বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ- না পড়লে মিস করবেন

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে কলকাতায় আসেন। তিনি তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন হন। তিনি কলকাতায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক তৎপরতায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

কলকাতায় মুজিবের জীবনধারা ছিল সাধারণ। তিনি একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন এবং খুবই সামান্য অর্থে জীবনযাপন করতেন। তিনি তার বেশিরভাগ সময় পড়াশোনা এবং রাজনীতিতে ব্যয় করতেন।

মুজিবের কলকাতায় রাজনৈতিক তৎপরতা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কলকাতায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ছিলেন এবং তিনি দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি কলকাতায় আওয়ামী লীগের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মুজিবের কলকাতায় জীবনধারা ও রাজনৈতিক তৎপরতা তার পরবর্তী রাজনৈতিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। কলকাতায় তিনি যে রাজনৈতিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তা তাকে একজন দক্ষ ও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

মুজিবের কলকাতায় জীবনধারার কিছু উল্লেখযোগ্য দিক হল:

• তিনি একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন।
• তিনি খুবই সামান্য অর্থে জীবনযাপন করতেন।
• তিনি তার বেশিরভাগ সময় পড়াশোনা এবং রাজনীতিতে ব্যয় করতেন।

মুজিবের কলকাতায় রাজনৈতিক তৎপরতার কিছু উল্লেখযোগ্য দিক হল:

• তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
• তিনি কলকাতায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
• তিনি কলকাতায় আওয়ামী লীগের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১৯৪৭–৫২ঃশেখ মুজিবের রাজনৈতিক সংগ্রামঃ শৈশব ও কৈশোরের ছাত্র থাকাকালে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সক্রিয়তার পরিচয় পাওয়া গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির পর তাঁর প্রকৃত  রাজনৈতিক সংগ্রাম শুরু ।  এরপর তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল দু’টি । 

একঃ১৯৪৭ কালের ৩ জুনের ব্রিটিশরাজ প্রতিভু লর্ড মাউন্টব্যাটেনের পরিকল্পিত কাঠামোর মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা পাওয়া গিয়েছিল শেখ মুজিবের মতে তা সত্তিকারের স্বাধীনতা ছিল না ।

তিনি তাঁর নেতা হোসেন শহীদ  সোহরাওয়ার্দীর মতোই এক সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশের চিত্রকল্পনা করতেন ।

দুইঃ শেখ মুজিবের   রাজনীতির আরেকটি লক্ষ্য ছিল মুসলিম লীগের ‘’বুর্জোয়া মনোবৃত্তি ও পশ্চিমা প্রাধান্যের’’ বিরুদ্ধে সংগ্রাম। ১৯৪৭ পরবর্তীকালে ঢাকায় এসে তিনি এই সংগ্রামেই নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন ।

শেখ মুজিবুর রহমানের কারা জীবনঃ১৯৪৮– এর বাংলা ভাষা আন্দোলনে নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা হিসেবে শেখ মুজিবের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ।

এরপর যে দুটি রাজনীতি কর্মসূচি এবং আন্দোলনের তিনি অংশগ্রহণ করেন তা হলো । ১৯৪৯ –এর ৮ জানুয়ারি জুলুম প্রতিবাদ দিবস এবং ৪৯ এর মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের আন্দোলন । 

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অপরাধে শেখ মুজিবকে ১১ মার্চ  বন্দি করা হয় ।  রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সাথে খাজা নাজিমুদ্দিন সরকারের ৮ দফা সমঝোতা চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ মার্চ তিনি মুক্তিলাভ করেন ।

কিন্তু অচিরেই তাঁর জীবনে শুরু হয় দীর্ঘ কারাবাস । ১৯৪৯  সালের ২৯ এপ্রিল তাকে EPPSO–এর ১৮ (২) ধারা মোতাবেক আইন অমান্য কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয় ।

তবে কত তারিখে গ্রেফতার ও কত তারিখে মুক্তি পেয়েছেন তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে । ১৯৪৯ সালের সরকারি কোনো নটি না পাওয়ায় এ পর্যন্ত সঠিক তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয় নি । অধিকাংশ লেখক ২৭ জুলাই পর্যন্ত শেখ মুজিব জেলে ছিলেন বলে উল্লেখ্য করেছেন ।

আইয়ুব আমলে পূর্ব পাকিস্তান, রাজনীতি , শেখ মুজিবুর ও আন্দোলন (১৯৫৮–৬২)ঃশেখ মুজিবুর রহমানের ও সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে ১৯৫৮ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পর্যন্ত অধ্যায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

এই এগার বছর সময়কালে তথা  ষাটের দশকে শেখ মুজিব দেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বের  পদে থেকে পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিক নেতা হয়ে ওঠেন ।

