বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কি হয়েছিল
সেদিন ভোররাতে, একটি দল অভ্যুত্থানকারী সেনা কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে হামলা চালায়। তারা বঙ্গবন্ধু, তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তাদের তিন সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সহকারীদের হত্যা করে।
এই হত্যাকাণ্ডটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এটি একটি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার সূচনা করেছিল।
হত্যাকাণ্ডের কারণগুলি এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি, তবে বেশ কয়েকটি কারণকে দায়ী করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- বঙ্গবন্ধুর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং তার একদলীয় শাসনব্যবস্থা, যা কিছু লোককে হুমকি হিসাবে দেখেছিল।
- বঙ্গবন্ধুর ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, যা কিছু সামরিক কর্মকর্তাদের বিরক্তির কারণ ছিল।
- বঙ্গবন্ধুর সামরিক বাহিনীর মধ্যে দুর্নীতি এবং অস্থিরতা।
হত্যাকাণ্ডের পর, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় আসে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিচার শুরু হয়। ২০১০ সালে, ২০ জনকে এই হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।