কমলা হ্যারিস কী অর্জন করেছেন
কমলা হ্যারিস একজন আমেরিকান রাজনীতিবিদ এবং অ্যাটর্নি, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট । তিনি মার্কিন ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট, একই সাথে তিনি প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান এবং প্রথম এশিয়ান আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট।
। তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন সদস্য। তিনি ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন।
কমলা হ্যারিস তার কর্মজীবনে অনেক অর্জন করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে:
- ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে, তিনি মাদক বিরোধী নীতিতে পরিবর্তন আনেন এবং পুলিশের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করেন। তিনি সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়ে একটি শক্তিশালী কণ্ঠ হিসেবে আবির্ভূত হন।
- ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর হিসেবে, তিনি স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য কাজ করেন। তিনি বৈষম্য ও বৈষম্য দূর করার জন্যও কাজ করেন।
- ২০২০ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে, তিনি জো বিডেনের রানিং মেট হিসেবে মনোনীত হন। তারা নির্বাচনে জয়ী হন এবং হ্যারিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা, প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান এবং প্রথম এশিয়ান আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।
কমলা হ্যারিস তার কর্মজীবনে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি একজন নারী, একজন আফ্রিকান আমেরিকান এবং একজন এশিয়ান আমেরিকান হিসাবে বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু তিনি এই চ্যালেঞ্জগুলিকে অতিক্রম করে তার লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছেন।
কমলা হ্যারিস একজন অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তিত্ব। তিনি নারী, আফ্রিকান আমেরিকান এবং এশিয়ান আমেরিকানদের জন্য একটি রোল মডেল। তিনি তার অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বকে একটি ন্যায়সঙ্গত এবং সমতাপূর্ণ স্থান করে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট’ কমলা হ্যারিস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এখনো একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারী থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এখনো অনেক দূরে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীই স্পষ্টভাবে এগিয়ে নেই। তবে কমলা হ্যারিস একজন জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। তিনি একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ইস্যুতে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে থাকেন।
কমলা হ্যারিস’ এর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা
কমলা হ্যারিস’ এর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশ ভালো। তিনি একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ইস্যুতে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে থাকেন। তিনি একজন নারী এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান এবং প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।
কমলা হ্যারিস’ এর প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ
কমলা হ্যারিস’ এর প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি একজন নতুন রাজনীতিবিদ এবং তিনি এখনো অনেক সময় ধরে জনগণের কাছে পরিচিত নন। তিনি একজন নারী এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান এবং প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, যা কিছু মানুষের মধ্যে আপত্তি সৃষ্টি করতে পারে।
পরিশেষে বলা যায়, কমলা হ্যারিস’ এর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশ ভালো। তবে তার পক্ষে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি যদি এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারেন, তাহলে তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।
কমলা হ্যারিস ২০২৪ সালেও বাইডেনের রানিংমেট হচ্ছেন
২০২৪ সালেও কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রানিংমেট হচ্ছেন। বাইডেন ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি বলেছেন যে তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং তার রানিংমেট হবেন কমলা হ্যারিস।
বাইডেন এবং হ্যারিস ২০২০ সালের নির্বাচনে একসাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হন এবং হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান এবং প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান রানিংমেট।
বাইডেন এবং হ্যারিস ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও একসাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা নিয়ে কিছু জল্পনা ছিল। তবে বাইডেনের ঘোষণার পর এই জল্পনা নিষ্পত্তি হয়।
বাইডেন এবং হ্যারিস ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাদের প্রতিপক্ষ কে হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আছেন যারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী।
দেড় ঘণ্টার প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস
২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি নিয়মিত কলোনোস্কোপি করার জন্য অ্যানেস্থেশিয়া দেন। এই সময়, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস প্রায় ৮৫ মিনিটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িক প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
এই সময়ের মধ্যে, হ্যারিস সেনাবাহিনী এবং পারমাণবিক শক্তির উপর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি কয়েকটি ফোন কল করেন এবং তার দলকে নির্দেশ দেন। তিনি তার ভাইস প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এই সময়কালটি কাটিয়েছিলেন।
হ্যারিসের এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বারা নির্ধারিত। সংবিধানে বলা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট যদি অসুস্থ বা অক্ষম হন তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট সাময়িক প্রেসিডেন্ট হবেন।
হ্যারিসের এই পদক্ষেপটি একটি ইতিহাসে দাঁড়িয়েছিল কারণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয়-আমেরিকান ছিলেন যিনি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন।
বেগুনি কোট পরে শপথ নিলেন কমলা হ্যারিস
২০২১ সালের ২০ জানুয়ারী, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় কমলা হ্যারিস বেগুনি রঙের কোট পরেছিলেন। এই রঙটি নারীবাদ এবং ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়।
হ্যারিস তার শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে বেগুনি রঙের কোট পরেছিলেন যাতে তিনি নারীদের এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে পারেন। তিনি বলেছিলেন যে বেগুনি রঙ “আমাদের ঐতিহ্যের ঐক্য” এবং “আমাদের ভবিষ্যতের সম্ভাবনা”র প্রতীক।
হ্যারিস তার শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে বেগুনি রঙের কোট পরেছিলেন যা একটি ইতিহাসে দাঁড়িয়েছিল কারণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা, প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান এবং প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
বেগুনি রঙের কোট ছাড়াও, হ্যারিস তার শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে একটি কালো স্কার্ট এবং একটি সাদা ব্লাউজ পরেছিলেন। তিনি তার মাথায় একটি কালো টুপি পরেছিলেন।
কমলা হ্যারিস করোনায় আক্রান্ত
২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল, হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। তিনি একটি র্যাপিড এবং পিসিআর পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছেন।
হ্যারিসের শরীরে কোনো উপসর্গ নেই। তিনি হোয়াইট হাউসে আইসোলেশনে রয়েছেন এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
হ্যারিসের স্বামী, ডগলাস এমহফ, গত মার্চ মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
হ্যারিসের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাড়া ফেলেছে। তিনি মার্কিন ইতিহাসে প্রথম মহিলা, প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান এবং প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট।