মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণী হল প্রাণীজগতের দুটি প্রধান শ্রেণী। মেরুদন্ডী প্রাণীদের দেহে মেরুদণ্ড থাকে, যা তাদের দেহের ভারসাম্য রক্ষা ও চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, অমেরুদন্ডী প্রাণীদের দেহে মেরুদণ্ড থাকে না।
অমেরুদণ্ডী প্রাণীর শ্রেণীবিন্যাস
অমেরুদণ্ডী প্রাণী হল সেইসব প্রাণী যাদের মেরুদণ্ড নেই। তারা পৃথিবীর প্রাণীজগতের প্রায় 97% গঠন করে। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের শ্রেণীবিন্যাস বেশ জটিল, তবে সাধারণত নিম্নলিখিত শ্রেণিগুলিতে বিভক্ত করা হয়:
- পলিখেটস (Polychaeta): এই প্রাণীগুলির অনেকগুলি খণ্ড এবং প্রতিটি খণ্ডে একটি জোড়া পা থাকে। তারা সাধারণত সামুদ্রিক পরিবেশে বাস করে।
- অক্টোপাস, স্কিভিড এবং চ্যাম্পার (Cephalopoda): এই প্রাণীগুলির একটি বড় মাথা, একটি শক্তিশালী চোখ এবং আটটি বা দশটি হাত থাকে। তারা সাধারণত সামুদ্রিক পরিবেশে বাস করে।
- মল্লাস্ক (Molluscs): এই প্রাণীগুলির একটি শরীরের খোলস থাকে যা প্রোটিন বা ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে তৈরি। তারা বিভিন্ন আবাসে বাস করে, যেমন জল, স্থল এবং বায়ু।
- অর্থোপডস (Arthropoda): এই প্রাণীগুলির একটি শরীর থাকে যা খণ্ডিত হয় এবং প্রতিটি খণ্ডে একটি জোড়া পা থাকে। তারা বিভিন্ন আবাসে বাস করে, যেমন জল, স্থল এবং বায়ু।
- এনয়েমোটোডস (Nematoda): এই প্রাণীগুলির একটি পাতলা, নলাকার শরীর থাকে। তারা বিভিন্ন আবাসে বাস করে, যেমন জল, স্থল এবং বায়ু।
- স্পঞ্জ (Porifera): এই প্রাণীগুলির একটি জটিল, নলাকার শরীর থাকে যা ছোট ছোট ছিদ্র দিয়ে গঠিত। তারা সমুদ্রে বাস করে।
- সিলিওফোরস (Ciliophora): এই প্রাণীগুলির একটি ছোট, গোলাকার শরীর থাকে যা সিলিয়া দিয়ে আবৃত থাকে। তারা বিভিন্ন আবাসে বাস করে, যেমন জল, স্থল এবং বায়ু।
- প্লাটিহেলমিন্থস (Platyhelminthes): এই প্রাণীগুলির একটি পাতলা, ডিস্ক-আকৃতির শরীর থাকে। তারা বিভিন্ন আবাসে বাস করে, যেমন জল, স্থল এবং বায়ু।
অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের শ্রেণীবিন্যাস এখনও গবেষণার বিষয়। নতুন প্রজাতির আবিষ্কার এবং বিবর্তনের নতুন প্রমাণের সাথে সাথে শ্রেণীবিন্যাস ব্যবস্থাগুলি পরিবর্তিত হয়।
অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের কিছু উদাহরণ হল:
- মাছ
- কাঁকড়া
- কাঁকড়া
- স্কুইড
- চ্যাম্পার
- শূককীট
- পোকামাকড়
- সূক্ষ্মকৃমি
- স্পঞ্জ
- প্রোটোজোয়া
অমেরুদণ্ডী প্রাণীরা পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা খাদ্য শৃঙ্খলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তারা বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে, যেমন মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, রোগজীবাণু নিয়ন্ত্রণ এবং পুষ্টি সরবরাহ।
প্রত্যেকটি শ্রেণির কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
- পলিখেটস (Polychaeta):
- দেহ খণ্ডিত, প্রতিটি খণ্ডে একটি জোড়া পা থাকে।
- দেহের পৃষ্ঠে সিলিয়া বা লোম থাকে।
- বেশিরভাগই সামুদ্রিক।
- অক্টোপাস, স্কিভিড এবং চ্যাম্পার (Cephalopoda):
- একটি বড় মাথা, একটি শক্তিশালী চোখ এবং আটটি বা দশটি হাত থাকে।
- দেহ নরম, খোলস নেই।
- বেশিরভাগই সামুদ্রিক।
- মল্লাস্ক (Molluscs):
- দেহের চারপাশে একটি শক্ত খোলস থাকে।
- দেহের গহ্বর রয়েছে।
- বিভিন্ন আবাসে বাস করে।
- অর্থোপডস (Arthropoda):
- দেহ খণ্ডিত, প্রতিটি খণ্ডে একটি জ
জগৎ অ্যানিমেলিয়া
