পানি নিষ্কাশন হলো একটি জরুরি প্রক্রিয়া, যা মানুষের স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি, ব্যবহৃত পানি এবং অন্যান্য দূষিত পানিকে নিষ্কাশন করে পরিবেশ থেকে দূর করা হয়।
পানি নিষ্কাশনের গুরুত্ব
পানি নিষ্কাশনের গুরুত্ব নিম্নরূপ:
- মানুষের স্বাস্থ্য: পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি, ব্যবহৃত পানি এবং অন্যান্য দূষিত পানিকে নিষ্কাশন করে পরিবেশ থেকে দূর করা হয়। এতে রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমে যায় এবং মানুষের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- পরিবেশ: পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি, ব্যবহৃত পানি এবং অন্যান্য দূষিত পানিকে পরিবেশ থেকে দূর করা হয়। এতে জলাবদ্ধতা, দূষণ এবং বন্যার ঝুঁকি কমে যায়।
- অর্থনীতি: পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি, ব্যবহৃত পানি এবং অন্যান্য দূষিত পানিকে পরিবেশ থেকে দূর করা হয়। এতে ভূমি উর্বরতা বৃদ্ধি পায়, ফসলের উৎপাদন বাড়ে এবং অর্থনৈতিক উন্নতি হয়।
পানি নিষ্কাশনের পদ্ধতি
পানি নিষ্কাশনের প্রধান পদ্ধতিগুলি হলো:
- পৃষ্ঠীয় পানি নিষ্কাশন: এটি হলো বৃষ্টির পানি এবং অন্যান্য দূষিত পানিকে ভূমির পৃষ্ঠ থেকে নিষ্কাশনের পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে নালা, খাল, ড্রেন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
- ভূগর্ভস্থ পানি নিষ্কাশন: এটি হলো ভূগর্ভস্থ পানিকে নিষ্কাশনের পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কূপ, ড্রিপিং ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
- পুনঃব্যবহার: এটি হলো ব্যবহৃত পানিকে পরিশোধন করে পুনরায় ব্যবহারের পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
পানি নিষ্কাশনের সঠিক পদ্ধতি
পানি নিষ্কাশনের সঠিক পদ্ধতি নির্ভর করে এলাকার অবস্থা, জলবায়ু, পানি সম্পদের প্রাপ্যতা এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উপর। তবে, সাধারণভাবে পানি নিষ্কাশনের সঠিক পদ্ধতি নিম্নরূপ:
- পৃষ্ঠীয় পানি নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে:
- নালা, খাল, ড্রেন ইত্যাদির প্রস্থ, গভীরতা এবং ঢালের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।
- নালা, খাল, ড্রেন ইত্যাদির মুখ অবশ্যই খোলা থাকতে হবে।
- নালা, খাল, ড্রেন ইত্যাদির নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করতে হবে।
- ভূগর্ভস্থ পানি নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে:
- কূপ, ড্রিপিং ইত্যাদির অবস্থান সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।
- কূপ, ড্রিপিং ইত্যাদির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
- পুনঃব্যবহারের ক্ষেত্রে:
- ব্যবহৃত পানিকে পরিশোধনের জন্য উপযুক্ত প্রযুক্তি নির্বাচন করতে হবে।
- ব্যবহৃত পানিকে পুনরায় ব্যবহারের জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
পানি নিষ্কাশন সংক্রান্ত কিছু টিপস
- বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে হবে।
- ব্যবহৃত পানিকে সঠিকভাবে নিষ্কাশন করতে হবে।
- জলাবদ্ধতা রোধ করতে হবে।
- পানি দূষণ রোধ করতে হবে।
পানি নিষ্কাশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা মানুষের স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি নিষ্কাশনের সঠিক পদ্ধতি গ্রহণ করে আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আরও কার্যকর করতে পারি।
যে পরিস্থিতিতে যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজন
যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয়তা
যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশন হলো একটি জরুরি চিকিৎসা পদ্ধতি, যা বিভিন্ন কারণে প্রয়োজন হতে পারে। এর মধ্যে কয়েকটি সাধারণ কারণ হলো:
- হার্ট অ্যাটাক: হার্ট অ্যাটাকের সময়, হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে হৃৎপিণ্ডের পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা মারা যেতে পারে। যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের সময় হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
- পেরিকার্ডাইটিস: পেরিকার্ডাইটিস হলো হৃৎপিণ্ডকে ঘিরে থাকা ঝিল্লির প্রদাহ। এতে হৃৎপিণ্ড সঠিকভাবে সংকুচিত হতে পারে না। যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে পেরিকার্ডিয়াল ফ্লুইড অপসারণ করে পেরিকার্ডাইটিসের চিকিৎসা করা হয়।
- হার্ট ফেইলিওর: হার্ট ফেইলিওর হলো হৃৎপিণ্ডের অক্ষমতা, যার ফলে শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত সঠিকভাবে সরবরাহ করা যায় না। যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের চারপাশের অতিরিক্ত তরল অপসারণ করে হার্ট ফেইলিওরের চিকিৎসা করা হয়।
