আব্বাস উদ্দিনের জীবনী

আব্বাস উদ্দিন নামের এর অর্থ কি?

আব্বাস উদ্দিন নামের অর্থ হল “উদ্দীন, যার পিতা আব্বাস”। আব্বাস হল একটি আরবি শব্দ যার অর্থ “শক্তিশালী” বা “সাহসী”। উদ্দিন হল একটি ইসলামিক নাম যার অর্থ “ধর্মের উদ্দীপক”।

একটি আরও বিস্তারিত অর্থ হল “যিনি আল্লাহর পথে সাহসী এবং শক্তিশালী”।

আব্বাস উদ্দিন নামটি মুসলিম পুরুষদের জন্য একটি জনপ্রিয় নাম। এটি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং অন্যান্য মুসলিম দেশগুলিতে সাধারণত ব্যবহৃত হয়।

এখানে আব্বাস উদ্দিন নামের কিছু বিখ্যাত ব্যক্তির নাম রয়েছে:

  • আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশের একজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি
  • আব্বাস উদ্দিন, বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ এবং সংসদ সদস্য
  • আব্বাস উদ্দিন, বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ী

আব্বাস উদ্দিন নামটি একটি শক্তিশালী এবং সুন্দর নাম যা তার ধারকদের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক নাম হতে পারে।

আব্বাস উদ্দীন বাংলা সঙ্গীতের অমর কন্ঠশিল্পী

হ্যাঁ, আব্বাস উদ্দীন বাংলা সঙ্গীতের অমর কন্ঠশিল্পী। তিনি তার দরদভরা সুরেলা কণ্ঠে পল্লি গানের সুর যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন, তা আজও অবিস্মরণীয়। তিনি বাংলা ভাষার গানকে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি লাভ করতে সাহায্য করেছেন।

আব্বাস উদ্দীন ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার বলরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কোনো ওস্তাদের কাছে গান না শিখেই বা তালিম না নিয়েই, গান গাওয়া শুরু করেন।

যাত্রা, থিয়েটার ও স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান শুনে শুনে, নিজ চেষ্টায় গান গাওয়া রপ্ত করেন। এই অসাধরণ প্রতিভাসম্পন্ন শিল্পী, তাঁর আপন প্রতিভা গুণে, নিজেকে একজন উঁচুমানের কণ্ঠশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।

আব্বাস উদ্দীন বাংলা ভাষার বিভিন্ন ঘরানার গান গেয়েছেন। তার গাওয়া ভাওয়াইয়া, জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালা গান ইত্যাদি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

তার গাওয়া “ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”, “আমার গহিন গাঙের নাইয়া”, “ওকি গাড়িয়াল ভাই”, “ত্রিভূবনের প্রিয় মুহাম্মদ” ইত্যাদি গান আজও বাংলা মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

আব্বাস উদ্দীন ১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে বাংলা সঙ্গীত জগতে এক বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।

আব্বাস উদ্দীনের অবদানের জন্য তিনি ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদক এবং ১৯৬২ সালে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পদক প্রদান করা হয়।

আব্বাস উদ্দিন যে ধরনের গানের জন্য বিখ্যাত

আব্বাস উদ্দিন বাংলা ভাষার বিভিন্ন ঘরানার গান গেয়েছেন। তার গাওয়া ভাওয়াইয়া, জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালা গান ইত্যাদি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

তবে তিনি বিশেষভাবে পল্লী সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত। তার গাওয়া “ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”, “আমার গহিন গাঙের নাইয়া”, “ওকি গাড়িয়াল ভাই”, “ত্রিভূবনের প্রিয় মুহাম্মদ” ইত্যাদি গান আজও বাংলা মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

আব্বাস উদ্দীন পল্লী সঙ্গীতকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছিলেন। তার গাওয়া পল্লী গানগুলিতে গ্রামের মানুষের জীবন-জীবিকার বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। তিনি তার দরদভরা সুরেলা কণ্ঠে পল্লী মানুষের দুঃখ-কষ্ট, প্রেম-ভালোবাসা, আনন্দ-বেদনার কথা তুলে ধরেছেন।

আব্বাস উদ্দীনকে বাংলা পল্লী সঙ্গীতের জনক বলা হয়। তিনি বাংলা পল্লী সঙ্গীতকে বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করতে সাহায্য করেছেন।

আব্বাস উদ্দীনের বিখ্যাত পল্লী গানের মধ্যে রয়েছে:

  • ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
  • আমার গহিন গাঙের নাইয়া
  • ওকি গাড়িয়াল ভাই
  • ত্রিভূবনের প্রিয় মুহাম্মদ
  • ঐ শোন কদম্ব তলে বংশী বাজায় কে
  • ও মোর কালারে কালা
  • কিসের মোর রাধন
  • ঐ ঝড়ে ঝড়ে ঝড়ে
  • ঐ বহমান নদীর ধারে
  • ঐ ধানের মাঠে দাঁড়িয়ে
  • ঐ বন্দিনী পাখি

আব্বাস উদ্দিনের গাওয়া গানগুলি আজও বাংলা মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে। তার গানগুলি বাংলা সঙ্গীতের অমূল্য সম্পদ।

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন খান

হ্যাঁ, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন খান। তিনি বরিশাল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই সংক্রান্তে একটি প্রজ্ঞাপন বুধবার (২৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ জারি করেছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজি মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক মো. আব্বাস উদ্দিন খানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আব্বাস উদ্দিন খান ১৯৬৫ সালে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে বরিশাল সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০২৩ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

আব্বাস উদ্দিন খান একজন সুযোগ্য ও দক্ষ শিক্ষাবিদ। তিনি বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আব্বাস উদ্দিন আহমদ সম্পর্কে ১০ অজানা তথ্য

আব্বাস উদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন অসামান্য শিল্পী। তার দরদভরা সুরেলা কণ্ঠে পল্লি গানের সুর যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন, তা আজও অবিস্মরণীয়। তিনি বাংলা ভাষার গানকে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি লাভ করতে সাহায্য করেছেন।

আব্বাস উদ্দিন আহমদ সম্পর্কে ১০ অজানা তথ্য নিম্নরূপ:

  • আব্বাস উদ্দিন আহমদের জন্ম ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার বলরামপুর গ্রামে।
  • তিনি কোনো ওস্তাদের কাছে গান না শিখেই বা তালিম না নিয়েই, গান গাওয়া শুরু করেন।
  • আব্বাস উদ্দীন আহমদের প্রথম গান প্রকাশিত হয় ১৯২৩ সালে।
  • তিনি তার জীবনে প্রায় ১০,০০০ গান গেয়েছেন।
  • আব্বাস উদ্দীন আহমদকে বাংলা পল্লী সঙ্গীতের জনক বলা হয়।
  • তিনি ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদক এবং ১৯৬২ সালে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পদক প্রদান করা হয়।
  • আব্বাস উদ্দীন আহমদ ১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

এছাড়াও, আব্বাস উদ্দিন আহমদ সম্পর্কে আরও কিছু অজানা তথ্য হল:

  • তিনি একজন দক্ষ বাঁশিবাদক ছিলেন।
  • তিনি একজন সুলেখকও ছিলেন।
  • তিনি একজন সমাজসেবীও ছিলেন।

আব্বাস উদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা শিল্পী। তার গানগুলি বাংলা মানুষের হৃদয়ে চিরকাল গেঁথে থাকবে।

ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিন

আব্বাস উদ্দিনকে ভাওয়াইয়া সম্রাট বলা হয়। তিনি তার সুরেলা কণ্ঠে ভাওয়াইয়া গানকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছিলেন। তিনি তার দরদভরা কণ্ঠে ভাওয়াইয়া গানগুলিতে গ্রামের মানুষের জীবন-জীবিকার বাস্তবতা ফুটে তুলেছিলেন।

আব্বাস উদ্দিন ১৯২২ সালের ২৭ অক্টোবর বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কোনো ওস্তাদের কাছে গান না শিখেই বা তালিম না নিয়েই, গান গাওয়া শুরু করেন।

যাত্রা, থিয়েটার ও স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান শুনে শুনে, নিজ চেষ্টায় গান গাওয়া রপ্ত করেন। এই অসাধরণ প্রতিভাসম্পন্ন শিল্পী, তাঁর আপন প্রতিভা গুণে, নিজেকে একজন উঁচুমানের কণ্ঠশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।

আব্বাস উদ্দিনের গাওয়া ভাওয়াইয়া গানগুলি আজও বাংলা মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তার গাওয়া “আমার গহিন গাঙের নাইয়া”, “ওকি গাড়িয়াল ভাই”, “ত্রিভূবনের প্রিয় মুহাম্মদ” ইত্যাদি গান বাংলা ভাওয়াইয়া সঙ্গীতের অমূল্য সম্পদ।

আব্বাস উদ্দিন ১৯৯৮ সালের ১০ জানুয়ারি বরিশালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে বাংলা ভাওয়াইয়া সঙ্গীত জগতে এক বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।

আব্বাস উদ্দিনের ভাওয়াইয়া গানগুলির কিছু বৈশিষ্ট্য হল:

  • সুরেলা কণ্ঠ: আব্বাস উদ্দিনের কণ্ঠ ছিল অত্যন্ত সুরেলা। তার কণ্ঠের সুর গ্রামের মানুষের মনের গভীরে প্রবেশ করতো।
  • দরদ: আব্বাস উদ্দিনের গাওয়া ভাওয়াইয়া গানগুলিতে দরদ ছিল। তিনি তার কণ্ঠে গ্রামের মানুষের দুঃখ-কষ্ট, প্রেম-ভালোবাসা, আনন্দ-বেদনার কথা তুলে ধরতেন।
  • বাস্তবতা: আব্বাস উদ্দিনের গাওয়া ভাওয়াইয়া গানগুলিতে গ্রামীণ জীবনের বাস্তবতা ফুটে উঠত। তিনি তার গানগুলিতে গ্রামের মানুষের জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরতেন।

আব্বাস উদ্দিন বাংলা ভাওয়াইয়া সঙ্গীতের একজন অমর কণ্ঠশিল্পী। তার গানগুলি বাংলা ভাওয়াইয়া সঙ্গীতের উৎকর্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *