্রোটিন একই জিনিস। আমিষ হল বাংলা শব্দ, আর প্রোটিন হল ইংরেজি শব্দ। আমিষ হল এক ধরনের জৈব অণু যা কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন দিয়ে গঠিত।
প্রোটিনগুলি জীবদেহের ভেতরে বিশাল সংখ্যক কার্য সম্পাদন করে, যেমন বিপাকীয় বিক্রিয়াসমূহের অনুঘটন, ডিএনএ প্রতিলিপিকরণ, উদ্দীপকের প্রতি সাড়াদান, কোষ ও জীবদেহে কাঠামো প্রদান, এক স্থান থেকে অন্যত্র বিভিন্ন অণু পরিবহন, ইত্যাদি।
আমিষের উৎস
আমিষ দুটি প্রধান উৎস থেকে পাওয়া যায়: প্রাণিজ এবং উদ্ভিজ্জ। প্রাণিজ আমিষের উৎস হল মাংস, মাছ, ডিম, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য। উদ্ভিজ্জ আমিষের উৎস হল ডাল, বাদাম, সয়াবিন, শিমের বিচি ইত্যাদি।
আমিষের প্রয়োজনীয়তা
আমিষ মানবদেহের জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। এটি দেহকলার গাঠনিক উপাদানগুলোর একটি এবং জ্বালানির উৎস হিসেবেও কাজ করতে পারে।
আমিষের অভাবজনিত সমস্যা
আমিষের অভাবের ফলে শরীরের বৃদ্ধি এবং বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। এছাড়াও, আমিষের অভাবের ফলে পেশী ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং ক্ষত নিরাময়ের সময় বাড়তে পারে।
আমিষের সুষম গ্রহণ
আমিষের সুষম গ্রহণের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য তালিকা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুষম খাদ্য তালিকাতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ গ্রাম আমিষ থাকা উচিত।
আমিষের অভাবজনিত রোগ
খাদ্য পরিমিত প্রয়োজনীয় জৈব আমিষ বা মিশ্র আমিষ না থাকলে শিশুর দেহে আমিষের অভাবজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয় । দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয় । শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাপক হয় । শিশুদের কোয়াশিষরকর মেরাসমাস রোগ দেখা দেয় ।
কোয়াশিয়রকর রোগের লক্ষণ
কোয়াশিয়রকর হল একটি তীব্র প্রোটিনের অভাবজনিত রোগ যাতে শোথ এবং ফ্যাটি লিভার হয়। এটি তখনই ঘটে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ ঘটে কিন্তু অপর্যাপ্ত পরিমানে প্রোটিন খরচ (বা ভাল মানের প্রোটিনের অভাব থাকে) হয়।
এই বৈশিষ্ট্য কোয়াশিয়রকরকে ম্যারাসমাস থেকে আলাদা করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের অভাব যেমন β-ক্যারোটিন, লাইকোপেন, অন্যান্য ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন সি এবং সেইসাথে অ্যাফ্ল্যাটক্সিনের উপস্থিতি রোগের বিকাশে ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে কোয়াশিওরকরের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
কোয়াশিয়রকর রোগের লক্ষণগুলি হল:
- শরীরের ওজন কমে যায় এবং পেশী দুর্বলতা দেখা দেয়।
- ত্বক ফুলে যায়, বিশেষ করে হাত, পা এবং মুখ।
- মুখ ফোলা দেখায়।
- চুল পাতলা হয়ে যায় এবং পড়ে যায়।
- পেটের আকার বড় হয়ে যায়।
- রক্তে প্রোটিনের মাত্রা কমে যায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
কোয়াশিয়রকর রোগের জটিলতাগুলি হল:
- সংক্রমণ
- অ্যানিমিয়া
- ক্ষত নিরাময়ের ক্ষমতা হ্রাস
- বুদ্ধিমত্তা হ্রাস
- মৃত্যু
কোয়াশিয়রকর রোগের চিকিৎসা হল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো। শিশুদের ক্ষেত্রে, মায়ের দুধ বা সূত্র দুধের পাশাপাশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য, ডাল, বাদাম এবং বীজ ইত্যাদি খাবার খাওয়া উচিত।
কোয়াশিয়রকর রোগ প্রতিরোধের জন্য, শিশুদের জন্মের পর থেকেই মায়ের দুধ খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত।
মেরাসমান রোগের লক্ষণ
মেরাসমাস হল একটি তীব্র ক্যালোরির অভাবজনিত রোগ যাতে শরীরের ওজন কমে যায় এবং পেশী দুর্বলতা দেখা দেয়। এটি তখনই ঘটে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ ঘটে না এবং ক্যালোরির অভাব হয়। মেরাসমাসকে কোয়াশিওরকর থেকে আলাদা করা যায় কারণ এতে শোথ থাকে না।
মেরাসমাসের লক্ষণগুলি হল:
- শরীরের ওজন কমে যায়, বিশেষ করে পেশী এবং চর্বি থেকে।
- পেশী দুর্বলতা এবং ক্লান্তি।
- ত্বক শুষ্ক এবং কুঁচকে যায়।
- চোখের নিচের অংশ ফোলা দেখায়।
- শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়।
- রক্তচাপ কমে যায়।
- হৃদস্পন্দন কমে যায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
মেরাসমাসের জটিলতাগুলি হল:
- সংক্রমণ
- অ্যানিমিয়া
- ক্ষত নিরাময়ের ক্ষমতা হ্রাস
- বুদ্ধিমত্তা হ্রাস
- মৃত্যু
মেরাসমাসের চিকিৎসা হল পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো। শিশুদের ক্ষেত্রে, মায়ের দুধ বা সূত্র দুধের পাশাপাশি ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে, ফল, শাকসবজি, শস্য, মাংস, মাছ, ডিম, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য, বাদাম এবং বীজ ইত্যাদি খাবার খাওয়া উচিত।
মেরাসমাস রোগ প্রতিরোধের জন্য, শিশুদের জন্মের পর থেকেই মায়ের দুধ খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত।
মেরাসমাস এবং কোয়াশিওরকর হল দুটি ভিন্ন রোগ যা প্রায়শই একসাথে দেখা যায়। এই রোগগুলির মধ্যে পার্থক্য হল কোয়াশিওরকর রোগে শোথ হয়, কিন্তু মেরাসমাসে হয় না।
স্নেহ পদার্থ
একে শক্তি উৎপাদনকারী উপাদান বলা হয় । স্নেহ পদার্থে কার্বন হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে । কার্বনের দহন ক্ষমতা বেশি থাকায় স্নেহ পদার্থের অনু থেকে বেশি তাপশক্তি উৎপন্ন হয় ।
স্নেহ পদার্থ সেটি এসিডড ও গ্লিসারলের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌগ । স্নেহ পদার্থ পরিপাক হয়ে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত হয় । ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারল ক্ষুদ্রান্ত্রের ডিলাইয়ের ভিতরে অবস্থিত লসিকা নালির মাধ্যমে শোষিত হয় ।
স্নেহ পদার্থের ২০ প্রকার চর্বি জাতীয় এসিড পাওয়া যায় । চর্বি জাতীয় এসিড দুই প্রকার । যথা–
১। অসম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় এসিড ।
২। সম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় এসিড ।
দেহে যকৃতের মধ্যে চর্বি জাতীয় এসিড তৈরি হয় । তবে যকৃতের চর্বি জাতীয় এসিড তৈরির ক্ষমতা অত্যন্ত কম । অন্যদিকে কিছু কিছু চর্বি জাতীয় এসিড আছে যা দেহের জন্য অত্যাবশক ।
এগুলো প্রধানত উদ্ভিজ্জ তেলে পাওয়া যায় । খাদ্যে স্নেহ পদার্থের পরিমাণ দ্বারা এর উপকারিতা যাচাই করা যায় না । যে স্নেহ জাতীয় খাদ্যে অসম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় এসিড বেশি থাকে তা বেশি উপকারী ।
যেমন সয়াবিন তেল সূর্যমুখী তেল তিলের তেল ভুট্টার তেল ইত্যাদি । এসব তেল দিয়ে তৈরি খাবার উৎকৃষ্টতর স্নেহ জাতীয় খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত । যেমন– মেয়নিজ সালাদ ড্রেসিং কাসুন্দি তেলের আচার ইত্যাদি উৎকৃষ্টতর স্নেহ জাতীয় খাদ্যর অন্তর্ভুক্ত ।
যেসব খাদ্য সম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় এসিড বেশি থাকে । সে সকল খাদ্যগুলোকে স্নেহবহুল খাদ্য বলা হয় । যেমন– মাংস মাখন পনির ডালরা চকলেট বাদাম ইত্যাদি । পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে দৈনিক মোট শক্তির ২০%–৩০% শক্তি স্নেহ থেকে পাওয়া যায় ।
দৈনিক আহার্যে এমন স্নেহযুক্ত খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা অত্যাবশ্যকীয় চর্বি জাতীয় এসির যোগাতে পারে এবং ভিটামিন দ্রবণে সক্ষম হয় । খাদ্য স্নেহ পদার্থের অভাব ঘটলে দেহের চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের অভাব পরিলক্ষিত হয় ফলে ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ দেখা দেয় ।
যেমন ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে দেহের সৌন্দর্য নষ্ট করে , অত্যাবশ্যকীয় চর্বি জাতীয় এসিডের অভাবে শিশুদের একজিমা রোগ হয় ও বয়স্কদের চর্মরোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায় ।
খাদ্যের ক্যালরি ও কর্মশক্তি
শর্করা , আমি ও স্নেহ পদার্থ খাদ্য এর তিনটি উপাদান থেকে দেহের তাপ উৎপন্ন হয় । এ তাপ আমাদের দেহে কাজ করার শক্তি যোগায় । কোনো খাদ্যে পুষ্টি উপাদান ও তাপ পরিমাণ জানার জন্য শর্করা আমি ও চর্বির ক্যালরিমুল্য বের করতে হয় ।
এক্ষেত্রে ভিটামিন খনিজ লবণ ও পানির ক্যালরি মুক্ত শুন্য ধরে হিসেবে করতে হয় ।