বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণ খনির নাম কি?
বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণ খনির নাম হল মুরুনতাউ গোল্ড ডিপোসিট। এটি উজবেকিস্তানের ক়াজাকস্তান সীমান্তে অবস্থিত। ২০২৩ সালে, এই খনি থেকে প্রায় ৬০ টন স্বর্ণ উৎপাদিত হয়েছিল। এটি এখনও খননের জন্য প্রায় ৫০০০ টন স্বর্ণ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
মুরুনতাউ গোল্ড ডিপোসিটটি একটি খোলা খনি। এটি ১৯৬৭ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং ১৯৭২ সালে থেকে খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এই খনিটি পরিচালনা করে উজবেক সরকার এবং নাভয়ি মাইনিং কোম্পানি।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণ খনির নাম হল আলগাডো গোল্ড ডিপোসিট। এটি পেরুতে অবস্থিত। ২০২৩ সালে, এই খনি থেকে প্রায় ৫৫ টন স্বর্ণ উৎপাদিত হয়েছিল। এটি এখনও খননের জন্য প্রায় ৩০০০ টন স্বর্ণ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্বর্ণ খনির নাম হল নিউমন্ট বোডিংটন গোল্ডফিল্ড। এটি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে অবস্থিত। ২০২৩ সালে, এই খনি থেকে প্রায় ৪৫ টন স্বর্ণ উৎপাদিত হয়েছিল। এটি এখনও খননের জন্য প্রায় ৫০০০ টন স্বর্ণ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সোনা কি ধাতু নাকি অধাতু
সোনা একটি ধাতু।
ধাতুগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
- ধাতুগুলি সাধারণত কঠিন হয়।
- ধাতুগুলি সাধারণত তড়িৎ পরিবাহী হয়।
- ধাতুগুলি সাধারণত চৌম্বক হয়।
- ধাতুগুলি সাধারণত দীপ্ত হয়।
সোনাও এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি দেখায়। সোনা একটি কঠিন পদার্থ, এটি তড়িৎ এবং চৌম্বক পরিবাহী এবং এটি একটি দীপ্ত পদার্থ।
অন্যদিকে, অধাতুগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
- অধাতুগুলি সাধারণত নরম হয়।
- অধাতুগুলি সাধারণত তড়িৎ অপরিবাহী হয়।
- অধাতুগুলি সাধারণত চৌম্বক নয়।
- অধাতুগুলি সাধারণত অস্বচ্ছ হয়।
সোনা এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি দেখায় না। সুতরাং, সোনা একটি ধাতু।
এছাড়াও, রাসায়নিকভাবে সোনা একটি ধাতু। সোনাতে ধাতুর ইলেকট্রন বিন্যাস রয়েছে। সোনার ইলেকট্রন বিন্যাস হল [Xe] 4f14 5d10 6s1। এই ইলেকট্রন বিন্যাসে, সোনার শেষ ইলেকট্রনটি 6s কক্ষপথে রয়েছে। 6s কক্ষপথটি একটি s কক্ষপথ, যা সাধারণত ধাতুর বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য দায়ী।
সুতরাং, রাসায়নিক এবং শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে, সোনা একটি ধাতু।
স্বর্ণ প্রাকৃতিকভাবে কোথায় পাওয়া যায়
