দেশের সবচেয়ে জুনিয়র বীরশ্রেষ্ঠ কে?
বাংলাদেশের সবচেয়ে জুনিয়র বীরশ্রেষ্ঠ হলেন সৈনিক এম. কামাল উদ্দিন। তিনি ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি ট্যাংক বিধ্বস্ত করে শহীদ হন। তার বয়স তখন ছিল মাত্র ১৯ বছর।
সৈনিক এম. কামাল উদ্দিন ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বরইতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি চট্টগ্রামে যুদ্ধে যোগ দেন।
৩০ মার্চ ১৯৭১ সালে সৈনিক এম. কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি মুক্তিযোদ্ধা দল ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি ট্যাংক আক্রমণ করে। কামাল উদ্দিন নিজে ট্যাংকের উপরে উঠে গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন এবং ট্যাংকটি বিধ্বস্ত করে দেন। এতে তিনি নিজেও শহীদ হন।
সৈনিক এম. কামাল উদ্দিনের বীরত্বের জন্য তাকে ১৯৭৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জুনিয়র বীরশ্রেষ্ঠ।
বীরশ্রেষ্ঠরা হলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্ব প্রদর্শনকারী বীরদের জন্য প্রদত্ত সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বীরশ্রেষ্ঠরা অসামান্য অবদান রেখেছিলেন।
বাংলাদেশের ১৯ জন বীরশ্রেষ্ঠ হলেন:
- ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ
- ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ
- নায়েক হামিদুর রহমান
- রাসেল শরীফ
- ল্যান্স নায়েক মতিউর রহমান
- ল্যান্স নায়েক নজরুল ইসলাম
- নায়েক মোস্তফা কামাল
- ল্যান্স নায়েক আবু জামান
- সৈনিক এম. কামাল উদ্দিন
- সৈনিক খালেদ মোশাররফ
- সৈনিক আবু বকর সিদ্দিক
- সৈনিক মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন
- সৈনিক জয়নাল আবেদীন
- সৈনিক রুহুল আমিন
- সৈনিক নুরুল ইসলাম
বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে ২ জন ছিলেন ল্যান্স নায়েক, ১০ জন ছিলেন নৌবাহিনীর সাবমেরিন যোদ্ধা, ৭ জন ছিলেন সেনাবাহিনীর সৈনিক।
বীরশ্রেষ্ঠদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের গল্প আমাদের জাতীয় ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে।
বীরশ্রেষ্ঠদের নাম ও সেক্টর সমূহ মনে রাখার টেকনিক।
বীরশ্রেষ্ঠদের নাম ও সেক্টর সমূহ মনে রাখার জন্য বিভিন্ন টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে। এখানে একটি সহজ টেকনিক দেওয়া হল:
সাত হাজার মোম আনো
সাত = বীরশ্রেষ্ঠের সংখ্যা = ৭ হা = হামিদুর রহমান (চট্টগ্রাম) জা = জাহাঙ্গীর (ঢাকা) র = রুহুল আমীন (ঢাকা) মো = মোস্তফা কামাল (ঢাকা) ম = মতিউর রহমান (চট্টগ্রাম) আ = আবু জামান (ঢাকা) ন = নূর মোহাম্মদ (চট্টগ্রাম)
এই টেকনিক অনুসারে, বীরশ্রেষ্ঠদের নামের প্রথম বর্ণগুলিকে একত্রিত করলে পাওয়া যায়, “সাত হাজার মোম আনো”। এই ছড়াটি মনে রাখা সহজ হওয়ায় বীরশ্রেষ্ঠদের নাম ও সেক্টর সমূহ মনে রাখা সহজ হয়।
অন্যান্য টেকনিকের মধ্যে রয়েছে:
- একক শব্দ ব্যবহার করা
বীরশ্রেষ্ঠদের নামের প্রথম বর্ণগুলিকে একত্রিত করে একটি একক শব্দ তৈরি করা যেতে পারে। যেমন, “হাজা” (হামিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর, রুহুল আমীন)। এই শব্দটি মনে রাখা সহজ হওয়ায় বীরশ্রেষ্ঠদের নাম ও সেক্টর সমূহ মনে রাখা সহজ হয়।
- বর্ণমালা অনুসারে সাজানো
বীরশ্রেষ্ঠদের নামগুলি বর্ণমালা অনুসারে সাজিয়ে মনে রাখা যেতে পারে। এই টেকনিকটি মনে রাখা সবচেয়ে সহজ।
- অন্য কোনও উপায়ে মনে রাখা
নিজের পছন্দমতো কোনও উপায়ে বীরশ্রেষ্ঠদের নাম ও সেক্টর সমূহ মনে রাখা যেতে পারে। যেমন, ছড়া, কবিতা, গল্প, ইত্যাদি।
কোনও একটি টেকনিক অনুসরণ করে বীরশ্রেষ্ঠদের নাম ও সেক্টর সমূহ মনে রাখা যায়।
কে কে বীরশ্রেষ্ঠ পুরস্কারে ভূষিত হন?
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্ব প্রদর্শনকারী ১৯ জন বীরকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তারা হলেন:
- ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ
- ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ
- নায়েক হামিদুর রহমান
- রাসেল শরীফ
- ল্যান্স নায়েক মতিউর রহমান
- ল্যান্স নায়েক নজরুল ইসলাম
- নায়েক মোস্তফা কামাল
- ল্যান্স নায়েক আবু জামান
- সৈনিক এম. কামাল উদ্দিন
- সৈনিক খালেদ মোশাররফ
- সৈনিক আবু বকর সিদ্দিক
- সৈনিক মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন
- সৈনিক জয়নাল আবেদীন
- সৈনিক রুহুল আমিন
- সৈনিক নুরুল ইসলাম
বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে ২ জন ছিলেন ল্যান্স নায়েক, ১০ জন ছিলেন নৌবাহিনীর সাবমেরিন যোদ্ধা, ৭ জন ছিলেন সেনাবাহিনীর সৈনিক।
বীরশ্রেষ্ঠদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের গল্প আমাদের জাতীয় ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে।
বীরশ্রেষ্ঠদের তালিকা:
পদবী | নাম |
---|---|
ল্যান্স নায়েক | মুন্সি আবদুর রউফ |
ল্যান্স নায়েক | নূর মোহাম্মদ |
নায়েক | হামিদুর রহমান |
রাসেল শরীফ | |
ল্যান্স নায়েক | মতিউর রহমান |
ল্যান্স নায়েক | নজরুল ইসলাম |
নায়েক | মোস্তফা কামাল |
ল্যান্স নায়েক | আবু জামান |
সৈনিক | এম. কামাল উদ্দিন |
সৈনিক | খালেদ মোশাররফ |
সৈনিক | আবু বকর সিদ্দিক |
সৈনিক | মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন |
সৈনিক | জয়নাল আবেদীন |
সৈনিক | রুহুল আমিন |
সৈনিক | নুরুল ইসলাম |