জাপানের মুদ্রার নাম ইয়েন। ইয়েনের প্রতীক হল ¥ এবং ব্যাংক কোড হল JPY। ইয়েন হল বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে তৃতীয় সর্বাধিক লেনদেনযোগ্য মুদ্রা, মার্কিন ডলার এবং ইউরোর পরে। এটি একটি রিজার্ভ মুদ্রা হিসাবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
ইয়েন ১৮৭১ সালে জাপানের মেইজি সরকার দ্বারা চালু হয়েছিল। এটি প্রাচীন জাপানি মুদ্রা, রিঙ্গোয়েন, এর পরিবর্তে আনা হয়েছিল। ইয়েন শব্দটি জাপানি শব্দ “মাসা” থেকে এসেছে, যার অর্থ “বৃত্তাকার”, যা মুদ্রার আকৃতির প্রতিফলন।
ইয়েন বিভিন্ন মূল্যমানের ব্যাংকনোট এবং কয়েনে আসে। বর্তমানে জাপানে ব্যবহৃত ব্যাংকনোটের মূল্যমান হল ১,০০০, ৫,০০০, ১০,০০০ এবং ৫০,০০০ ইয়েন। ১, 5, 1০, ¥৫০, ¥১০০, ¥৫০০ এবং ¥1,০০০ মূল্যমানের কয়েনও রয়েছে।
জাপান একটি উন্নত এবং শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হয়েও কেন তাদের মুদ্রার মূল্য বাংলাদেশের চেয়ে কম?
জাপান একটি উন্নত এবং শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হলেও তাদের মুদ্রার মূল্য বাংলাদেশের চেয়ে কম হওয়ার মূল কারণ হল জাপানি সরকারের অবমূল্যায়ন নীতি। জাপান সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের মুদ্রার মূল্য কমিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এটি করার কারণ হল জাপানি পণ্যগুলিকে বিদেশে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা এবং জাপানি রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
জাপানি সরকারের অবমূল্যায়ন নীতির ফলে জাপানি মুদ্রার মূল্য দীর্ঘদিন ধরে কমে আসছে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত ১ ডলার সমান প্রায় ১৩৫ ইয়েন। অন্যদিকে, বাংলাদেশি টাকার মূল্য দীর্ঘদিন ধরে বাড়ছে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত ১ ডলার সমান প্রায় ৮৫ টাকা।
জাপানি সরকারের অবমূল্যায়ন নীতির ফলে জাপানের অর্থনীতিতে কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জাপানি পণ্যগুলি বিদেশে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে এবং জাপানি রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই নীতির কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। জাপানি পণ্যগুলি বিদেশে বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে এবং জাপানি আমদানি কমেছে।
জাপানি মুদ্রার মূল্য কমে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশিদের জন্য জাপানে ভ্রমণ এবং পণ্য আমদানি করা সহজ হয়েছে। তবে, জাপানিদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং পণ্য আমদানি করা কঠিন হয়েছে।
জাপান একটি উন্নত রাষ্ট্র কিন্তু এর মুদ্রার মান এত কম কেন?
জাপান একটি উন্নত রাষ্ট্র হলেও এর মুদ্রার মান কম হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
- জাপানি সরকারের অবমূল্যায়ন নীতি: জাপান সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের মুদ্রার মূল্য কমিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এটি করার কারণ হল জাপানি পণ্যগুলিকে বিদেশে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা এবং জাপানি রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
- জাপানি অর্থনীতির কাঠামো: জাপানের অর্থনীতি মূলত রপ্তানি নির্ভর। জাপানি পণ্যগুলির জন্য বিশ্বব্যাপী চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, জাপানি আমদানির চাহিদাও বেশি। এর ফলে জাপানি মুদ্রার চাহিদা কমে যায় এবং মুদ্রার মান কমে যায়।
- জাপানি জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও বার্ধক্য: জাপানের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বার্ধক্যে পৌঁছছে। এর ফলে শ্রমশক্তির ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং জাপানি অর্থনীতিতে চাপ বেড়েছে। এর ফলে জাপানি মুদ্রার মান কমে যায়।
জাপানি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে জাপানের অর্থনীতিতে কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জাপানি পণ্যগুলি বিদেশে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে এবং জাপানি রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই নীতির কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। জাপানি পণ্যগুলি বিদেশে বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে এবং জাপানি আমদানি কমেছে।
জাপানি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশিদের জন্য জাপানে ভ্রমণ এবং পণ্য আমদানি করা সহজ হয়েছে। তবে, জাপানিদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং পণ্য আমদানি করা কঠিন হয়েছে।
জাপানের মুদ্রার মান কত
জাপানের মুদ্রার মান কম। ২০২৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত, ১ মার্কিন ডলার সমান প্রায় ১৩৫ ইয়েন। অর্থাৎ, জাপানি ইয়েন মার্কিন ডলারের তুলনায় প্রায় ৮ গুণ কম মূল্যবান।
জাপানের মুদ্রার মান কম হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- জাপানি সরকারের অবমূল্যায়ন নীতি: জাপান সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের মুদ্রার মূল্য কমিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এটি করার কারণ হল জাপানি পণ্যগুলিকে বিদেশে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা এবং জাপানি রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