জগৎ অ্যানিমেলিয়া হল প্রাণীজগতের একটি বৃহৎ গোষ্ঠী। এরা বহুকোষী এবং সুকেন্দ্রিক জীবের একটি বিশাল বৈচিত্র্য। অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্গত প্রাণীদেরকে সাধারণত নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলির দ্বারা চিহ্নিত করা যায়:
- তারা বহুকোষী জীব। অর্থাৎ, তাদের দেহ একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত।
- তাদের দেহে একটি সুকেন্দ্রিক কোষ থাকে। অর্থাৎ, তাদের কোষের নিউক্লিয়াস একটি কোষঝিল্লি দ্বারা আবৃত থাকে।
- তারা জীবিত কোষ থেকে তৈরি হয়। অর্থাৎ, তারা জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যায়।
- তারা স্ব-সংরক্ষণে সক্ষম। অর্থাৎ, তারা নিজেদেরকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
- তারা চলাচল করতে সক্ষম। অর্থাৎ, তারা তাদের দেহকে স্থান থেকে স্থানে সরাতে পারে।
- তারা পুষ্টি গ্রহণ করে। অর্থাৎ, তারা পরিবেশ থেকে খাদ্য গ্রহণ করে এবং এটিকে শক্তিতে রূপান্তর করে।
- তারা বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে। অর্থাৎ, তারা তাদের দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।
- তারা শ্বাসকার্য করে। অর্থাৎ, তারা তাদের দেহে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে।
- তারা প্রজনন করে। অর্থাৎ, তারা নিজের মতো প্রাণী তৈরি করতে পারে।
অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের প্রাণীদেরকে দুটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়: মেরুদণ্ডী এবং অমেরুদণ্ডী। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহে একটি মেরুদণ্ড থাকে, যা তাদের দেহের ভারসাম্য রক্ষা ও চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহে মেরুদণ্ড থাকে না।
মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে মাছ, উভচর, সরীসৃপ, পাখি এবং স্তন্যপায়ী। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে পোকামাকড়, কৃমি, মলাস্কা, আর্থ্রোপড, ইত্যাদি।
অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের প্রাণীরা পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা খাদ্য শৃঙ্খলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তারা বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে, যেমন মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, রোগজীবাণু নিয়ন্ত্রণ এবং পুষ্টি সরবরাহ।
অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল:
- তারা বহুকোষী এবং সুকেন্দ্রিক জীব।
- তারা জীবিত কোষ থেকে তৈরি হয়।
- তারা স্ব-সংরক্ষণে সক্ষম।
- তারা চলাচল করতে সক্ষম।
- তারা পুষ্টি গ্রহণ করে।
- তারা বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে।
- তারা শ্বাসকার্য করে।
- তারা প্রজনন করে।
অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীর উদাহরণ হল:
- মেরুদণ্ডী প্রাণী: মাছ, উভচর, সরীসৃপ, পাখি এবং স্তন্যপায়ী।
- অমেরুদণ্ডী প্রাণী: পোকামাকড়, কৃমি, মলাস্কা, আর্থ্রোপড, ইত্যাদি।
মেরুদন্ডী প্রাণীর শ্রেণীবিন্যাস
মেরুদন্ডী প্রাণী হল কর্ডাটা পর্বের প্রাণী যাদের একটি মেরুদণ্ড বা কশেরুকা কলাম রয়েছে। মেরুদন্ডী প্রাণীকে পাঁচটি প্রধান শ্রেণীতে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়:
- অগ্নাথা (চোয়ালবিহীন মাছ): অগ্নাথাদের চোয়াল নেই এবং তাদের স্কেল থাকে। তাদের মধ্যে রয়েছে ল্যাম্প্রে এবং হাগফিশ।
- কন্ড্রিথাইস (কার্টিলজিনাস মাছ): কন্ড্রিথাইসের মেরুদণ্ড কার্টিলেজের তৈরি। তাদের মধ্যে রয়েছে হাঙ্গর, স্কুইড এবং স্কেট।
