টক বরই দিয়ে লালশাক
উপকরণ:
- লালশাক – ১ বাটি
- টক বরই – ১০টি
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- আদা বাটা – ১ চা চামচ
- রসুন বাটা – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- গরম মশলা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- তেল – পরিমাণমতো
প্রণালি:
১. লালশাক ভালো করে ধুয়ে ঝরিয়ে নিন। ২. টক বরই ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। ৩. একটি কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
৪. কষানো মশলার মধ্যে টক বরই দিয়ে দিন। বরই নরম হয়ে এলে লালশাক দিয়ে দিন। ৫. লালশাক ভালো করে নেড়েচেড়ে ঢেকে দিন। ৬. মাঝে মাঝে নেড়েচেড়ে দিয়ে লালশাক সেদ্ধ করে নিন। ৭. লালশাক সেদ্ধ হয়ে এলে লবণ ও গরম মশলা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ৮. নামিয়ে পরিবেশন করুন।
টিপস:
- লালশাক সেদ্ধ হয়ে এলে বেশি নাড়াচাড়া করবেন না। তাহলে লালশাক ভেঙে যাবে।
- আপনি চাইলে টক বরইয়ের পরিবর্তে টক দইও ব্যবহার করতে পারেন।
- লালশাক রান্নার সময় অল্প আঁচে রান্না করুন। তাহলে লালশাকের পুষ্টিগুণ নষ্ট হবে না।
আলু–টমেটো ভর্তা
উপকরণ:
- আলু – ২টি (মাঝারি সাইজের)
- টমেটো – ২টি (মাঝারি সাইজের)
- কাঁচা মরিচ – ২টি
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- আদা বাটা – ১ চা চামচ
- রসুন বাটা – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- গরম মশলা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- তেল – পরিমাণমতো
প্রণালি:
১. আলু ও টমেটো ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। ২. আলু মাঝারি আকারের টুকরো করে কেটে নিন। ৩. টমেটো পাতলা স্লাইস করে নিন। ৪. কাঁচা মরিচ ভেঙে নিন। ৫. একটি কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
৬. কষানো মশলার মধ্যে আলু ও টমেটো দিয়ে দিন। ৭. আলু ও টমেটো ভালো করে নেড়েচেড়ে ঢেকে দিন। ৮. মাঝে মাঝে নেড়েচেড়ে দিয়ে আলু ও টমেটো সেদ্ধ করে নিন। ৯. আলু ও টমেটো সেদ্ধ হয়ে এলে কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। ১০. লবণ ও গরম মশলা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ১১. নামিয়ে পরিবেশন করুন।
টিপস:
- আলু ও টমেটো সেদ্ধ হয়ে এলে বেশি নাড়াচাড়া করবেন না। তাহলে আলু ও টমেটো ভেঙে যাবে।
- আপনি চাইলে ভর্তা তৈরির সময় ধনেপাতা কুচিও দিতে পারেন।
- আলু ও টমেটো ভর্তা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করলে খুবই সুস্বাদু লাগে।
করলা–মুগডাল
উপকরণ:
- করলা – ১/২ কেজি
- মুগ ডাল – ১ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- আদা বাটা – ১ চা চামচ
- রসুন বাটা – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- গরম মশলা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- তেল – পরিমাণমতো
প্রণালি:
১. করলা ভালো করে ধুয়ে ঝরিয়ে নিন। ২. করলা টুকরো করে কেটে নিন। ৩. মুগ ডাল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। ৪. একটি কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
৫. কষানো মশলার মধ্যে মুগ ডাল দিয়ে দিন। ৬. মুগ ডাল ভালো করে নেড়েচেড়ে ঢেকে দিন। ৭. মাঝে মাঝে নেড়েচেড়ে দিয়ে মুগ ডাল সিদ্ধ করে নিন। ৮. মুগ ডাল সিদ্ধ হয়ে এলে করলা দিয়ে দিন। ৯. করলা ভালো করে নেড়েচেড়ে ঢেকে দিন। ১০. মাঝে মাঝে নেড়েচেড়ে দিয়ে করলা সেদ্ধ করে নিন। ১১. করলা সেদ্ধ হয়ে এলে লবণ ও গরম মশলা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ১২. নামিয়ে পরিবেশন করুন।
টিপস:
- করলা বেশিক্ষণ রান্না করলে তেতো হয়ে যাবে। তাই করলা হালকা সেদ্ধ করে নিন।
- আপনি চাইলে করলার সাথে আলু, টমেটো, বা অন্যান্য সবজিও দিতে পারেন।
- করলা–মুগডাল গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করলে খুবই সুস্বাদু লাগে।
৫ টি সেরা বাঙালি রান্নার রেসিপি
বাঙালি রান্না তার বৈচিত্র্য ও স্বাদের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। বাঙালি রান্নায় মাছ, মাংস, সবজি, এবং ডাল সবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাঙালি রান্নার কিছু জনপ্রিয় পদ হল:
**১. ** ইলিশ মাছের মাথাভাত
ইলিশ মাছের মাথাভাত বাঙালি রান্নার অন্যতম জনপ্রিয় পদ। ইলিশ মাছের মাথা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, মরিচ, এবং ধনে দিয়ে এই পদটি তৈরি করা হয়। ইলিশ মাছের মাথাভাত গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করলে খুবই সুস্বাদু লাগে।
**২. ** পোলাও
পোলাও বাঙালি রান্নার আরেকটি জনপ্রিয় পদ। পোলাও চাল, মাংস, মাছ, সবজি, বা মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়। পোলাও সাধারণত বিয়ে, জন্মদিন, বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।
**৩. ** মুরগির ঝোল
মুরগির ঝোল বাঙালি রান্নার একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পদ। মুরগির মাংস, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, মরিচ, এবং ধনে দিয়ে এই পদটি তৈরি করা হয়। মুরগির ঝোল গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করলে খুবই সুস্বাদু লাগে।
**৪. ** ডাল
ডাল বাঙালি রান্নার একটি অপরিহার্য পদ। ডাল সাধারণত ভাত, রুটি, বা পরোটার সাথে পরিবেশন করা হয়। বাঙালি রান্নায় বিভিন্ন ধরনের ডাল রান্না করা হয়, যেমন মুগ ডাল, ছোলা ডাল, এবং মটর ডাল।
**৫. ** ভাজা
ভাজা বাঙালি রান্নার একটি জনপ্রিয় পদ। ভাজা বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছ, বা মাংস দিয়ে তৈরি করা হয়। ভাজা সাধারণত গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয়।
এই ৫ টি রেসিপি ছাড়াও, বাঙালি রান্নায় আরও অনেক সুস্বাদু পদ রয়েছে। বাঙালি রান্নার বৈচিত্র্য ও স্বাদ বিশ্বের অন্যান্য রান্নার সাথে তুলনায় অনন্য।