- জাপানি অর্থনীতির কাঠামো: জাপানের অর্থনীতি মূলত রপ্তানি নির্ভর। জাপানি পণ্যগুলির জন্য বিশ্বব্যাপী চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, জাপানি আমদানির চাহিদাও বেশি। এর ফলে জাপানি মুদ্রার চাহিদা কমে যায় এবং মুদ্রার মান কমে যায়।
- জাপানি জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও বার্ধক্য: জাপানের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বার্ধক্যে পৌঁছছে। এর ফলে শ্রমশক্তির ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং জাপানি অর্থনীতিতে চাপ বেড়েছে। এর ফলে জাপানি মুদ্রার মান কমে যায়।
জাপানি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে জাপানের অর্থনীতিতে কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জাপানি পণ্যগুলি বিদেশে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে এবং জাপানি রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই নীতির কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। জাপানি পণ্যগুলি বিদেশে বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে এবং জাপানি আমদানি কমেছে।
জাপানি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশিদের জন্য জাপানে ভ্রমণ এবং পণ্য আমদানি করা সহজ হয়েছে। তবে, জাপানিদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং পণ্য আমদানি করা কঠিন হয়েছে।
জাপানের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
জাপানের ১ ইয়েন বাংলাদেশি টাকায় ০.৭৭ টাকার সমান।
২০২৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত, ১ মার্কিন ডলার সমান প্রায় ১৩৫ ইয়েন। অর্থাৎ, ১ ইয়েন মার্কিন ডলারের তুলনায় প্রায় ৮ গুণ কম মূল্যবান। বাংলাদেশি টাকা মার্কিন ডলারের তুলনায় কিছুটা কম মূল্যবান। তাই, জাপানের ১ ইয়েন বাংলাদেশি টাকায় ০.৭৭ টাকার সমান।
অতএব, জাপানের ১ টাকা বাংলাদেশি টাকায় ০.৭৭ টাকার সমান।
বাংলাদেশের থেকে কি সত্যি জাপানের মুদ্রার মূল্য কম?
বাংলাদেশের থেকে জাপানের মুদ্রার মূল্য কম। ২০২৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত, ১ মার্কিন ডলার সমান প্রায় ১৩৫ ইয়েন। অর্থাৎ, ১ ইয়েন মার্কিন ডলারের তুলনায় প্রায় ৮ গুণ কম মূল্যবান। বাংলাদেশি টাকা মার্কিন ডলারের তুলনায় কিছুটা কম মূল্যবান। তাই, জাপানের ১ ইয়েন বাংলাদেশি টাকায় ০.৭৭ টাকার সমান।
অতএব, বাংলাদেশের ১ টাকা বাংলাদেশি টাকায় ০.৭৭ টাকার সমান।
এটি একটি সাধারণ ধারণা যে জাপান একটি উন্নত দেশ এবং তাই তাদের মুদ্রার মূল্যও বেশি হবে। তবে, এটি সবসময় সত্য নয়। জাপানের মুদ্রার মূল্য কম হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- জাপানি সরকারের অবমূল্যায়ন নীতি: জাপান সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের মুদ্রার মূল্য কমিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এটি করার কারণ হল জাপানি পণ্যগুলিকে বিদেশে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা এবং জাপানি রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
- জাপানি অর্থনীতির কাঠামো: জাপানের অর্থনীতি মূলত রপ্তানি নির্ভর। জাপানি পণ্যগুলির জন্য বিশ্বব্যাপী চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, জাপানি আমদানির চাহিদাও বেশি। এর ফলে জাপানি মুদ্রার চাহিদা কমে যায় এবং মুদ্রার মান কমে যায়।
- জাপানি জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও বার্ধক্য: জাপানের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বার্ধক্যে পৌঁছছে। এর ফলে শ্রমশক্তির ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং জাপানি অর্থনীতিতে চাপ বেড়েছে। এর ফলে জাপানি মুদ্রার মান কমে যায়।
জাপানি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে জাপানের অর্থনীতিতে কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জাপানি পণ্যগুলি বিদেশে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে এবং জাপানি রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই নীতির কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। জাপানি পণ্যগুলি বিদেশে বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে এবং জাপানি আমদানি কমেছে।
বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের স্মারক মুদ্রা
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এই সহযোগিতার একটি অংশ হিসাবে, বাংলাদেশ ও জাপান ২০২৩ সালে একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেছে।
এই মুদ্রাটি দুটি দেশের পতাকা এবং জাতীয় প্রতীক সহ একটি সাধারণ ডিজাইন ধারণ করে। মুদ্রার এক পিঠে বাংলাদেশের পতাকা এবং জাপানের জাতীয় প্রতীক ফুল ক্রিসমাস ট্রির চিত্র রয়েছে। মুদ্রার অন্য পিঠে দুই দেশের রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতি রয়েছে।
এই মুদ্রাটি বাংলাদেশি টাকা ও জাপানি ইয়েন উভয় মুদ্রায় প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় প্রকাশিত মুদ্রার মূল্য ৫০০ টাকা এবং জাপানি ইয়েনে প্রকাশিত মুদ্রার মূল্য ১০,০০০ ইয়েন।
এই মুদ্রাটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি প্রতীক। এটি দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও সমঝোতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই মুদ্রাটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও সমঝোতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।