নারী ও শিশু নির্যাতন নিয়ে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ এর উদ্দেশ্য অতুলনীয় বিধান প্রনয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু নারী ও শিশু নির্যাতন ও প্রাসঙ্গিক ঘটনা আবেদনের প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন অপ্রয়োজনীয়’; যেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল।
ধারা ১ । সংক্ষিপ্ত শিরোনাম প্রবর্তন
- এই আইন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আই.২০০০ নামে অভিহিত হইবে।
- ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
- ২০০০ সনের ৮নং আইনে নূতন ধারা ৯ক এর সন্নিবেশ ।
- ধর্ষণের ফলশ্রুতিতে জণ্মলাভকারী শিশু সংক্রান্ত বিধান।
- নারি অর্থ যে কোনো বয়সে নারী।
ধারা ২। সংজ্ঞা– বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, আইনে–
( ক ) তড়াগ অর্থ এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ।
( খ) প্রণয়ন অর্থ বল প্রয়োগ বা প্রলুদ্ধ করিয়া বা বুঝাইয়া বা বুঝাইয়া বা ভীতি প্রদর্শক করিয়া কোন স্থান হইতে কোন ব্যক্তিকে অন্যত্র যাইটে বাধ্য করা।
(গ) আর্য ভট্ট কোন ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন স্থানে আটকাইয়া রাখা;
(ঘ) ট্রাইবুনাল ভরপুর এই আইনের অধীন অভিজ্ঞ কোনো ট্রাইবুনাল;
(ঙ) ধর্ষণ অর্থ ধারা৯ বিধান সাপেক্ষে , penal code 1860 (Act XLV of 1860 এর Section 375 rape সংজ্ঞায়ি;
(চ) নবজাত শিশু অর্থ চল্লিস দিন বয়সের কোন শিশু;
(ছ) নারী অর্থ যে কোন বয়সের নারী;
(জ) মুক্তিপণ অর্থ আর্থিক সুবিধা বা অন্য কোন প্রকারের সুবিধা;
(ঝ) ফৌজদারী কার্যবিধি অর্থ – Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);(ঞ) যৌতুক অর্থ -(অ ) কোন বিবাহের পর বাবরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সহিত্য জড়িত বরপক্ষের অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিবাহের সময় বা তৎপূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ বিচ্ছেদ থাকার শর্তে,বিবাহের পণ হিসাবে বিবাহের কনে পক্ষের নিকট দাবীকৃত অর্থ ,সামগ্রী বা কোন ওণয়বিধ সম্পদ;অথবা।
(ঞ) কোন বিবাহের কনে পক্ষ কর্তৃক বিবাহের বর বরের পিতী বা মাতা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহে সহিত জড়িত বরপক্ষের অন্য কোন ব্যক্তি কে উক্ত বিবাহের সময় বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকা কালে, বিবাহ থাকার শর্তে ,বিবাহের কোন হিসাবে প্রদত্ত বা প্রদানের সম্মত অর্থ সামগ্রিক বা অনবিধ সম্পদ।
(ট) শিশু অর্থ অনবিধ ষোল বছর বয়সের কোন ব্যক্তি;
(ঠ) হাইকোর্ট বিভাগ অরথ বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট এ হাইকোর্ট বিভাগ;
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ প্রয়োগ ক্ষেত্রে ধর্ষণ অপহরণ এসিড নিক্ষেপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
দন্ডবিধি ধর্ষণ ধর্ষণের ক্ষেত্রে কোন বয়সে আওতাভুক্ত যে সম্পদ সম্পর্কের নীতি সীমা নির্ধারণ করা বলে ও অএ আইনে নারীর বয়স সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
অস্ত্র আইনের উদ্দেশ্য নারীর বলতে যে কোন বয়সের নারী কে বুঝাবে। যেহেতু নারী বলতে যে কোন বয়সের নারীকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে সেহেতু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীন অপরাধের শিকার নারীর বয়স নির্ধারণ করা আইগত আবশ্যকতা নেই।
ধাপ ৩- আইনের প্রাধান্য- আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে।
স্রষ্টার সবথেকে কোন দুটি বৃষ্টির নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ করার সুহামন উদ্দেশ্য এই আইন প্রণীত হয়েছে।
তাই বর্তমানে বলদ যোগ্য অন্যান্য আইন এর প্রচলন থাকা সত্ত্বেও এ আইনটি বিশেষ প্রাধান্য লাভ করবে এবং সাধারন আইনের প্রাধান্য বারিত হয়ে যাবে। কোনো বিশেষ অপরাধ বা অবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ ধরনের আইন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ ( সংশোধিত ২০০৩) আইনটি nari-o-shishu সম্পর্কিত কতিপয় ঘৃণ্য ও জঘন্য অপরাধ দমনের জন্য প্রচলন করা হয়েছে।
আর তাই বর্তমান আইন টি দেশের বলৎ অন্যান্য অপরাধ সম্পর্কিত আইন এর উপর প্রাধান্য বিস্তার করেছে।
এজন্য ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, আপাতত বলৎ অন্য কোন আইন এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে।
নজীরবাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালত অর্থ সুপ্রিমকোর্ট সহজে কোন আদালতকে ব্যক্ত করা হয়েছে।
আর এই আইনের আওতায় ট্রাইবুনাল বিশেষ আইনের মাধ্যমে সৃষ্ট। সেই কারণে অপরাধ আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন উক্ত আইনের অধীনে গঠিত ট্রাইব্যুনালে উল্লেখ প্রবিধান বলি কার্যকর হবে।
ডিএলআর ১,৩২ (১৯৮০) কোন বিশেষ আইনে বর্ণিত বিশেষ ধরনের কার্যবিধি কে পুজারি কার্যবিধি–১৮৯৮ প্রভাবিত করবে না।
রাষ্ট্র বনাম ওয়নুর রহমান ৪০ ডিএলআর, ৩৪৬যেই কতরাত গুলোর জন্য বর্তমান আইন মোতাবেক উক্ত অপরাধের বিচার কার্য সম্পন্ন হবে।– ডিএলআর (১৯৫৮) ১৩৫-১৩৬।
ধারা- ৪ দহনকারী ইত্যাদি পদারুপ দ্বারা সংঘটিত অপরাধের শাস্তি( ১)যদি কোন ব্যক্তি দহনকারী, ক্ষমতা কারি অথবা বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা কোনো শিশু বা নারীর মৃত্যু ঘটান বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব একলক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(ক) দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি নষ্ট বা মুখমন্ডল স্তন বা যৌনাঙ্গ বিকৃত বা নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(খ) শরীরের অন্য কোন অঙ্গ গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হওয়ার বা শরীরের কোন স্থানে আঘাত পাওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি অনধিক 14 বছর ন্যূন সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(গ ) যদি কোন ব্যক্তি কোন বহনকারী 9curry অথবা বিষাক্ত পদার্থ কোন শিশু বা নারীর ওপর নিক্ষেপ করেন বা করার চেষ্টা করেন তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি তাহার উক্তরূপ কাজের দরুন সংশ্লিষ্ট শিশু বা নারীর শারীরিক মানসিক বা অন্য কোনো ভাবে কোনো ক্ষতি না হলেও অনধিক সাত বছর কিন্তু অন্যনতিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
(ঘ) এই ধারার অধীন অর্থদণ্ডের অর্থ প্রচলিত আইনে বিধান অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তির নিকট হইতে বা তাহার বিদ্যমান সম্পদ বা তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃত্যুর সময় রাখিয়া যাওয়া সম্পদ হইতে আদায় করিয়া অপরাধের দরুন যে ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে তার উত্তরাধিকারীকে বা ক্ষেত্র মত যে ব্যক্তি শারীরিক বা মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন সেই ব্যক্তিকে বা সেই ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাহার উত্তরাধিকারী উত্তরাধিকারীকে প্রদান করা হইবে
আলোচনাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারা যে সকল কারণে একজন ব্যক্তিকে অপরাধের দায়ে দন্ডিত করা যায় সেই সম্পর্কে দন্ডবিধির ৩২০ ধারা অনুযায়ী আটটি শ্রেণির আওতাভুক্ত বলে গণ্য হবে।
কিন্তু উক্ত আইনের উক্ত অপরাধসমূহের শাস্তির বিধান রয়েছে তবে যেহেতু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন একটি বিশেষ আইন সে কারণে অন্য আইনে যে বিধানই থাকুক না কেন অস্ত্র আইনের ধারা ৩ এর বিধান মোতাবেক এই আইনের বিধানাবলিই কার্যকর থাকবে ।
এবং নারী ও শিশু নির্যাতন কঠোর হস্তে দমন করার লক্ষ্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে; এবং পাশাপাশি অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
অস্ত্র আইনের ধারা ৪ অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি দহনকারী ক্ষমতা অথবা বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা কোন শিশু বা নারীর মৃত্যু ঘটায় বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করে তবে উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
SEC–5 PUNISHMENT FOR TRAFFICKING IN WOMEN ,ETC
ধারা ৫– রহিত
SEC–6 PUNISHMENT FOR TRAFFICKING IN WOMEN ,ETC
ধারা ৬– রহিত
SEC–7 PUNISHMENT FOR ABDUCTION OF WOMEN AND CHILD–If any person abducts any woman or child other than the purpose of comitting any offence as mentioned in section 5 , the shall be punished with imprisonment for life or not less than 14 years and shall also be liable to fine.
ধারা ৭-নারী ও শিশু অপহরণের শাস্তি- যদি কোন ধারা ৫-এ উল্লেখ উল্লেখিত কোন অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্য কোন নারী বা শিশুকে অপহরণ করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি কারাদ অন্যন 14 বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
আলোচনাঃ অস্ত্র আইনের ধারা ২(খ)অনুযায়ী অপহরণ বলতে বুঝাবে বলপ্রয়োগ বা প্রলুদ্ধ করে বা চুষলিয়ে বা ভুল বুঝিয়ে বা ভীতি প্রদর্শন করে কোন স্থান হতে কোন ব্যক্তিকে অন্য স্থানে যেতে বাধ্য করা ।পুষ্ট ধারায় নারী ও শিশু অপহরণের শাস্তির বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে।
নজীরঃইসলামী আইনে অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আইনত অভিভাবক হচ্ছেন পিতা। সে কারণে পিতা কর্তৃক মাতারাযো থেকে সন্তান নিয়ে যাওয়া কিংবা স্থানান্তর করা কি অপরাধ বলা যায় না
(৮) মুক্তিপণ আদায়ের শাস্তিঃ যদি কোন ব্যক্তি মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন নারী বা শিশুকে আটক করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।