স্বর্ণ প্রাকৃতিকভাবে পৃথিবীর ভূত্বকে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত আকরিকগুলিতে পাওয়া যায়, যেগুলি হল পৃথিবীর ভূত্বকে পাওয়া খনিজ পদার্থের সমন্বয়। স্বর্ণ আকরিকগুলিতে সোনা সাধারণত অন্যান্য ধাতুগুলির সাথে সংযুক্ত থাকে, যেমন আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, তামা, এবং পারদ।
স্বর্ণ প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় এমন কিছু সাধারণ জায়গা হল:
- আগ্নেয়গিরি: আগ্নেয়গিরির লাভা এবং ছাইতে স্বর্ণ পাওয়া যায়।
- ভূগর্ভস্থ জল: ভূগর্ভস্থ জলে স্বর্ণ পাওয়া যায়।
- নদী: নদীর বালি এবং পলিতে স্বর্ণ পাওয়া যায়।
- মহাসাগর: মহাসাগরের তলদেশে স্বর্ণ পাওয়া যায়।
স্বর্ণের আকরিকগুলি সাধারণত খনি থেকে খনন করে উত্তোলন করা হয়। খনি খনন করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যেমন খোলা খনি, গভীর খনি, এবং বায়ুচলাচল খনি।
স্বর্ণের আকরিকগুলি থেকে স্বর্ণ উত্তোলন করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যেমন ভাজা, দ্রবীভূতকরণ, এবং বৈদ্যুতিন বিশ্লেষণ।
স্বর্ণ একটি মূল্যবান ধাতু। এটি গহনা, ইলেকট্রনিক্স, এবং অন্যান্য শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
সোনা ধাতু ও অধাতু চেনার উপায়
ধাতু ও অধাতু চেনার উপায়গুলি হল:
শারীরিক বৈশিষ্ট্য
- কঠিনতা: ধাতুগুলি সাধারণত কঠিন হয়, তবে কিছু ধাতু, যেমন পারদ, তরল হয়। অধাতুগুলির মধ্যে কঠিন, তরল, বা গ্যাসীয় হতে পারে।
- তাপ পরিবাহিতা: ধাতুগুলি সাধারণত তাপের ভালো পরিবাহক হয়। অধাতুগুলি সাধারণত তাপের খারাপ পরিবাহক হয়।
- বিদ্যুৎ পরিবাহিতা: ধাতুগুলি সাধারণত বিদ্যুতের ভালো পরিবাহক হয়। অধাতুগুলি সাধারণত বিদ্যুতের খারাপ পরিবাহক হয়।
- চৌম্বক ধর্ম: কিছু ধাতু, যেমন লোহা, চৌম্বক হয়। অধাতুগুলি সাধারণত চৌম্বক হয় না।
- দীপ্তি: ধাতুগুলি সাধারণত দীপ্ত হয়। অধাতুগুলি সাধারণত দীপ্ত হয় না।
রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য
- ইলেকট্রন বিন্যাস: ধাতুগুলির সাধারণত s বা d কক্ষপথে 1 বা 2 টি মুক্ত ইলেকট্রন থাকে। অধাতুগুলির সাধারণত s, p, বা d কক্ষপথে 3 বা 4 টি বা তার বেশি মুক্ত ইলেকট্রন থাকে।
- রাসায়নিক বন্ধন: ধাতুগুলি সাধারণত ধাতব বন্ধন গঠন করে। অধাতুগুলি সাধারণত আয়নিক, কোভ্যালেন্ট, বা সমযোজী বন্ধন গঠন করে।
সোনা
সোনা একটি ধাতু। সোনার শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
- কঠিনতা: সোনা একটি কঠিন পদার্থ।
- তাপ পরিবাহিতা: সোনা একটি ভালো তাপ পরিবাহক।
- বিদ্যুৎ পরিবাহিতা: সোনা একটি ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহক।
- চৌম্বক ধর্ম: সোনা চৌম্বক হয় না।
- দীপ্তি: সোনা একটি দীপ্ত পদার্থ।
সোনার রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
- ইলেকট্রন বিন্যাস: সোনার ইলেকট্রন বিন্যাস হল [Xe] 4f14 5d10 6s1। এই ইলেকট্রন বিন্যাসে, সোনার শেষ ইলেকট্রনটি 6s কক্ষপথে রয়েছে।
- রাসায়নিক বন্ধন: সোনা ধাতব বন্ধন গঠন করে।
সুতরাং, সোনা একটি ধাতু।