চিঠি লেখার নিয়ম
চিঠি হল এক ধরনের লেখার মাধ্যম যা একজন ব্যক্তি অন্য একজন ব্যক্তির কাছে প্রেরণ করে। চিঠি লেখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। এই নিয়মকানুনগুলি মেনে চললে চিঠিটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়।
চিঠি লেখার নিয়মগুলি নিম্নরূপ:
- চিঠির শুরুতে
- তারিখ
- প্রাপক
- প্রেরক
- চিঠির মূল অংশ
- বিষয়বস্তু
- অনুরোধ বা আবেদন
- বিনীত সম্ভাষণ
- চিঠির শেষে
- প্রত্যাশা বা শুভেচ্ছা
- প্রত্যয় বা স্বাক্ষর
চিঠির শুরুতে
চিঠির শুরুতে প্রথমে তারিখ লেখা হয়। তারিখের পরে প্রাপক এবং প্রেরণকের নাম লেখা হয়। প্রাপক এবং প্রেরণকের নামের পরে তাদের পদবী লেখা যেতে পারে।
চিঠির মূল অংশ
চিঠির মূল অংশে চিঠির বিষয়বস্তু লেখা হয়। বিষয়বস্তুটি সুস্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্তভাবে লেখা উচিত। যদি চিঠিতে কোনো অনুরোধ বা আবেদন থাকে, তাহলে তাও এই অংশে লেখা হয়।
চিঠির শেষে
চিঠির শেষে প্রথমে প্রত্যাশার বা শুভেচ্ছার কথা লেখা হয়। এরপর প্রেরক তার প্রত্যয় বা স্বাক্ষর দেয়।
চিঠি লেখার কৌশল
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কৌশলগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
- চিঠিটি স্বচ্ছ ও সুস্পষ্টভাবে লেখা উচিত।
- চিঠিটি সংক্ষিপ্ত ও সার্থক হওয়া উচিত।
- চিঠিটি সঠিক বানান ও ব্যাকরণের সাথে লেখা উচিত।
- চিঠিটি সুন্দর ও পরিপাটি হওয়া উচিত।
চিঠির বিভিন্ন প্রকার
চিঠির বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল:
- ব্যক্তিগত চিঠি: ব্যক্তিগত চিঠি বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, ইত্যাদির সাথে লেখা হয়।
- ব্যবসা-বাণিজ্যিক চিঠি: ব্যবসা-বাণিজ্যিক চিঠি ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য লেখা হয়।
- আবেদনপত্র: আবেদনপত্র কোনো চাকরির জন্য, কোনো অনুদানের জন্য, ইত্যাদির জন্য লেখা হয়।
- অনুরোধপত্র: অনুরোধপত্র কোনো কিছুর জন্য অনুরোধ করার জন্য লেখা হয়।
- সনদপত্র: সনদপত্র কোনো ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদির প্রমাণস্বরূপ লেখা হয়।
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত নিয়মকানুনগুলি মেনে চললে চিঠিটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হবে।
চিঠি কাকে বলে ও কত প্রকার?
পত্র শব্দের আভিধানিক অর্থ স্মারক বা চিহ্ন। কিন্তু ব্যবহারিক দিক থেকে পত্র হলো ব্যক্তিগত খবরাখবর এবং বৈষয়িক কাজ-কর্মের জন্য এক ধরনের লিখিত বিবরণী। তাই রীতিসিদ্ধ কোন পদ্ধতিতে কোন তথ্য আদান-প্রদান বা অভিপ্রায় ব্যক্ত করার লিখিত রুপকেই চিঠি বা পত্র বলে।
চিঠির প্রকারভেদ
চিঠির প্রকারভেদ অনেক। চিঠির প্রকারভেদ মূলত উদ্দেশ্য, লেখকের সাথে প্রাপকের সম্পর্ক এবং চিঠির বিষয়বস্তু অনুসারে করা হয়। চিঠির কয়েকটি প্রধান প্রকারভেদ হল:
- ব্যক্তিগত চিঠি: ব্যক্তিগত চিঠি বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, ইত্যাদির সাথে লেখা হয়। এই চিঠিতে ব্যক্তিগত খবরাখবর, অভিজ্ঞতা, অনুভূতি, ইত্যাদি বিষয় লেখা হয়।
- ব্যবসা-বাণিজ্যিক চিঠি: ব্যবসা-বাণিজ্যিক চিঠি ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য লেখা হয়। এই চিঠিতে পণ্যের বিক্রয়, ক্রয়, দাম, পরিবহন, ইত্যাদি বিষয় লেখা হয়।
- আবেদনপত্র: আবেদনপত্র কোনো চাকরির জন্য, কোনো অনুদানের জন্য, ইত্যাদির জন্য লেখা হয়। এই চিঠিতে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদি বিষয় লেখা হয়।
- অনুরোধপত্র: অনুরোধপত্র কোনো কিছুর জন্য অনুরোধ করার জন্য লেখা হয়। এই চিঠিতে অনুরোধকারীর অনুরোধের কারণ এবং প্রয়োজনীয়তা বিষয় লেখা হয়।
- সনদপত্র: সনদপত্র কোনো ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদির প্রমাণস্বরূপ লেখা হয়। এই চিঠিতে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদির বিস্তারিত তথ্য লেখা হয়।
এছাড়াও, চিঠির আরও অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন:
- নিমন্ত্রণপত্র
- ধন্যবাদপত্র
- শোকপত্র
- পত্রিকা-সংবাদপত্রের সম্পাদককে লেখা চিঠি
- কর্তৃপক্ষের কাছে লেখা চিঠি
- বন্ধুত্বের চিঠি
- প্রেমের চিঠি
চিঠির প্রকারভেদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে চিঠির উদ্দেশ্য, লেখকের সাথে প্রাপকের সম্পর্ক এবং চিঠির বিষয়বস্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চিঠি লেখার নিয়ম
চিঠি লেখার নিয়ম
চিঠি হল এক ধরনের লেখার মাধ্যম যা একজন ব্যক্তি অন্য একজন ব্যক্তির কাছে প্রেরণ করে। চিঠি লেখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। এই নিয়মকানুনগুলি মেনে চললে চিঠিটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়।
চিঠির নিয়মগুলি নিম্নরূপ:
চিঠির শুরুতে
- তারিখ
- প্রাপক
- প্রেরক
চিঠির মূল অংশ
- বিষয়বস্তু
- অনুরোধ বা আবেদন
- বিনীত সম্ভাষণ
চিঠির শেষে
- প্রত্যাশা বা শুভেচ্ছা
- প্রত্যয় বা স্বাক্ষর
চিঠির শুরুতে
চিঠির শুরুতে প্রথমে তারিখ লেখা হয়। তারিখের পরে প্রাপক এবং প্রেরণকের নাম লেখা হয়। প্রাপক এবং প্রেরণকের নামের পরে তাদের পদবী লেখা যেতে পারে।
চিঠির মূল অংশ
চিঠির মূল অংশে চিঠির বিষয়বস্তু লেখা হয়। বিষয়বস্তুটি সুস্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্তভাবে লেখা উচিত। যদি চিঠিতে কোনো অনুরোধ বা আবেদন থাকে, তাহলে তাও এই অংশে লেখা হয়।
চিঠির শেষে
চিঠির শেষে প্রথমে প্রত্যাশার বা শুভেচ্ছার কথা লেখা হয়। এরপর প্রেরক তার প্রত্যয় বা স্বাক্ষর দেয়।
চিঠি লেখার কৌশল
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কৌশলগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
- চিঠিটি স্বচ্ছ ও সুস্পষ্টভাবে লেখা উচিত।
- চিঠিটি সংক্ষিপ্ত ও সার্থক হওয়া উচিত।
- চিঠিটি সঠিক বানান ও ব্যাকরণের সাথে লেখা উচিত।
- চিঠিটি সুন্দর ও পরিপাটি হওয়া উচিত।
চিঠির বিভিন্ন প্রকার
চিঠির বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল:
- ব্যক্তিগত চিঠি: ব্যক্তিগত চিঠি বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, ইত্যাদির সাথে লেখা হয়।
- ব্যবসা-বাণিজ্যিক চিঠি: ব্যবসা-বাণিজ্যিক চিঠি ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য লেখা হয়।
- আবেদনপত্র: আবেদনপত্র কোনো চাকরির জন্য, কোনো অনুদানের জন্য, ইত্যাদির জন্য লেখা হয়।
- অনুরোধপত্র: অনুরোধপত্র কোনো কিছুর জন্য অনুরোধ করার জন্য লেখা হয়।
- সনদপত্র: সনদপত্র কোনো ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদির প্রমাণস্বরূপ লেখা হয়।
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত নিয়মকানুনগুলি মেনে চললে চিঠিটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হবে।
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিক সমূহ
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিক সমূহ
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত দিকগুলি গুরুত্বপূর্ণ:
চিঠির উদ্দেশ্য: চিঠির উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চিঠির উদ্দেশ্য অনুসারে চিঠির বিষয়বস্তু, ভাষা ও শৈলী নির্ধারণ করতে হবে।
চিঠির বিষয়বস্তু: চিঠির বিষয়বস্তু সুস্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত হতে হবে। চিঠির বিষয়বস্তু এমনভাবে লিখতে হবে যাতে প্রাপক তা সহজে বুঝতে পারে।
চিঠির ভাষা ও শৈলী: চিঠির ভাষা ও শৈলী প্রাপক ও চিঠির উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে। ব্যক্তিগত চিঠিতে সাধারণত আন্তরিক ও সহজ ভাষা ব্যবহার করা হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যিক চিঠিতে সাধারণত সুনির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক ভাষা ব্যবহার করা হয়।
চিঠির কাঠামো: চিঠির একটি নির্দিষ্ট কাঠামো রয়েছে। চিঠির শুরুতে তারিখ, প্রাপক ও প্রেরকের নাম লেখা হয়। এরপর চিঠির মূল অংশে বিষয়বস্তু লেখা হয়। শেষে স্বাক্ষর ও প্রত্যয় লেখা হয়।
চিঠির সঠিকতা: চিঠিটি সঠিক বানান, ব্যাকরণ ও বিন্যাস সহকারে লেখা উচিত। চিঠিতে কোনো ভুল থাকলে তা প্রাপকের কাছে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করতে পারে।
চিঠি লেখার কিছু কৌশল
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কৌশলগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
- চিঠিটি সংক্ষিপ্ত ও সার্থক হওয়ার চেষ্টা করুন।
- চিঠির বিষয়বস্তু প্রাপককে বোঝার জন্য সহজ ভাষা ব্যবহার করুন।
- চিঠিটি সুন্দর ও পরিপাটি হওয়ার জন্য যত্ন নিন।
- চিঠিটি সঠিক বানান, ব্যাকরণ ও বিন্যাস সহকারে লিখুন।
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত নিয়মকানুন ও কৌশলগুলি মেনে চললে চিঠিটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হবে।
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে যা বিদ্যমান থাকবে
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিদ্যমান থাকবে:
- তারিখ: চিঠির শুরুতে তারিখ লেখা হয়। তারিখটি লিখতে হবে বাংলা তারিখ অনুযায়ী।
- প্রাপক: চিঠির ঠিকানায় প্রাপকের নাম লেখা হয়। প্রাপকের নামের পরে পদবী লেখা যেতে পারে।
- প্রেরক: চিঠির লেখকের নাম লেখা হয়। প্রেরকের নামের পরে পদবী লেখা যেতে পারে।
- বিষয়: চিঠির মূল বিষয়টি বিষয়ের ঘরে লেখা হয়। বিষয়টি সংক্ষিপ্ত ও সুস্পষ্ট হওয়া উচিত।
- মূল অংশ: চিঠির মূল অংশে বিষয়বস্তু লেখা হয়। মূল অংশটি সুস্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত ও প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত।
- বিনীত সম্ভাষণ: চিঠির শেষে বিনীত সম্ভাষণ লেখা হয়। বিনীত সম্ভাষণে প্রাপকের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রকাশ করা হয়।
- প্রত্যাশা বা শুভেচ্ছা: চিঠির শেষে প্রত্যাশার বা শুভেচ্ছার কথা লেখা হয়।
- প্রত্যয় বা স্বাক্ষর: চিঠির শেষে প্রেরকের প্রত্যয় বা স্বাক্ষর লেখা হয়।
এছাড়াও, চিঠি লেখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা যেতে পারে:
- চিঠির উদ্দেশ্য: চিঠির উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চিঠির উদ্দেশ্য অনুসারে চিঠির বিষয়বস্তু, ভাষা ও শৈলী নির্ধারণ করতে হবে।
- চিঠির বিষয়বস্তু: চিঠির বিষয়বস্তু সুস্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত হতে হবে। চিঠির বিষয়বস্তু এমনভাবে লিখতে হবে যাতে প্রাপক তা সহজে বুঝতে পারে।
- চিঠির ভাষা ও শৈলী: চিঠির ভাষা ও শৈলী প্রাপক ও চিঠির উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে। ব্যক্তিগত চিঠিতে সাধারণত আন্তরিক ও সহজ ভাষা ব্যবহার করা হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যিক চিঠিতে সাধারণত সুনির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক ভাষা ব্যবহার করা হয়।
- চিঠির কাঠামো: চিঠির একটি নির্দিষ্ট কাঠামো রয়েছে। চিঠির শুরুতে তারিখ, প্রাপক ও প্রেরকের নাম লেখা হয়। এরপর চিঠির মূল অংশে বিষয়বস্তু লেখা হয়। শেষে স্বাক্ষর ও প্রত্যয় লেখা হয়।
- চিঠির সঠিকতা: চিঠিটি সঠিক বানান, ব্যাকরণ ও বিন্যাস সহকারে লেখা উচিত। চিঠিতে কোনো ভুল থাকলে তা প্রাপকের কাছে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করতে পারে।
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা হলে চিঠিটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হবে।