পোস্ট অফিসের প্রধান কে?
বাংলাদেশের পোস্ট অফিসের প্রধান হলেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বর্তমানে, এই পদে রয়েছেন জনাব সুশান্ত কুমার মন্ডল। তিনি ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডাক অধিদপ্তর বাংলাদেশের একটি সরকারি সংস্থা যা ডাক সেবা, টেলিযোগাযোগ সেবা, ই-কমার্স সেবা এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করে। এটি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনস্থ।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কবে চালু হয়?
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর চালু হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
উপমহাদেশে প্রথম ডাক সার্ভিস চালু করা হয় ১৭৭৪ সালে। ব্রিটিশ ভারতে প্রথম ডাক বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয় ১৮৫৪ সালে।
স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশিত হয় ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই।
পোস্ট অফিসে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায়?
পোস্ট অফিসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা রাখা যায়। এই টাকা রাখার জন্য পোস্ট অফিস সাধারণ হিসাব খোলা হয়। এই হিসাবে মাসে মাসে মুনাফা তোলা যায়। মুনাফার হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
এছাড়াও, পোস্ট অফিসে তিন বছর মেয়াদী মেয়াদি হিসাব খোলা যায়। এই হিসাবে সর্বনিম্ন ১০,০০০ টাকা রাখা যায়। এই হিসাবে মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
পোস্ট অফিসে টাকা রাখার সুবিধা হল:
- সরকারি নিরাপত্তা রয়েছে।
- সুদ পাওয়া যায়।
- সহজে টাকা তোলা যায়।
- আয়কর ছাড়ের সুযোগ রয়েছে।
পোস্ট অফিসে মাসিক আয়ের জন্য কোন স্কিম ভাল
পোস্ট অফিসে মাসিক আয়ের জন্য ভাল স্কিম হল পোস্ট অফিস মাসিক আয় স্কিম (MIS)। এই স্কিমটিতে, একজন আমানতকারী ন্যূনতম ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে যেকোনো অংক জমা করতে পারেন। জমাকৃত অর্থের উপর প্রতি মাসে সুদ প্রদান করা হয়। সুদের হার বর্তমানে ৭.১ শতাংশ। এই স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। মেয়াদ শেষে, আমানতকারী তার মূল টাকা এবং সুদ সহ মোট টাকা ফেরত পাবেন।
এই স্কিমের সুবিধা হল:
- মাসিক আয়ের সুযোগ রয়েছে।
- সরকারি নিরাপত্তা রয়েছে।
- তুলনামূলকভাবে কম সুদের হার।
অন্যান্য পোস্ট অফিস স্কিম যেমন পোস্ট অফিস ৫ বছর মেয়াদি ডিপিএস, পোস্ট অফিস ৭ বছর মেয়াদি ডিপিএস, পোস্ট অফিস ৫ বছর মেয়াদি টাইম ডিপোজিট (টিডি) ইত্যাদি স্কিমেও মাসিক আয়ের সুযোগ রয়েছে। তবে, এই স্কিমগুলোর সুদের হার পোস্ট অফিস মাসিক আয় স্কিমের চেয়ে বেশি।
আপনার মাসিক আয়ের প্রয়োজন এবং বিনিয়োগের লক্ষ্য অনুযায়ী আপনি কোন স্কিমটি বেছে নিতে পারেন।
বাংলাদেশের সকল পোস্ট অফিস
বাংলাদেশের সকল পোস্ট অফিসের একটি তালিকা বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। এই তালিকায় পোস্ট অফিসের নাম, ঠিকানা, পোস্টকোড এবং অন্যান্য তথ্য দেওয়া থাকে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত, বাংলাদেশের মোট পোস্ট অফিসের সংখ্যা ১০,৩৬৩টি। এর মধ্যে ৮,৮৪৩টি সাধারণ পোস্ট অফিস, ১,২৫০টি সাব-পোস্ট অফিস এবং ২৭০টি এক্সপ্রেস পোস্ট অফিস।
বাংলাদেশের সকল বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়নে পোস্ট অফিস রয়েছে। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি পোস্ট অফিস রয়েছে, যার সংখ্যা ১,২৬৫টি। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১,০৪৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৭৮১টি, খুলনা বিভাগে ৬৩৪টি, বরিশাল বিভাগে ৫২৯টি, সিলেট বিভাগে ৪৫৭টি এবং রংপুর বিভাগে ৪০৯টি পোস্ট অফিস রয়েছে।
আপনি যদি আপনার এলাকার পোস্ট অফিসের ঠিকানা জানতে চান, তাহলে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পোস্ট অফিস সার্চ বক্স ব্যবহার করতে পারেন।
পোস্ট অফিস সঞ্চয় হিসাবের মনোনয়ন পত্র
পোস্ট অফিস সঞ্চয় হিসাবের মনোনয়ন পত্র
(Form No. 1876)
পোস্টমাস্টার,
[পোস্ট অফিসের নাম],
[পোস্ট কোড]
বিষয়: পোস্ট অফিস সঞ্চয় হিসাবের মনোনয়ন
**আমি, [আপনার নাম], [আপনার ঠিকানা], [আপনার জন্ম তারিখ], [আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর] এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, আমি আমার পোস্ট অফিস সঞ্চয় হিসাব নং [হিসাব নম্বর] এর জন্য নিম্নলিখিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন করছি:
মনোনীত ব্যক্তির নাম: [মনোনীত ব্যক্তির নাম]
মনোনীত ব্যক্তির ঠিকানা: [মনোনীত ব্যক্তির ঠিকানা]
মনোনীত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর: [মনোনীত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর]
উক্ত মনোনীত ব্যক্তি আমার অনুপস্থিতিতে আমার পোস্ট অফিস সঞ্চয় হিসাবের পরিমাণ উত্তোলন, জমা, স্থানান্তর, বন্ধক ও অন্যান্য বিষয়ে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
নিবেদক,
[আপনার স্বাক্ষর]
[আপনার নাম]
[তারিখ]
নোট:
- মনোনয়ন পত্রটি পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
- মনোনীত ব্যক্তির বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
- মনোনীত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- মনোনয়ন পত্রটি অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে।