বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের শান্তিচুক্তি

বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের শান্তিচুক্তি একটি রাজনৈতিক চুক্তি এবং শান্তি চুক্তি যা বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (PCJSS) এর মধ্যে ১৯৯৭ সালের ২ রা ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগণ ও উপজাতিদের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদান করে এবং শান্তিবাহিনী ও সরকারের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা বিদ্রোহের অবসান ঘটায় বলে মনে করা হয়।

চুক্তির মূল বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তা এবং বিশেষ মর্যাদাকে স্বীকৃতি দেওয়া।
  • পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদের সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পরিষদ প্রতিষ্ঠা করা।
  • পার্বত্য চট্টগ্রামের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রক্ষার জন্য ব্যবস্থা করা।
  • পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।

শান্তিচুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে উল্লেখযোগ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। তবে, চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, যেমন:

  • ভূমি বিরোধ
  • বাঙালি বসতি স্থাপনকারীদের অভিযোগ
  • অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভাব

এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের মধ্যে আরও সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।

শান্তিচুক্তির কিছু উল্লেখযোগ্য সুফল হল:

  • পার্বত্য চট্টগ্রামে সহিংসতা ও অস্থিরতার অবসান।
  • পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা বৃদ্ধি।
  • পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অগ্রগতি।

তবে, চুক্তির কিছু সমালোচনাও রয়েছে, যেমন:

  • চুক্তিটি পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেনি।
  • চুক্তিটি উপজাতিদের জন্য পর্যাপ্ত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেনি।

শান্তিচুক্তি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে, চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

উলফা (Ulfa)  দুই যুগের হানাহানি ও সংগ্রামের পর দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সকল পরিসমাপ্তিতে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক’ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রধান উপস্থিত বাংলা সরকার পক্ষে যুক্তি স্বাক্ষর রক্ত সংসদ সংসদের চেয়ে পার্বত্য আব্দুল্লাহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির পক্ষে জ্যোতিরিন্দ্র বৌদিপ্রিয় লারমা ।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের আওতায় বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ও সার্বভৌমত্ব ওকখন তার প্রতি পূর্ণ ও অবিচল আনুগত্য রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সকল নাগরিকের রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অধিকার সমুন্নত এবং আর্থ-সামাজিক রুপিয়া ত্বরান্বিত করা এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের স্ব স্ব অধিকার সংরক্ষণ ।

উন্নয়নের লক্ষ্য পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসীদের পক্ষ থেকেপার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি চার খন্ড সম্বলিত চুক্তিতে উপনীত হয় ।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত

হেগে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসি) ০৯-০৭-২০০২ তারিখ থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে ।

এই পর্যন্ত ৭৫ টি দেশ এই আদালতের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং শতাধিক দেশ স্বাগতম জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই আদালত প্রতিষ্ঠিত সনদ থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং এই আদালতের কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে অধিকাংশ আরব দেশ চীন ও রাশিয়া আদালতকে স্বীকৃতি দিতে এখনো বিরোধ রয়েছে।

অবশ্য নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ টি সদস্য দেশেই এই আদালত প্রতিষ্ঠার পক্ষের মধ্যে একাংশ করেছে ।

এই আদালত সম্পর্কে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী মার্কিন সৈন্যরা এই আদালতে পক্ষপাত দুষ্ট বিচারের সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে ।

তবে বিশেষজ্ঞগণ বলছেন এই আদালতের কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে ফল ভোগ করবে কিনা এটাই হলো ওয়াশিংটনের প্রকৃত আশঙ্কা ।

কারণ কোনস্থানীয় আদালত বিচার কাজ করতে অপরাধ কিংবা অনিচ্ছুক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত শুধু সেই সব বিচার কাজ সম্পন্ন  করবে । এছাড়াও আদালত ১ জুলাই ২০০২ এরপূর্বে সংঘটিত কোন অপরাধ আদালত কে স্বীকৃতি দেয়নি ।

এমন কোন রাষ্ট্রে সংঘটিত অপরাধের ব্যাপারে কিংবা এসব দেশের নাগরিকদের বিচার করতে পারবে না। এই আদালতে কোন মামলা  উত্থাপনের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হবেে ।

২০০৩ আজ থেকে এই আদালত পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করে । মানবাধিকার সংগঠন গুলো  জানিয়েছে এই আদালত প্রতিষ্ঠার ফলে একনায়ক স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপ্রধান ও তাদের প্রশাসন এ বং সামরিক কর্মকর্তা জনগণের ওপর নির্যাতন চালানোর ব্যাপারে সাবধান হবে ।

কারণ তাদের ভয় থাকবে নির্যাতন চালায় তাদের এই আদালতে দাঁড় করানো হতে পারে ।

আইএলও (ILO)ঃ এর পূর্ণরূপ হল  (International Labour Organisation) এ সংস্থার  প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় । এর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৯খ্রিস্টাব্দে এবং জাতিসংঘের এজেন্সী হিসেবে সংযুক্ত হয় ।

এর প্রধান কার্যাবলী

(১) শ্রমি কদের জীবন যাত্রার মানউন্নয়ন করা ।

(২) শ্রমের  অবস্থার উন্নয়ন করা ।

(৩) সরকার ব্যবস্থাপনা ও শ্রমিকদের মধ্যে সুষ্ঠু সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিধানের সাহায্য করা ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নঃ  ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নিজেদের পারস্পরিক স্বার্থে উল্লেখযোগ্যহারে প্রকাশের মাধ্যমে নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের সুযোগগুলো অসাধারণ বাজার সৃষ্টি এবং বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের জন্য ১৯৫৮  সালে ঘোড়া ইউরোপিয় ইউনিয়ন গঠন করেন ।

প্রতিষ্ঠাকালীন সময় এর সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫ । বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ২৮। এর সদরদপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলস এ অবস্থিত ।

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঃ  বিশিষ্ট  সঙ্গীতঘ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা ১৮৬২সালে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জেলার শিবপুরে জন্মগ্রহণ করেন । মিনার্ভা থিয়েটার এর তবলা বাদক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু ।

তিনি ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ বিশ্বস্ত গ্রহণ করে দীর্ঘ ৩০ বছর অন্তর অন্তর দুরূহ ও সূক্ষ্ম সংগীত কলা-কৌশল শিক্ষা গ্রহণ করেন ।

১৯১৮ সালে মাইহার রাজ্যের নবা- বের সঙ্গীত শুরু নিযুক্ত হন।তিনি উপমহাদেশের রাগ সংগীত কে সর্বপ্রথম পাশ্চাত্যে ।

পরিচিত করার ক্ষেত্রে  অগ্রপথিক ছিলেন। তার সঙ্গীতে মুগ্ধ হয়ে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে খাঁ সাহেব উপাধিতে ভূষিত করেন ।

ঢাকা ও দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টর অব উপাধিতে ভূষিত করেন।তিনি হেমন্ত দুর্গেশ্বরী মেয়ের বাহার প্রভাতকেলী মদন মঞ্জুরী আরাধনা ইত্যাদি রাগ-রাগিনী স্রষ্টা । ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তাঁর জীবনাবসান ঘটে ।

ফিদেল ক্যাস্ট্রোঃ  সামাজিক তান্ত্রিক কিউবার  প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। ১৯৬৯ সালে স্বৈরাচারী  বাতিস্তা সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসীন হন ।

সুদীর্ঘ ৩৭ বছর কিউবার প্রেসিডেন্ট থেকে অসুস্থতাজনিত কারণে ২০০৭সালে অবসর গ্রহণ করেন ।

স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুঃ বাংলাদেশের বিক্রমপুরের গাড়ি খালে জন্ম। বিখ্যাত পদার্থবিদ এবং উদ্ভিদতত্ববিদ । কলকাতা বসু গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ক্রেস্কোগ্রাফ এর আবিষ্কারক ।

প্রাণস্পন্দন ও বেতারের  মূল সূত্রগুলো তিনি মার্কনীর পূর্বেই আবিষ্কার করেন। রেসপন্স অফ লিডিং এন্ড নন- লিডিং তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ।

মাহাথির মোহাম্মদঃ উন্নয়ন মাহাথির  একই সুতোয় গাঁথা দুটোর নাম। বিখ্যাত  ব্যক্তিটি আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ।

১৯৮১সাল টেকের টানা ২২ বছর ক্ষমতায় প্রতীক্ষিত ছিলেন। ২০০৩ সালের ৩১অক্টোবর তিনি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা থেকে অবসরে যান । স্পষ্টবাদী এ বিখ্যাত ব্যক্তি সত্য কথা বলতে কারো পরোয়া করেন না ।

নীল আর্মস্ট্রংঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো ১১ মহাশূন্য অধিনায়ক এবং চন্দ্রে পদার্পণ কারী পৃথি- বীর প্রথম মানুষ ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *