হিটলারের আত্মজীবনী

হিটলারের লেখা আত্মজীবনীর নাম কি?

হিটলারের লেখা আত্মজীবনীর নাম হল “মাইন কাম্ফ”। এটি জার্মান ভাষায় লেখা একটি দুই-খণ্ডের বই। প্রথম খণ্ডটি ১৯২৫ সালে এবং দ্বিতীয় খণ্ডটি ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। বইটিতে হিটলার তার জীবনের প্রথম দিকের ঘটনাবলী, তার রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে লিখেছেন।

“মাইন কাম্ফ” একটি বিতর্কিত বই। অনেকে মনে করেন যে এটি একটি জাতিবিদ্বেষমূলক এবং প্রচারণামূলক বই। বইটিতে হিটলার তার রাজনৈতিক মতাদর্শের মূলনীতিগুলি ব্যাখ্যা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে জার্মান জাতির শ্রেষ্ঠত্ব, সাম্রাজ্যবাদ এবং ইহুদিদের প্রতি ঘৃণা।

বাংলায় “মাইন কাম্ফ”-এর অনুবাদ “আমার সংগ্রাম” নামে প্রকাশিত হয়েছে।

হিটলার কিসের জন্য সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত ছিলেন

হিটলার তার নাৎসি পার্টি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত ছিলেন। তিনি একজন জাতীয়তাবাদী এবং সাম্রাজ্যবাদী ছিলেন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে জার্মান জাতি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতি। তিনি ইহুদিদের প্রতি ঘৃণা করতেন এবং তিনি তাদের নির্মূল করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

হিটলার ১৯৩৩ সালে জার্মান চ্যান্সেলর হন এবং তিনি দ্রুত একটি স্বৈরাচারী সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার বিরোধীদের দমন করেন এবং তিনি তার নাৎসি মতাদর্শকে জার্মানিতে প্রচার করেন। ১৯৩৯ সালে তিনি পোল্যান্ড আক্রমণ করেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করে।

হিটলারের নাৎসি পার্টি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপে একটি ভয়ানক গণহত্যা চালায়। তারা প্রায় ছয় মিলিয়ন ইহুদিকে হত্যা করে, যা হলো ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা। হিটলারের নাৎসি পার্টি অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যেমন রোমানীয়, পোল, এবং জাতিগত অ-জার্মানদেরও নির্মূল করে।

হিটলারের মৃত্যু ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল। তিনি তার বার্লিন আন্ডারগ্রাউন্ড বোমা আক্রমণের সময় নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।

হিটলারের নাৎসিবাদ একটি ভয়াবহ এবং ধ্বংসাত্মক মতাদর্শ ছিল। হিটলারের হত্যাযজ্ঞ বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাগুলির মধ্যে একটি।

হিটলার কোন দেশের রাজা ছিল?

আডলফ হিটলার কোন দেশের রাজা ছিলেন না। তিনি একজন স্বৈরাচারী নেতা ছিলেন, যিনি জার্মান চ্যান্সেলর এবং পরে জার্মান ফ্যুরের ছিলেন। তিনি জার্মানিতে একটি একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি জার্মানির উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রয়োগ করেন।

হিটলারের কোন রাজকীয় উপাধি ছিল না। তিনি একজন সাধারণ নাগরিক ছিলেন যিনি রাজনৈতিকভাবে উঠে এসেছিলেন এবং জার্মানিকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন।

তাই, হিটলার কোন দেশের রাজা ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন স্বৈরাচারী নেতা যিনি জার্মানিতে একটি একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

১০০ বছর পর হিটলারের ছবি!

১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল আডলফ হিটলারের মৃত্যুর পর থেকে, তার ছবি প্রকাশ করা একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে হিটলারের ছবি প্রকাশ করা অত্যন্ত অরুচিকর এবং অবমাননাকর, কারণ এটি একটি ভয়ঙ্কর এবং নিষ্ঠুর ব্যক্তিত্বের স্মৃতি ধরে রাখে।

অন্যরা বিশ্বাস করে যে হিটলারের ছবি প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে মনে রাখার একটি উপায়।

২০২৩ সালে, হিটলারের মৃত্যুর ১০০ বছর পূর্ণ হবে। এই সময়ে, হিটলারের ছবি প্রকাশ করা কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে আলোচনা আরও বেশি তীব্র হতে পারে।

কিছু লোক বিশ্বাস করতে পারে যে এই সময়ে, হিটলারের ছবি প্রকাশ করা ইতিহাসের একটি ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করার একটি নিরীহ উপায়। অন্যরা বিশ্বাস করতে পারে যে এই সময়েও, হিটলারের ছবি প্রকাশ করা খুবই অরুচিকর এবং অবমাননাকর।

আমি বিশ্বাস করি যে হিটলারের ছবি প্রকাশ করা একটি বিতর্কিত বিষয় এবং কোন সহজ উত্তর নেই। শেষ পর্যন্ত, এটি একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত যে একজন ব্যক্তি হিটলারের ছবি প্রকাশ করতে চান কিনা।

এখানে কিছু যুক্তি রয়েছে যা হিটলারের ছবি প্রকাশ করার পক্ষে এবং বিপক্ষে দেওয়া যেতে পারে:

হিটলারের ছবি প্রকাশ করার পক্ষে যুক্তি:

  • হিটলারের ছবি প্রকাশ করা ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে মনে রাখার একটি উপায়।
  • হিটলারের ছবি প্রকাশ করা মানুষকে তার অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করতে সাহায্য করতে পারে।
  • হিটলারের ছবি প্রকাশ করা মানুষকে ফ্যাসিজমের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করতে সাহায্য করতে পারে।

হিটলারের ছবি প্রকাশ করার বিপক্ষে যুক্তি:

  • হিটলারের ছবি প্রকাশ করা অত্যন্ত অরুচিকর এবং অবমাননাকর।
  • হিটলারের ছবি প্রকাশ করা ফ্যাসিজমের পুনরুত্থানকে উৎসাহিত করতে পারে।
  • হিটলারের ছবি প্রকাশ করা মানুষকে তার অপরাধের জন্য ক্ষমা করার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

অবশেষে, হিটলারের ছবি প্রকাশ করা একটি বিতর্কিত বিষয় এবং কোন সহজ উত্তর নেই। শেষ পর্যন্ত, এটি একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত যে একজন ব্যক্তি হিটলারের ছবি প্রকাশ করতে চান কিনা।

জার্মানিতে সর্বাধিক বিক্রি হিটলারের ‘মেইন ক্যাম্প’

জার্মানিতে সর্বাধিক বিক্রি হওয়া বইটি হল আডলফ হিটলারের “মেইন ক্যাম্পফ”। এই বইটি ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটি নাৎসিবাদের আদর্শের একটি বিস্তারিত বিবরণ। বইটিতে হিটলার জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, সামরিকবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের বিষয়ে তার বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন।

“মেইন ক্যাম্পফ” একটি অত্যন্ত বিতর্কিত বই। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ historicalতিহাসিক দলিল যা নাৎসিবাদের উত্থান বোঝার জন্য অপরিহার্য। অন্যরা বিশ্বাস করে যে এটি একটি ঘৃণ্য বই যা সমস্ত জার্মানদের জন্য লজ্জাজনক।

জার্মানিতে “মেইন ক্যাম্পফ” এর বিক্রি নিষিদ্ধ নয়, তবে এটি একটি নিয়ন্ত্রিত পণ্য। বইটি কেবলমাত্র বড় বইয়ের দোকানে বিক্রি করা যেতে পারে এবং এটি একটি বিবৃতি সহ বিক্রি করা উচিত যা বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে সতর্ক করে।

২০২২ সালে, “মেইন ক্যাম্পফ” জার্মানিতে প্রায় ১০০,০০০ কপি বিক্রি হয়েছিল। এটি একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা, কারণ বইটি প্রথম প্রকাশের পর থেকে এটি বহুবার পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে।

“মেইন ক্যাম্পফ” এর বিক্রির বৃদ্ধির বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। একটি কারণ হল জার্মানিতে নাৎসিবাদের প্রতি আগ্রহের পুনরুজ্জীবন। আরেকটি কারণ হল বইটি অনলাইনে সহজেই পাওয়া যায়।

“মেইন ক্যাম্পফ” এর বিক্রি জার্মানিতে একটি বিতর্কের বিষয়। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে বইটি বিক্রি করা উচিত নয়, কারণ এটি নাৎসিবাদের প্রচার করে। অন্যরা বিশ্বাস করে যে বইটি বিক্রি করা উচিত, কারণ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ historicalতিহাসিক দলিল।

হিটলার কোথায় জন্মগ্রহণ করেন

আডলফ হিটলার ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির ব্রাউনাউ আম ইনে জন্মগ্রহণ করেন। এই শহরটি বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় অবস্থিত। হিটলারের পিতা অ্যালোইস হিটলার ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী এবং তার মা অ্যান মেরি শেকল ছিলেন একজন রান্নাঘরের কাজের লোক। হিটলারের একটি বড় বোন, পাউলা ছিল, যিনি ১৯০৭ সালে মারা যান।
হিটলারের পরিবার দারিদ্র্যে বাস করত। তিনি একটি ক্যাথলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন, কিন্তু তিনি ১৮৯৮ সালে তার বাবার সাথে ঝগড়া করে স্কুল ছেড়ে দেন। তিনি তার বাবার সাথে একসাথে ভিয়েনায় চলে যান, যেখানে তিনি একটি শিল্প বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি শিল্পকলা আঁকতেন, কিন্তু তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি।

হিটলার ১৯০৭ সালে ভিয়েনা ছেড়ে দেন এবং তিনি কিছু সময়ের জন্য ভ্রমণ করেন। তিনি ১৯১৩ সালে জার্মানি চলে যান, যেখানে তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দেন। তিনি যুদ্ধে বীরত্বের জন্য একটি পদক পান।

হিটলার যুদ্ধের পর জার্মানিতে ফিরে আসেন। তিনি ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টিতে যোগ দেন এবং তিনি দ্রুত একটি গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে ওঠেন। তিনি ১৯৩৩ সালে জার্মান চ্যান্সেলর হন এবং তিনি দ্রুত একটি স্বৈরাচারী সরকার প্রতিষ্ঠা করেন।

হিটলার ১৯৩৯ সালে পোল্যান্ড আক্রমণ করেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করে। তিনি জার্মানিকে একটি সাম্রাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি মিত্রদের দ্বারা পরাজিত হন। হিটলার ১৯৪৫ সালে বার্লিন আন্ডারগ্রাউন্ড বোমা আক্রমণের সময় নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।

হিটলার একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তার সমর্থকরা তাকে একজন মহান নেতা এবং জার্মান জাতির রক্ষক হিসাবে দেখেন। তার বিরোধীরা তাকে একজন অত্যাচারী এবং যুদ্ধাপরাধী হিসাবে দেখেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *