ব্যাকরণ কাকে বলে? ব্যাকরণ কত প্রকার ও কি কি

ব্যাকরণ হল ভাষার কাঠামো ও ব্যবহারের বিজ্ঞান। এটি একটি নির্দিষ্ট ভাষার শব্দ, পদ, বাক্য, ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব ইত্যাদির গঠন ও ব্যবহারের নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা করে।

ব্যাকরণের সংজ্ঞা:

  • ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “যে শাস্ত্রে কোন ভাষাকে বিশ্লেষণ করে তার স্বরূপ, আকৃতি ও প্রয়োগনীতি বুঝিয়ে দেয়া হয়, সেই শাস্ত্রকে বলে সেই ভাষার ব্যাকরণ।”
  • প্রফেসর আলী আহমদের মতে, “ব্যাকরণ হল ভাষার বিন্যাস ও ব্যবহারের নিয়মাবলী।”

ব্যাকরণের প্রকারভেদ:

ব্যাকরণকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

  • বর্ণনামূলক ব্যাকরণ: যে ব্যাকরণ একটি ভাষার বর্তমান অবস্থাকে বিশ্লেষণ করে তার স্বরূপ, আকৃতি ও প্রয়োগনীতি বুঝিয়ে দেয়, তাকে বর্ণনামূলক ব্যাকরণ বলে।
  • ঐতিহাসিক ব্যাকরণ: যে ব্যাকরণ একটি ভাষার বিবর্তন ও পরিবর্তনের ধারাকে বিশ্লেষণ করে তার স্বরূপ, আকৃতি ও প্রয়োগনীতি বুঝিয়ে দেয়, তাকে ঐতিহাসিক ব্যাকরণ বলে।
  • তুলনামূলক ব্যাকরণ: যে ব্যাকরণ বিভিন্ন ভাষার মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য বিশ্লেষণ করে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক বুঝিয়ে দেয়, তাকে তুলনামূলক ব্যাকরণ বলে।
  • দার্শনিক বিচারমূলক ব্যাকরণ: যে ব্যাকরণ ভাষার স্বরূপ, আকৃতি ও প্রয়োগনীতির উপর দর্শনের আলোকে বিচার করে, তাকে দার্শনিক বিচারমূলক ব্যাকরণ বলে।

বাংলা ব্যাকরণকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়:

  • ধ্বনিতত্ত্ব: বাংলা ভাষার ধ্বনি, ধ্বনিব্যবস্থা, ধ্বনির উচ্চারণ ও স্বরলিপি নিয়ে আলোচনা করে।
  • শব্দতত্ত্ব: বাংলা ভাষার শব্দ, শব্দের উৎপত্তি, গঠন, অর্থ ও প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে।
  • ব্যাকরণ: বাংলা ভাষার পদ, বাক্য, বাক্যের গঠন ও প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে।

ব্যাকরণের গুরুত্ব:

ব্যাকরণের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যাকরণ শিক্ষার ফলে আমরা ভাষার সঠিক ব্যবহার শিখতে পারি। এর ফলে আমরা আরও সুন্দর ও সাবলীলভাবে ভাষা ব্যবহার করতে পারি। ব্যাকরণ শিক্ষা আমাদের ভাষার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। এছাড়াও, ব্যাকরণ শিক্ষা আমাদের ভাষার বিবর্তন ও পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।

ব্যাকরণ শব্দের অর্থ কী?

ব্যাকরণ শব্দের মূল অর্থ হল বিশ্লেষণ। ব্যাকরণ হল ভাষার কাঠামো ও ব্যবহারের বিজ্ঞান। এটি একটি নির্দিষ্ট ভাষার শব্দ, পদ, বাক্য, ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব ইত্যাদির গঠন ও ব্যবহারের নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা করে।

ব্যাকরণ শব্দটি সংস্কৃত “ব্যাকরণ” থেকে এসেছে। সংস্কৃত “ব্যাকরণ” শব্দটি দুটি শব্দের সমষ্টি: “ব্যাক” ও “রণ”। “ব্যাক” শব্দের অর্থ হল “বিশেষভাবে” এবং “রণ” শব্দের অর্থ হল “বিশ্লেষণ”। সুতরাং, ব্যাকরণ শব্দের অর্থ হল “বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করা”।

ব্যাকরণ শব্দের আরেকটি অর্থ হল “নিয়মকানুন”। ব্যাকরণ হল ভাষার নিয়মকানুন। এটি ভাষার সঠিক ব্যবহারের নিয়মকানুন প্রদান করে।

বাংলা ব্যাকরণকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়:

  • ধ্বনিতত্ত্ব: বাংলা ভাষার ধ্বনি, ধ্বনিব্যবস্থা, ধ্বনির উচ্চারণ ও স্বরলিপি নিয়ে আলোচনা করে।
  • শব্দতত্ত্ব: বাংলা ভাষার শব্দ, শব্দের উৎপত্তি, গঠন, অর্থ ও প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে।
  • ব্যাকরণ: বাংলা ভাষার পদ, বাক্য, বাক্যের গঠন ও প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে।

ব্যাকরণ শিক্ষার ফলে আমরা ভাষার সঠিক ব্যবহার শিখতে পারি। এর ফলে আমরা আরও সুন্দর ও সাবলীলভাবে ভাষা ব্যবহার করতে পারি। ব্যাকরণ শিক্ষা আমাদের ভাষার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। এছাড়াও, ব্যাকরণ শিক্ষা আমাদের ভাষার বিবর্তন ও পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *