মিনু
বনফুলের লেখা মিনু গল্পটি একটি বোবা মেয়ে মিনুকে নিয়ে। মিনু তার মায়ের সাথে এক ছোট্ট গ্রামে থাকে। মিনু তার মায়ের খুব আদরের। মিনু খুব মেধাবী এবং কর্মঠ। সে সব কাজ করে যেগুলি বোবারা করতে পারে না। সে রান্না করে, ঘর-দোর পরিষ্কার করে, এমনকি মাঠে কাজও করে।
মিনুর বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। মিনু তার বাবার কথা খুব মনে করে। সে তার বাবার সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
একদিন মিনু শুনতে পায় যে তার বাবা অনেক দূরদেশে আছেন। মিনু খুব খুশি হয়। সে তার বাবার সাথে দেখা করার জন্য মনস্থির করে।
মিনু তার মাকে বলে যে সে তার বাবার সাথে দেখা করতে যাবে। মিনু তার মাকে আশ্বস্ত করে যে সে বাড়ি ফিরে আসবে।
মিনু তার বাবার দেখা করতে বেরিয়ে পড়ে। সে অনেক দূর পথ হেঁটে যায়। অবশেষে সে তার বাবার গ্রামে পৌঁছায়।
মিনু তার বাবার বাড়িতে যায়। কিন্তু সে দেখে যে তার বাবা নেই। তার বাবা অন্য দেশে চলে গেছেন।
মিনু খুব হতাশ হয়। সে তার বাবার সাথে দেখা করতে না পারায় খুব কষ্ট পায়।
মিনু তার বাবার বাড়িতে কিছুদিন থাকে। তারপর সে ফিরে আসে।
মিনু ফিরে এসে তার মাকে সব কথা বলে। তার মা মিনুকে বুঝিয়ে বলে যে তার বাবা আবার ফিরে আসবেন।
মিনু তার মায়ের কথায় শান্ত হয়। সে আবার তার মায়ের সাথে সুখে থাকতে থাকে।
গল্পের মূল বিষয়বস্তু
মিনু গল্পের মূল বিষয়বস্তু হলো প্রতিবন্ধীদের প্রতি আমাদের সহানুভূতিশীল হওয়া। মিনু একজন বোবা মেয়ে। কিন্তু সে তার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে জীবনে সফল হয়েছে। সে একজন মেধাবী এবং কর্মঠ মেয়ে। সে সব কাজ করে যেগুলি বোবারা করতে পারে না।
গল্পটি আমাদের বোঝায় যে প্রতিবন্ধিতা আমাদের জীবনে বাধা হতে পারে না। যদি আমরা সৎ এবং পরিশ্রমী হই তবে আমরা সবকিছু অর্জন করতে পারি।
গল্পের মূল চরিত্র
মিনু গল্পের মূল চরিত্র হলো মিনু। মিনু একজন বোবা মেয়ে। কিন্তু সে তার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে জীবনে সফল হয়েছে। সে একজন মেধাবী এবং কর্মঠ মেয়ে। সে সব কাজ করে যেগুলি বোবারা করতে পারে না।
মিনুর মা
মিনুর মা মিনুকে খুব ভালোবাসে। সে মিনুকে সবসময় সাহায্য করে। সে মিনুকে তার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে সাহায্য করেছে।
গল্পের শিক্ষা
মিনু গল্পটি আমাদের অনেক শিক্ষা দেয়। গল্পটি আমাদের বোঝায় যে:
- প্রতিবন্ধিতা আমাদের জীবনে বাধা হতে পারে না।
- যদি আমরা সৎ এবং পরিশ্রমী হই তবে আমরা সবকিছু অর্জন করতে পারি।
- ভালোবাসা এবং সহানুভূতি সব প্রতিবন্ধকতা জয় করতে পারে।