ভৌগলিক উপাত্ত
ভৌগলিক অবস্থান
সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত একটি দেশ। এটি উত্তরে জর্দান এবং ইরাক, পূর্বে ইরান, দক্ষিণে ইয়েমেন এবং ওমান এবং পশ্চিমে লোহিত সাগর এবং ভূমধ্যসাগর দ্বারা বেষ্টিত।
সৌদি আরবের আয়তন 2,149,690 বর্গকিলোমিটার (830,000 বর্গমাইল), যা এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলির মধ্যে একটি করে তোলে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ এবং বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ।
ভূ-পৃষ্ঠ
সৌদি আরবের ভূ-পৃষ্ঠ বেশিরভাগ মরুভূমি। দেশটির উত্তর-পশ্চিম অংশে রয়েছে হিজাজ পর্বতমালা, যা লোহিত সাগরের উপকূলে অবস্থিত। এই পর্বতমালার উচ্চতা 2,500 মিটার (8,200 ফুট) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় অংশটি মরুভূমি, যা আরব মরুভূমির অংশ। এই মরুভূমিতে প্রচুর পরিমাণে বালি এবং পাথর রয়েছে।
সৌদি আরবের দক্ষিণাংশে রয়েছে নজদ মরুভূমি, যা আরব মরুভূমির সবচেয়ে শুষ্ক অংশ। এই মরুভূমিতে প্রচুর পরিমাণে বালি এবং পাথর রয়েছে।
জলবায়ু
সৌদি আরবের জলবায়ু অত্যন্ত শুষ্ক এবং গরম। দেশের বেশিরভাগ অংশে গড় তাপমাত্রা বছরের বেশিরভাগ সময় 30 ডিগ্রি সেলসিয়াসের (86 ডিগ্রি ফারেনহাইট) উপরে থাকে। বৃষ্টিপাত খুবই কম, বছরে মাত্র 50 মিলিমিটার (2 ইঞ্চি) বা তারও কম।
জল সম্পদ
সৌদি আরব জল সম্পদে খুবই স্বল্প। দেশের বেশিরভাগ অংশে ভূগর্ভস্থ জল পাওয়া যায় না। তাই, দেশের বেশিরভাগ পানি আমদানি করা হয়।
সৌদি আরবের কিছু নদী রয়েছে, তবে এগুলি শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়। দেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেটিস নদীর কিছু শাখা রয়েছে।
জনসংখ্যা
সৌদি আরবের জনসংখ্যা প্রায় 34 মিলিয়ন। দেশের বেশিরভাগ মানুষ আরব। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জনসংখ্যা গোষ্ঠীগুলির মধ্যে রয়েছে ইরানি, ভারতীয় এবং পাকিস্তানি।
সৌদি আরবের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর রিয়াদ। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে রয়েছে জেদ্দা, মক্কা এবং মদিনা।
অর্থনীতি
সৌদি আরবের অর্থনীতিতে তেল খাত প্রাধান্য পায়। তেল রপ্তানি দেশের মোট জিডিপির প্রায় 70% অবদান রাখে।
সৌদি আরব অন্যান্য শিল্পেও বিনিয়োগ করছে, যার মধ্যে রয়েছে নির্মাণ, পর্যটন এবং কৃষি।
পরিবহন
সৌদি আরব একটি বিস্তৃত সড়ক নেটওয়ার্ক দ্বারা সংযুক্ত। দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলির মধ্যে রয়েছে জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
সৌদি আরব একটি বড় সমুদ্রবন্দর দেশ। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরগুলির মধ্যে রয়েছে জেদ্দা বন্দর, রিয়াদ বন্দর এবং দাম্মাম বন্দর।
সৌদি আরবের ভৌগলিক ডেটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দেশটির অবস্থান, ভূ-পৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্য এবং জনসংখ্যা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। এই তথ্যটি দেশটির পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।