খতিয়ান অনুসন্ধান
খতিয়ান অনুসন্ধান
খতিয়ান হলো ভূমি মালিকানা সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটি জমির মালিকানা, দাগ নম্বর, আয়তন, শ্রেণী, খাজনা ইত্যাদি তথ্য ধারণ করে। খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য প্রথমে আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের (ই-পর্চা eporcha) এই https://www.eporcha.gov.bd/: https://www.eporcha.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
খতিয়ান অনুসন্ধানের ধাপসমূহ:
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর, “খতিয়ান অনুসন্ধান” অপশনে ক্লিক করুন।
- একটি নতুন পেজ খুলবে। এই পেজে, আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে:
- বিভাগ: আপনি যে বিভাগের জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেই বিভাগ নির্বাচন করুন।
- জেলা: আপনি যে জেলার জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেই জেলা নির্বাচন করুন।
- উপজেলা: আপনি যে উপজেলার জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেই উপজেলা নির্বাচন করুন।
- মৌজা: আপনি যে মৌজার জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেই মৌজা নির্বাচন করুন।
- দাগ নম্বর: আপনি যে দাগের জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেই দাগ নম্বর প্রদান করুন।
- সমস্ত তথ্য প্রদান করার পর, “খতিয়ান অনুসন্ধান” বাটনে ক্লিক করুন।
খতিয়ান অনুসন্ধানের ফলাফল:
আপনার তথ্য সঠিক হলে, খতিয়ান অনুসন্ধানের ফলাফল পেয়ে যাবেন। এই ফলাফলের মধ্যে থাকবে:
- খতিয়ান নম্বর: জমির খতিয়ান নম্বর।
- দাগ নম্বর: জমির দাগ নম্বর।
- জমির মালিকের নাম: জমির মালিকের নাম।
- জমির আয়তন: জমির আয়তন।
- জমির শ্রেণী: জমির শ্রেণী।
- খাজনা: জমির খাজনা।
অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধানের সুবিধা:
- এটি একটি দ্রুত এবং সহজ পদ্ধতি।
- আপনি যেকোনো সময় এবং যেকোনো জায়গা থেকে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন।
- এটি একটি বিনামূল্যের সেবা।
অফলাইন খতিয়ান অনুসন্ধান
আপনি যদি অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে না পারেন, তাহলে আপনি অফলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে নিকটস্থ ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। ভূমি অফিসে, আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে:
- জমির অবস্থান: জমিটি কোথায় অবস্থিত।
- জমির মালিকের নাম: জমির মালিকের নাম।
- জমির দাগ নম্বর: জমির দাগ নম্বর।
ভূমি অফিস আপনার তথ্য যাচাই করে খতিয়ান অনুসন্ধান করে আপনাকে সরবরাহ করবে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ঢাকা বিভাগের, মানিকগঞ্জ জেলার, সিংগাইর উপজেলার, নলগড়া মৌজার, 123 নম্বর দাগের জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান, তাহলে আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে:
- বিভাগ: ঢাকা
- জেলা: মানিকগঞ্জ
- উপজেলা: সিংগাইর
- মৌজা: নলগড়া
- দাগ নম্বর: 123
এই তথ্য প্রদান করার পর, আপনি “খতিয়ান অনুসন্ধান” বাটনে ক্লিক করলে খতিয়ান অনুসন্ধানের ফলাফল পেয়ে যাবেন।
খতিয়ান সেবা কাঠামো
খতিয়ান সেবা কাঠামো
খতিয়ান হলো ভূমি মালিকানা সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটি জমির মালিকানা, দাগ নম্বর, আয়তন, শ্রেণী, খাজনা ইত্যাদি তথ্য ধারণ করে। খতিয়ান সংক্রান্ত সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর (এলআরডি) কাজ করে থাকে।
খতিয়ান সেবা কাঠামো নিম্নরূপ:
- মন্ত্রণালয়: ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান সেবা কাঠামোর সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ।
- অধিদপ্তর: ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর (এলআরডি) খতিয়ান সেবা প্রদানের জন্য দায়ী। এলআরডির প্রধান হলেন মহাপরিচালক।
- জেলা: প্রতিটি জেলায় একজন জেলা প্রশাসক (ডিসি) থাকেন। ডিসি খতিয়ান সেবা প্রদানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।
- উপজেলা: প্রতিটি উপজেলায় একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থাকেন। ইউএনও খতিয়ান সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ডিসির প্রতিনিধিত্ব করেন।
- ইউনিয়ন: প্রতিটি ইউনিয়নে একজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ইউএলও) থাকেন। ইউএলও খতিয়ান সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ইউএনওর প্রতিনিধিত্ব করেন।
খতিয়ান সেবা প্রদানের পদ্ধতি
খতিয়ান সেবা প্রদানের জন্য আবেদনকারীকে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে:
- জমির অবস্থান: জমিটি কোথায় অবস্থিত।
- জমির মালিকের নাম: জমির মালিকের নাম।
- জমির দাগ নম্বর: জমির দাগ নম্বর।
আবেদনকারী অনলাইনে বা অফলাইনে খতিয়ান সেবা প্রদানের জন্য আবেদন করতে পারেন।
অনলাইনে খতিয়ান সেবা প্রদান
অনলাইনে খতিয়ান সেবা প্রদানের জন্য আবেদনকারীকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ই-পর্চা ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর, আবেদনকারীকে “খতিয়ান অনুসন্ধান” অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর, আবেদনকারীকে উপরে উল্লেখিত তথ্য প্রদান করতে হবে।
সমস্ত তথ্য প্রদান করার পর, আবেদনকারীকে “খতিয়ান অনুসন্ধান” বাটনে ক্লিক করতে হবে। আবেদনকারীর তথ্য সঠিক হলে, আবেদনকারীর সামনে খতিয়ান প্রদর্শিত হবে।
অফলাইনে খতিয়ান সেবা প্রদান
অফলাইনে খতিয়ান সেবা প্রদানের জন্য আবেদনকারীকে নিকটস্থ ভূমি অফিসে যেতে হবে। ভূমি অফিসে, আবেদনকারীকে উপরে উল্লেখিত তথ্য প্রদান করতে হবে। ভূমি অফিস আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে খতিয়ান প্রদান করবে।
আর এস খতিয়ান অনলাইন
আর এস খতিয়ান অনলাইন
আর এস খতিয়ান হলো ভূমি জরিপের মাধ্যমে প্রণীত খতিয়ান। এই খতিয়ানে জমির মালিকানা, দাগ নম্বর, আয়তন, শ্রেণী, খাজনা ইত্যাদি তথ্য ধারণ করা হয়। আর এস খতিয়ান অনলাইনে পাওয়া যায়।
আর এস খতিয়ান অনলাইনে পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:
- ভূমি মন্ত্রণালয়ের ই-পর্চা ওয়েবসাইটে যান।
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর, “খতিয়ান অনুসন্ধান” অপশনে ক্লিক করুন।
- একটি নতুন পেজ খুলবে। এই পেজে, আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে:
- বিভাগ: আপনি যে বিভাগের জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেই বিভাগ নির্বাচন করুন।
- জেলা: আপনি যে জেলার জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেই জেলা নির্বাচন করুন।
- উপজেলা: আপনি যে উপজেলার জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেই উপজেলা নির্বাচন করুন।
- মৌজা: আপনি যে মৌজার জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেই মৌজা নির্বাচন করুন।
- দাগ নম্বর: আপনি যে দাগের জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেই দাগ নম্বর প্রদান করুন।
- সমস্ত তথ্য প্রদান করার পর, “খতিয়ান অনুসন্ধান” বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার তথ্য সঠিক হলে, খতিয়ান অনুসন্ধানের ফলাফল পেয়ে যাবেন। এই ফলাফলের মধ্যে থাকবে:
- খতিয়ান নম্বর: জমির খতিয়ান নম্বর।
- দাগ নম্বর: জমির দাগ নম্বর।
- জমির মালিকের নাম: জমির মালিকের নাম।
- জমির আয়তন: জমির আয়তন।
- জমির শ্রেণী: জমির শ্রেণী।
- খাজনা: জমির খাজনা।
অনলাইনে আর এস খতিয়ান সংগ্রহের সুবিধা:
- এটি একটি দ্রুত এবং সহজ পদ্ধতি।
- আপনি যেকোনো সময় এবং যেকোনো জায়গা থেকে আর এস খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারবেন।
- এটি একটি বিনামূল্যের সেবা।
অফলাইনে আর এস খতিয়ান সংগ্রহ
আপনি যদি অনলাইনে আর এস খতিয়ান সংগ্রহ করতে না পারেন, তাহলে আপনি অফলাইনে আর এস খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে নিকটস্থ ভূমি অফিসে যেতে হবে। ভূমি অফিসে, আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে:
- জমির অবস্থান: জমিটি কোথায় অবস্থিত।
- জমির মালিকের নাম: জমির মালিকের নাম।
- জমির দাগ নম্বর: জমির দাগ নম্বর।
ভূমি অফিস আপনার তথ্য যাচাই করে আর এস খতিয়ান প্রদান করবে।