জসিম উদ্দিনের ছদ্মনাম ছিল “অগ্নিবীণা”। তিনি তাঁর কবিতা ও গানের জন্য এই ছদ্মনামের ব্যবহার করতেন। তিনি ১৯০৩ সালের ১০ই মার্চ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হাটহাজারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ ও নাট্যকার। তাঁর রচিত “সোনার তরী”, “ভোরের পদাবলী”, “সুজন সখী” ও “জয়যাত্রা” প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৩ই আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।
জসিম উদ্দিনের ছদ্মনাম “অগ্নিবীণা” তাঁর সাহিত্যকর্মের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন। তাঁর কবিতা ও গানগুলি ছিল প্রবল আবেগ ও উচ্ছ্বাসে পূর্ণ। তিনি ছিলেন একজন সমাজতান্ত্রিক চিন্তাবিদ, এবং তাঁর রচনায় তিনি সমাজের অসংগতি ও বৈষম্যগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন।
জসিম উদ্দিনের ছদ্মনাম “অগ্নিবীণা” তাঁকে বাংলা সাহিত্যের একজন অমর কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর রচনাগুলি আজও পাঠকদের মনে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।
জসিম উদ্দিনের অন্যান্য ছদ্মনামের মধ্যে রয়েছে:
- “কবিকঙ্কণ”
- “বনলতা”
- “সুখী”
- “সুখী কবিতা”
- “কাব্যকথা”
জসিম উদ্দিন তাঁর ছদ্মনামের মাধ্যমে তাঁর সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন দিক প্রকাশ করেছেন। “অগ্নিবীণা” তাঁর সাহিত্যের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন, অন্যদিকে “কবিকঙ্কণ” তাঁর কবিতার সৌন্দর্য ও কবিমনের প্রকাশ।
“বনলতা” তাঁর প্রেম ও সৌন্দর্যবোধের প্রতিফলন, “সুখী” তাঁর সুখী জীবনযাপনের স্বপ্ন, এবং “সুখী কবিতা” তাঁর সুখী কবিতা রচনার ইচ্ছা।