- অস্টিকথিস (অস্থি মাছ): অস্টিকথিসের মেরুদণ্ড হাড়ের তৈরি। তাদের মধ্যে রয়েছে রূপচাঁদা, ইলিশ এবং ইলিশ।
- আম্ফিবিয়া (উভচর): আম্ফিবিয়ার দুটি পর্যায় রয়েছে: জলজ লার্ভা এবং স্থলজ প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ, সাপ এবং কচ্ছপ।
- সরীসৃপ (সরীসৃপ): সরীসৃপের শুষ্ক, আঁশযুক্ত ত্বক থাকে। তাদের মধ্যে রয়েছে টিকটিকি, ঘড়ি এবং কচ্ছপ।
- স্তন্যপায়ী প্রাণী (স্তন্যপায়ী প্রাণী): স্তন্যপায়ীদের লোম থাকে এবং তারা তাদের বাচ্চাদের দুধ খাওয়ায়। তাদের মধ্যে রয়েছে মানুষ, বিড়াল এবং কুকুর।
এই শ্রেণীবিভাগটি মেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে শারীরিক এবং আচরণগত পার্থক্যগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি। উদাহরণস্বরূপ, অগ্নাথাদের চোয়াল নেই, কন্ড্রিথাইসের মেরুদণ্ড কার্টিলেজের তৈরি, এবং আম্ফিবিয়ার দুটি পর্যায় রয়েছে।
মেরুদন্ডী প্রাণী পৃথিবীর সবচেয়ে বিবর্তিত প্রাণী। তারা সমস্ত ধরণের বাসস্থানে পাওয়া যায় এবং তারা বিভিন্ন ধরণের খাদ্য খায়। মেরুদন্ডী প্রাণী আমাদের পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তারা আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কর্ডাটা পর্বকে তিনটি উপ-পড়র্বে ভাগ করা যায়। যথা-
কর্ডাটা পর্বকে তিনটি উপ-পর্বের মধ্যে ভাগ করা যায়:
অণুমেরুদণ্ডী (Agnatha): এই প্রাণীদের মেরুদণ্ড নেই, তবে তাদের একটি নল থাকে যাকে নর্ডাক্টাইল বলা হয়। নর্ডাক্টাইল মেরুদণ্ডের মতো কাজ করে এবং এটি দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অণুমেরুদণ্ডীদের মধ্যে রয়েছে চোয়ালবিহীন মাছ, যেমন হাগফিশ এবং ল্যাম্প্রে।
মেরুদণ্ডী (Vertebrata): এই প্রাণীদের একটি মেরুদণ্ড থাকে, যা একটি কশেরুকা কলাম দ্বারা গঠিত। মেরুদণ্ড দেহকে সমর্থন করে এবং এটি চলাচলের জন্য সাহায্য করে। মেরুদণ্ডীদের মধ্যে রয়েছে মাছ, উভচর, সরীসৃপ, পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী।
হাইড্রোচর্ডাটা (Chordata): এই প্রাণীদের একটি নর্ডাক্টাইল থাকে, তবে তাদের একটি মেরুদণ্ড নেই। হাইড্রোচর্ডাটাগুলি সামুদ্রিক প্রাণী যা সাধারণত 20 সেন্টিমিটার (8 ইঞ্চি) দীর্ঘ হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে অ্যাঙ্কোস্টোস্টোম এবং সিলাকানথ।
কর্ডাটা পর্বের প্রাণীগুলিকে তাদের শারীরিক এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে এই তিনটি উপ-পর্বে ভাগ করা হয়। অণুমেরুদণ্ডীদের মধ্যে চোয়াল নেই, মেরুদণ্ডীদের মধ্যে চোয়াল রয়েছে এবং একটি মেরুদণ্ড রয়েছে, এবং হাইড্রোচর্ডাটাগুলির মধ্যে চোয়াল রয়েছে এবং একটি নর্ডাক্টাইল রয়েছে।
অণুমেরুদণ্ডী (Agnatha)
অণুমেরুদণ্ডীরা কর্ডাটা পর্বের সবচেয়ে প্রাচীন প্রাণী। তারা চোয়ালবিহীন মাছ এবং তাদের একটি নর্ডাক্টাইল থাকে যা মেরুদণ্ডের মতো কাজ করে। অণুমেরুদণ্ডীদের মধ্যে রয়েছে হাগফিশ এবং ল্যাম্প্রে।
মেরুদণ্ডী (Vertebrata)
মেরুদণ্ডীরা কর্ডাটা পর্বের সবচেয়ে বিবর্তিত প্রাণী। তাদের একটি মেরুদণ্ড থাকে, যা একটি কশেরুকা কলাম দ্বারা গঠিত। মেরুদণ্ড দেহকে সমর্থন করে এবং এটি চলাচলের জন্য সাহায্য করে। মেরুদণ্ডীদের মধ্যে রয়েছে মাছ, উভচর, সরীসৃপ, পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী।
হাইড্রোচর্ডাটা (Chordata)
হাইড্রোচর্ডাটাগুলি কর্ডাটা পর্বের সবচেয়ে কম বিবর্তিত প্রাণী। তাদের একটি নর্ডাক্টাইল থাকে, তবে তাদের একটি মেরুদণ্ড নেই। হাইড্রোচর্ডাটাগুলি সামুদ্রিক প্রাণী যা সাধারণত 20 সেন্টিমিটার (8 ইঞ্চি) দীর্ঘ হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে অ্যাঙ্কোস্টোস্টোম এবং সিলাকানথ।
