কোণ
কোণ হলো দুটি রেখার মিলন বিন্দু থেকে উৎপন্ন একটি বক্ররেখা। কোণের দুটি দিক থাকে, যাকে বাহু বলে। কোণগুলিকে তাদের বৈশিষ্ট্য অনুসারে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে।
কোণের প্রকারভেদগুলি নিম্নরূপ:
- অভ্যন্তরীণ কোণ: একটি বহুভুজের অভ্যন্তরে অবস্থিত কোণগুলিকে অভ্যন্তরীণ কোণ বলে। একটি ত্রিভুজের তিনটি অভ্যন্তরীণ কোণ থাকে, যার সমষ্টি সর্বদা ১৮০ ডিগ্রি হয়।
- বাহ্যিক কোণ: একটি বহুভুজের একটি বাহুর সাথে তার বিপরীত বাহুর অভ্যন্তরীণ কোণের সমষ্টিকে বাহ্যিক কোণ বলে। একটি ত্রিভুজের প্রতিটি বাহুর জন্য একটি বাহ্যিক কোণ থাকে, যার সমষ্টি সর্বদা ৩৬০ ডিগ্রি হয়।
- সমকোণ: যার একটি দিক অপর দুটি দিকের সাথে ৯০ ডিগ্রি কোণ করে, তাকে সমকোণ বলে।
- স্থূলকোণ: যার একটি দিক অপর দুটি দিকের সাথে ১৮০ ডিগ্রি কোণ করে, তাকে স্থূলকোণ বলে।
- তীব্রকোণ: যার একটি দিক অপর দুটি দিকের সাথে ৯০ ডিগ্রি অপেক্ষা কম কোণ করে, তাকে তীব্রকোণ বলে।
কোণগুলির পরিমাপ ডিগ্রি বা রেডিয়ান এককে করা হয়। একটি ডিগ্রি হলো একটি সমবাহু ত্রিভুজের সমকোণের সমতুল্য। একটি রেডিয়ান হলো একটি বৃত্তের ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্যের সমান ব্যাসার্ধের সাথে স্পর্শকের মধ্যে কোণের পরিমাপ।
কোণগুলির ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে করা হয়, যেমন:
- জ্যামিতিতে, কোণগুলিকে বিভিন্ন বহুভুজ এবং জ্যামিতিক চিত্রগুলির গঠন এবং বৈশিষ্ট্যগুলি বোঝার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- ভূগোল এবং মানচিত্রবিদ্যায়, কোণগুলিকে বিভিন্ন স্থানের মধ্যে দূরত্ব এবং দিক নির্ধারণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
- ত্রিকোণমিতিতে, কোণগুলিকে বিভিন্ন ত্রিকোণমিতিক অপেক্ষকের মান নির্ধারণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
কোণগুলির জ্ঞান আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।