এরপর বই বাংলার মানুষ তাঁকে বরণ করে নেয় তাঁদের মুক্তি সংগ্রামের নেতা হিসেবে অভিষিক্ত করে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ।

শেখ মুজিবের স্বদেশ চিন্তা,   আওয়ামী লীগের পুনরূজীবন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা , পাক ভারত যুদ্ধ

সোহরাওয়ারর্দীর মৃত্যুর ( ডিসেম্বর ১৯৬৩) পর আওয়ামী লীগকে  পুনরুজ্জীবিত করা রাজনীতিতে জরুরী বিষয় হয়ে পড়ে ।

এনডিএফ নিয়ে সোহরাওয়ারর্দী শেখ মুজিবসহ অনেক আওয়ামীলীগ নেতাই  সন্তুষ্ট ছিলেন না । এমনিতেই ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে এনডিএফ কে বাদ দিয়ে  আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করার কথা উচ্চারিত হতে থাকে ।

হোসেন শহীদ সরোয়ারদীর মৃত্যুর পর শেখ মুজিবুর রহমান আবারো অনুভব করলেন, এমডিএফ– এর প্রয়োজনীয়তা নেই । এনডিএফ কে টিকিয়ে রাখার জন্য কোন নেতা সোহরাওয়ারর্দীর পর আর ছিলেন না ।  

ইতোমধ্যে ন্যাপ , মুসলিম লীগ , জামাত পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম শুরু করা জরুরি হয়ে ওঠে ।  তাই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেই শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ।

শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন ও আগরতলা মামলা

পশ্চিম পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে না ওরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৩৪ মোঃ আলীর বাসভবনের ৫ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় সম্মেলন আহবান করা হয় ।

মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগিশ ,শেখ মুজিবুর রহমান তাজুদ্দিন আহমেদ নুরুল ইসলাম চৌধুরী সহ দশ সদস্যের আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল  এতে যোগদান করেন ।

শেখ মুজিবুর রহমান উক্ত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটির সভায় ১০ফেব্রুয়ারি তারিখে ছয় দফা উত্থাপন করে পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক স্বার্থকে  উধর্ব তুলে ধরেন ।

  লাহোরের সম্মেলনে শেখ মুজিবুর প্রাথমিকভাবে যে ৬ দফা উত্থাপন করেন তা ছিল সংক্ষিপ্ত এবং প্রস্তাব আকারে । এগুলো ছিল–

১।  শাসনতান্ত্রিক গ্যারান্টি আওতায় পাকিস্তানের ফেডারেল রাষ্ট্র কাঠামোর প্রতিষ্ঠা যার  ভিত্তি হবে ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব , সরকার হবে পার্লামেন্টারি পদ্ধতির থাকবে সর্বজনীন বয়স্ক ভোটাধিকার ও সার্বভৌম আইন পরিষদ ।

২। ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় অবশিষ্ট বিষয়গুলো ফেডারেশনের ইউনিটগুলোর হাতে থাকবে।

৩। দুটি পরস্পর বিনিময়যোগ্য মুদ্রা বা পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং ব্যবস্থা সহ একটি মুদ্রা ব্যবস্থা থাকবে ।  আর থাকবে পূর্ব থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের মূলধন প্রবাহ রোধের শাসনতান্ত্রিক বিধান । ফেডারেশনের ইউনিটগুলোর জন্য পৃথক রাজস্ব ও অর্থনীতি থাকবে ।

৪।  করারোপ ও লেডি বলবৎ করার বিষয় ফেডারেশনের ইউনিট গুলোর হাতে থাকবে কেন্দ্রের হাতে নয় । কেন্দ্র যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় নির্বাহে প্রয়োজনীয় তহবিলের জন্য প্রদেশগুলোর কাছ থেকে সকল পর রাজুশের একটা অংশ পায় তার শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে ।

৫।  প্রতিটি প্রদেশের জন্য বৈদেশিক বাণিজ্যর ক্ষেত্রে একটি করে পৃথক হিসাব খোলা হবে এবং থেকে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়    করবে  তার ওপর তাদের নিজ নিজ পুণ্য নিয়ন্ত্রণ থাকবে ।

আর এর একাংশের বরাদ্দ থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের চাহিদা মেটানোর জন্য ।  দেশে উৎপাদিত পণ্যদির আন্তঃপ্রদেশ চলাচল ও পরিবহনের বেলায়  অভিশুল্ক মুক্ত সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে ।

প্রদেশগুলোর বিদেশে বাণিজ্য প্রতিনিধি পাঠানোর এবং সংশ্লিষ্ট প্রদেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতা থাকতে হবে ।

৬।  প্রদেশগুলোর জন্য  আধাসামরিক বাহিনী বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী থাকতে হবে । এই ৬ দফা অনুযায়ী কেন্দ্রের হাতে শুধু অতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয় থাকবে ।

 বঙ্গবন্ধু আদর্শঃ সাম্প্রদায়িক সমস্যা সমাধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজির দূরদৃষ্টির অধিকারী ছিলেন ।  পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি অসম্প্রদায়িক একটি গণসংগঠন গড়ে তোলার কথা ভেবেছিলেন । 

আড়ম্বরের উচ্চ কোলাহল কখনোই বঙ্গবন্ধু আত্মসম্মানকে স্পর্শ করতে পারে নি ।  তার মত পৌরুষ এবং তেজস্বিতা বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের  দুর্লভ ।

  অসহযোগ্য আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ এর ২৩ শে মার্চ প্রতিরোধ দিবসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান ।  সেদিন গাড়িতে তিনি বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে গিয়েছিলেন ।

প্রেসিডেন্টের মিলিটারি সেক্রেটারি তাকে বাধা দিতে উদ্যত হন এবং কিছু মন্তব্য করেন । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কঠোর দৃষ্টির সামনে তিনি নিরন্ত হন 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বিশ্লেষণে গবেষক ও আলোচকগণ বিস্তৃত হতেন এজন্য যে, তিনি তাঁর রাজনীতি শুরু করেছেন তরুণ বয়সে মুসলিম লীগের সংস্পর্শে , তিনি কিভাবে  সামন্তবাদীসমাজের চিন্তা-ভাবনা ও আদর্শ থেকে বেরিয়ে এলেন । 

 একজন মানুষ হিসেবে শেখ মুজিবের মহত্ব এখানে যে, বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি লড়াই করেছেন ।  তিনি চেয়েছেন এই দেশের মানুষ যেন খেয়েপরে সুখে শান্তিতে বাঁচতে পারে ।  আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে নিজেদের ন্যায্য স্থান পেতে পারে ।

আর এজন্য বঙ্গবন্ধু তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ।  ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন আদর্শবাদী নীতিবান মানুষ হিসেবে এ দেশের সাধারণ মানুষের একান্ত কাছাকাছি ছিলেন । ২৪বছরের নিরলস সাধনায় সাফল্য অর্জন সত্বেও তিনি অহংকারী ও উদ্ধত ছিলেন না ।

বিলাসিতা ও স্বেচ্ছাচারকে তিনি ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে কখনো  প্রশ্রয় দেননি ।  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তাঁর ৩২ নম্বর ধানমন্ডির ভাষাটি একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মতই আরম্বরহীন ,বাহুল্যবর্জিত সাধারন ছিল ।

চরিত্রের দৃঢ়তা, ব্যক্তিত্বের অতুলনীয়তায় বঙ্গবন্ধু সকলের ঊর্ধ্বে ছিলেন– কি উচ্চতায় কি চিওের বই  বৈভবের বিপুলতায় । একাধারে তিনি সাহসী ও বিনম্র ছিলেন এবং ছিলেন বলিষ্ঠ চিওের একজন।

বঙ্গবন্ধু তাঁর বিচারিত রাজনীতির ধারা থেকে সরে এসে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সমাজ পরিবর্তনের পথে পা বাড়ালেন ।  ঐকমত্যকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁর এই নতুন যাত্রা পথের শুরুতেই  সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি তাঁকে হত্যা করে ।

তাকে সপরিবারে হত্যা করার স্বপক্ষে যত কারণই বলা হোক তার আসল কারণ হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দান ।  একই কারণে বঙ্গবন্ধুর জাতীয় চার নেতাকে জীবন দিতে হয়েছিল ।

বস্তুত পঁচাওরের ১৫আগস্ট ও ৩ ৩ নভেম্বরের হত্যাকান্ড একই সূত্রে গাঁথা । বঙ্গবন্ধু স্বীয় জীবনের বিনিময়ে বাঙালিকে আপন চরিত্রশক্তি দৃষ্টান্ত হিসেবে উপহার দিতে গেলেন । 

মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে    মৃত্যুঞ্জয়  তিনি মনুষ্যত্বের আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে গেলেন যেখানে তাঁর  পথ ধরে আর একদিন  অপরাহিত মানুষ নিজের জয়যাত্রার অভিযানে সকল বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হবে তার মহৎ মর্যাদা দিয়ে পাবার পথে ।

 ইতিহাস যেমন নেতৃত্বের সৃষ্টি করে, নেতৃত্ব তেমনি ইতিহাস সৃষ্টি করে ।  বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারা যেমন– শেখ মুজিবুর রহমানকে ইতিহাসের মূলস্রোতে নিয়ে তাঁকে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা করেছে ।

ঠিক তেমনিভাবে  শেখ মুজিব ও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে তাঁর  রাজনৈতিক সাধনা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেলেন একটা  পরিণতরূপে স্বাধীন বাঙালি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে । তাই বাংলাদেশ ও বাঙালি অপর নাম– বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।