বাংলা বানানের নিয়ম হলো বাংলা ভাষায় শব্দের বানান লেখা ও উচ্চারণের নিয়ম। এই নিয়মগুলো মেনে চললে বাংলা ভাষায় শব্দগুলো সঠিকভাবে লেখা ও উচ্চারণ করা যায়।
বাংলা বানানের নিয়মগুলো অনেকগুলো। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হলো:
- স্বরবর্ণের বানান: স্বরবর্ণগুলোর বানান সাধারণত একই রকম। তবে কিছু ক্ষেত্রে স্বরবর্ণের বানানে পরিবর্তন হয়। যেমন, “অ” বর্ণের বানান “অ” হয়, কিন্তু “অ” বর্ণের বানান “অা” হয়।
- ব্যঞ্জনবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণের বানান: ব্যঞ্জনবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণের বানান সাধারণত একই রকম। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যঞ্জনবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণের বানানে পরিবর্তন হয়। যেমন, “ক” বর্ণের বানান “ক” হয়, কিন্তু “ক” বর্ণের বানান “খ” হয়।
- ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বরবর্ণের মিল: ব্যঞ্জনবর্ণ ও স্বরবর্ণের মিলের নিয়ম অনুসারে ব্যঞ্জনবর্ণ ও স্বরবর্ণ একত্রিত হয়ে শব্দ গঠন করে। যেমন, “ক” বর্ণের সাথে “অ” বর্ণের মিলে “কো” শব্দ হয়।
- যুক্তবর্ণ: বাংলা ভাষায় কিছু ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রিত হয়ে যুক্তবর্ণ তৈরি করে। যেমন, “ক” ও “ষ” বর্ণের মিলে “ক্ষ” যুক্তবর্ণ তৈরি হয়।
- সন্ধি: বাংলা ভাষায় দুটি শব্দ একত্রিত হয়ে সন্ধি তৈরি করে। যেমন, “ক” ও “ষ” বর্ণের মিলে “ক্ষ” সন্ধি তৈরি হয়।
- বিদেশি শব্দের বানান: বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি শব্দগুলোর বানান সাধারণত তাদের উৎস ভাষার বানানের অনুরূপ হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে বিদেশি শব্দের বানানে পরিবর্তন হয়।
বাংলা বানানের নিয়মগুলো ভালোভাবে জানা থাকলে বাংলা ভাষায় শব্দগুলো সঠিকভাবে লেখা ও উচ্চারণ করা যায়। বাংলা বানানের নিয়মগুলো জানার জন্য বিভিন্ন বই ও ওয়েবসাইট রয়েছে। এছাড়াও, বাংলা বানানের নিয়মগুলো শেখার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন কোর্সও রয়েছে।