বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর কাজ কি?
বাংলাদেশ আনসার বাহিনী বাংলাদেশের একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। এটি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি সংস্থা। আনসার বাহিনী মূলত দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে। এছাড়াও, আনসার বাহিনী বিভিন্ন সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজেও অংশগ্রহণ করে।
আনসার বাহিনীর প্রধান কাজ হল:
- দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষা
- অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা
- সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ
আনসার বাহিনীর নির্দিষ্ট কাজগুলো হল:
- দেশের সীমান্ত ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা
- অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ
- নির্বাচনী সহায়তা প্রদান
- প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানবিক সহায়তা প্রদান
- জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি
- সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ
আনসার বাহিনী একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, আনসার বাহিনী বিভিন্ন সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে।
আনসার একাডেমির বর্তমান নাম কি?
১৯৭৬ সালে “ন্যাশনাল ট্রেইনিং সেন্টার” নামে এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮২ সালে এর নাম বদলে আনসার ট্রেইনিং স্কুল রাখা হয়। সেসময় প্রতিষ্ঠানটিকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপেজলার শফিপুরে স্থানান্তরিত করা হয়।
১৯৮৬ সালে পুনরায় এর নামকরণ হয় আনসার একাডেমি। সবশেষে ১৯৯৫ সালে আনসার-ভিডিপি বাহিনীর আইন পাশ হওয়ার পর এই প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ হয় বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি একাডেমি।
আনসার ভিডিপি প্রধান কে ২০২৩?
২০২৩ সালের ৭ই জুলাই, বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হিসেবে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি একজন পেশাদার সামরিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেল। তিনি ২০২৩ সালের ১৫ই জুলাই তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল আলী ১৯৬২ সালের ১লা জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে ১৯৮২ সালে কমিশন লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে:
- ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক
- বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্রশিক্ষণ পরিচালক
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ)
তিনি বিভিন্ন সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে:
- বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (কমান্ড কোর্স)
- ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমি (কমান্ড কোর্স)
- যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কলেজ (কমান্ড কোর্স)
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল আলী একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ সামরিক কর্মকর্তা। তিনি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হিসেবে বাহিনীর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও দক্ষ করে তুলতে কাজ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আনসার ভিডিপি চাকরির মেয়াদ কত বছর?
আনসার ভিডিপি চাকরির মেয়াদ সাধারণত তিন বছর। তবে, চাকরি সন্তোষজনক হলে তা ছয় বছর পর্যন্ত স্থায়ী করা যেতে পারে।
সাধারণ আনসার হিসেবে চাকরি পেতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে। বয়সসীমা হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। প্রার্থীর শারীরিক উচ্চতা পুরুষদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে।
ব্যাটালিয়ন আনসার হিসেবে চাকরি পেতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই ন্যূনতম এসএসসি পাস হতে হবে। বয়সসীমা হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে। প্রার্থীর শারীরিক উচ্চতা পুরুষদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে।
ভিডিপি হিসেবে চাকরি পেতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে। বয়সসীমা হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। প্রার্থীর শারীরিক উচ্চতা পুরুষদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে।
আনসার ভিডিপি চাকরিতে প্রার্থীদের ১৮ দিনের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রার্থীদের অঙ্গীভূত করা হয়।
সাধারণ আনসার কত তম গ্রেড?
সাধারণ আনসার ১৪তম গ্রেড।
বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে গ্রেড হল কর্মচারীদের পদমর্যাদার একটি নির্দেশক। সাধারণ আনসারদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ১৪তম গ্রেড অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
১৪তম গ্রেডের বেতন স্কেল হল ৮ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২২ হাজার ২৫০ টাকা পর্যন্ত।