ইন্টারনেটের জনক হলেন ভিন্টন গ্রে “ভিন্ট” সার্ফ এবং রবার্ট কান। তারা দুজনেই আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী। ১৯৭০-এর দশকে তারা ইন্টারনেটের মৌলিক আর্কিটেকচার এবং প্রোটোকলগুলি তৈরি করেন।
ইন্টারনেটের আবিষ্কারের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এর প্রাথমিক রূপগুলি ১৯৫০-এর দশকে তৈরি হয়েছিল। ১৯৬০-এর দশকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীARPANET নামে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। ARPANET ছিল প্রথম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যা বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম ছিল।
ভিন্টন গ্রে সার্ফ এবং রবার্ট কান ১৯৭০-এর দশকে ARPANET-এর জন্য TCP/IP প্রোটোকলটি তৈরি করেন। TCP/IP হল ইন্টারনেটের জন্য একটি মৌলিক প্রোটোকল যা বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ককে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম করে।
১৯৮০-এর দশকে, ARPANET জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় এবং এটিকে ইন্টারনেট বলা হয়। ইন্টারনেট দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং এটি আজ বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক।
সুতরাং, ইন্টারনেটের জনক হলেন ভিন্টন গ্রে সার্ফ এবং রবার্ট কান। তারা ১৯৭০-এর দশকে ইন্টারনেটের মৌলিক আর্কিটেকচার এবং প্রোটোকলগুলি তৈরি করেন।
ইন্টারনেট কি
ইন্টারনেট হল বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার নেটওয়ার্কের একটি নেটওয়ার্ক। এটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত। ইন্টারনেট বিভিন্ন ধরণের ডিভাইসকে সংযুক্ত করে, যার মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন এবং এমনকি গাড়ি।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে, লোকেরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে, তথ্য ভাগ করতে এবং বিভিন্ন ধরণের অনলাইন পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে। ইন্টারনেট আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, এবং এটি আমাদের যোগাযোগ, শিক্ষা, ব্যবসা এবং বিনোদনকে দ্রুত এবং সহজ করে তুলেছে।
ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে, এটিকে দুটি প্রধান উপাদানে বিভক্ত করা যেতে পারে: হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার।
হার্ডওয়্যার হল সেই শারীরিক সরঞ্জাম যা ইন্টারনেটকে চালায়। এটিতে সার্ভারের মতো ডিভাইস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য অনলাইন সংস্থানগুলি হোস্ট করে, পাশাপাশি রাউটার এবং ক্যাবল যা বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে।
সফ্টওয়্যার হল সেই প্রোগ্রাম যা ইন্টারনেটকে কাজ করতে দেয়। এটিতে TCP/IP প্রোটোকল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা বিভিন্ন ডিভাইসকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়, পাশাপাশি ওয়েব ব্রাউজার এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন যা লোকেদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়।
ইন্টারনেটের অনেকগুলি সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- যোগাযোগের সহজতা: ইন্টারনেট লোকেদের বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়।
- তথ্য অ্যাক্সেস: ইন্টারনেট বিপুল পরিমাণ তথ্য অ্যাক্সেস করতে দেয়, যার মধ্যে রয়েছে সংবাদ, শিক্ষামূলক সামগ্রী, বিনোদন এবং আরও অনেক কিছু।
- ব্যবসা এবং শিক্ষার সুবিধা: ইন্টারনেট ব্যবসা এবং শিক্ষাকে আরও দক্ষ এবং কার্যকর করে তোলে।
- বিনোদনের সুযোগ: ইন্টারনেট মানুষকে বিভিন্ন ধরণের অনলাইন বিনোদন উপভোগ করতে দেয়, যার মধ্যে রয়েছে গান শোনা, চলচ্চিত্র দেখা এবং গেমস খেলা।
ইন্টারনেটের কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- নিরাপত্তা ঝুঁকি: ইন্টারনেট অপব্যবহার এবং সাইবার অপরাধের জন্য একটি ক্ষেত্র।
- আসক্তি: ইন্টারনেট আসক্তি একটি বাস্তব সমস্যা যা ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- ভুল তথ্যের বিস্তার: ইন্টারনেটে প্রচুর ভুল তথ্য রয়েছে যা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, ইন্টারনেট একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা আমাদের জীবনকে অনেক উপায়ে উন্নত করতে পারে। তবে, এটি ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে নিরাপত্তা এবং আসক্তির বিষয়ে।
প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেটের জনক কে ?
প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেটের জনক হলেন ভিন্টন গ্রে সার্ফ এবং রবার্ট কান। তারা দুজনেই আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী। ১৯৭০-এর দশকে তারা ইন্টারনেটের মৌলিক আর্কিটেকচার এবং প্রোটোকলগুলি তৈরি করেন।
ভিন্টন গ্রে সার্ফ এবং রবার্ট কান ১৯৬০-এর দশকে ARPANET-এর জন্য TCP/IP প্রোটোকলটি তৈরি করেন। TCP/IP হল ইন্টারনেটের জন্য একটি মৌলিক প্রোটোকল যা বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ককে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম করে।
ইন্টারনেটের আবিষ্কারের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এর প্রাথমিক রূপগুলি ১৯৫০-এর দশকে তৈরি হয়েছিল। ১৯৬০-এর দশকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীARPANET নামে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। ARPANET ছিল প্রথম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যা বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটারকে সংযুক্ত করতে সক্ষম ছিল।
ভিন্টন গ্রে সার্ফ এবং রবার্ট কান ১৯৭০-এর দশকে ARPANET-এর জন্য TCP/IP প্রোটোকলটি তৈরি করেন। TCP/IP হল ইন্টারনেটের জন্য একটি মৌলিক প্রোটোকল যা বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ককে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম করে।
১৯৮০-এর দশকে, ARPANET জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় এবং এটিকে ইন্টারনেট বলা হয়। ইন্টারনেট দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং এটি আজ বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক।
সুতরাং, ইন্টারনেটের জনক হলেন ভিন্টন গ্রে সার্ফ এবং রবার্ট কান। তারা ১৯৭০-এর দশকে ইন্টারনেটের মৌলিক আর্কিটেকচার এবং প্রোটোকলগুলি তৈরি করেন।
ইন্টারনেটের জনক ভিনটন জি কার্ফ সম্পর্কে বিস্তারিত
ভিনটন গ্রে সার্ফ, যাকে ভিন্ট সার্ফ নামেও পরিচিত, একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী যিনি ইন্টারনেটের জনক হিসাবে বিবেচিত হন। তিনি ১৯৪৩ সালের ২৩শে জুন নিউইয়র্কের নিউইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৬৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৩ সালে, সার্ফ এবং রবার্ট কান ইন্টারনেটের জন্য TCP/IP প্রোটোকলটি তৈরি করেন। TCP/IP হল ইন্টারনেটের জন্য একটি মৌলিক প্রোটোকল যা বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ককে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম করে। এই প্রোটোকলটি ইন্টারনেটের বিকাশ এবং জনপ্রিয়করণের জন্য অপরিহার্য ছিল।
সার্ফ ইন্টারনেটের বিকাশে তার অবদানের জন্য অনেক পুরস্কার এবং সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ১৯৯৭ সালে ন্যাশনাল মেডেল অফ টেকনোলজি এবং ২০০৪ সালে ইনফোসিস পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০০৫ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞানের জন্য ন্যাশনাল মেডেল অফ সায়েন্স এবং ২০০৬ সালে টুরিং পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০০৯ সালে প্রিন্সেস অফ আস্তুrias পুরস্কার এবং ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্টস মেডেল অফ ফ্রিডম পেয়েছেন।
সার্ফ বর্তমানে ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তিনি একজন সক্রিয় বক্তা এবং লেখক এবং তিনি ইন্টারনেটের ভবিষ্যত সম্পর্কে উত্সাহী।
সার্ফের কিছু উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে:
- ইন্টারনেটের জন্য TCP/IP প্রোটোকলটি তৈরি করা।
- ইন্টারনেটের আর্কিটেকচার এবং নীতিগুলির বিকাশে অবদান।
- ইন্টারনেটের গবেষণা এবং উন্নয়নকে প্রচার করা।
সার্ফের কাজ ইন্টারনেটকে বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। তার অবদানগুলি আমাদের যোগাযোগ, শিক্ষা, ব্যবসা এবং বিনোদনকে দ্রুত এবং সহজ করে তুলেছে।