- এনিউরিজম: এনিউরিজম হলো রক্তনালীর একটি ফোলা অংশ। এটি ফেটে গেলে জীবন-হুমকিস্বরূপ রক্তপাত হতে পারে। যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে এনিউরিজমের ফোলা অংশকে ছোট করা হয়, যাতে এটি ফেটে না যায়।
- ক্যান্সার: কিছু ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যান্সার থেকে রক্তপাত হলে বা ক্যান্সার কোষ থেকে তরল জমা হলে যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে এগুলি অপসারণ করা হয়।
যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের পদ্ধতি
যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশন একটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে, বুকে একটি ছোট ছিদ্র তৈরি করা হয়। তারপর একটি টিউব দিয়ে হৃৎপিণ্ডের চারপাশের তরল বা রক্ত অপসারণ করা হয়।
যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশন একটি জটিল পদ্ধতি, তাই এটি একজন অভিজ্ঞ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারা করা উচিত।
যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের ঝুঁকি
যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- রক্তপাত: যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের সময় রক্তপাত হতে পারে।
- সংক্রমণ: যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের ফলে সংক্রমণ হতে পারে।
- হৃদযন্ত্রের সমস্যা: যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশনের ফলে হৃদযন্ত্রের সমস্যা হতে পারে।
এই ঝুঁকিগুলি কমাতে, যিহোবা আর্টারি বা পানি নিষ্কাশন একজন অভিজ্ঞ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারা করা উচিত।
পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ডিওয়াটারিংপদ্ধতি সমূহ
পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ডিওয়াটারিং পদ্ধতি সমূহ
পানি নিষ্কাশন বা ডিওয়াটারিং হলো কোনো স্থান থেকে অতিরিক্ত জল অপসারণের প্রক্রিয়া। এটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন হতে পারে, যেমন:
জলাবদ্ধতা: জলাবদ্ধতা হলো কোনো স্থানে অতিরিক্ত জলের কারণে সৃষ্ট অবস্থা। এটি ঘটে যখন জল কোনো স্থানে জমে থাকে এবং প্রবাহিত হতে পারে না। জলাবদ্ধতা বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে, যেমন:
- স্বাস্থ্য সমস্যা: জলাবদ্ধতা মশার প্রজননের জন্য একটি আদর্শ স্থান। এতে মশাবাহিত রোগ, যেমন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ও জিকা ছড়াতে পারে।
- সম্পত্তির ক্ষতি: জলাবদ্ধতা ফসলের ক্ষতি, রাস্তাঘাটের ক্ষতি, এবং ভবন ক্ষতির কারণ হতে পারে।
- পরিবেশগত সমস্যা: জলাবদ্ধতা শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে এবং পরিবেশ দূষণের কারণ হতে পারে।
বন্যার ঝুঁকি: বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি বন্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে: শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশন গুরুত্বপূর্ণ। এটি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ডিওয়াটারিং পদ্ধতি সমূহকে নিম্নলিখিতভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে:
কৃত্রিম ডিওয়াটারিং: এই পদ্ধতিতে, পানি অপসারণের জন্য মানুষের তৈরি কাঠামো ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম ডিওয়াটারিং পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে:
- নর্দমা: নর্দমা হলো পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত একটি পদ্ধতি। এটি সাধারণত শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় ব্যবহৃত হয়।
- খাল: খাল হলো পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত একটি কৃত্রিম খাল। এটি সাধারণত বন্যা প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।
- ডাইক: ডাইক হলো জলাশয়ের চারপাশে নির্মিত একটি বাঁধ। এটি জলাশয় থেকে পানি প্রবাহিত হওয়া রোধ করে।
- পম্পিং স্টেশন: পম্পিং স্টেশন হলো পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত একটি যন্ত্র। এটি পানিকে উচ্চতর স্থান থেকে নিম্নতর স্থানে সরিয়ে দেয়।
প্রাকৃতিক ডিওয়াটারিং: এই পদ্ধতিতে, পানি অপসারণের জন্য প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। প্রাকৃতিক ডিওয়াটারিং পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে:
- জলাধার: জলাধার হলো পানি সংরক্ষণের জন্য নির্মিত একটি প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম জলাশয়। এটি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহ করে।
- বনাঞ্চল: বনাঞ্চল জল শোষণে সহায়তা করে। এটি বন্যা প্রতিরোধে এবং পানি নিষ্কাশনে সহায়তা করে।
- ভূগর্ভস্থ জল: ভূগর্ভস্থ জল পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি বৃষ্টির পানি এবং ভূপৃষ্ঠের জল শোষণ করে।
পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ডিওয়াটারিং পদ্ধতির নির্বাচন
কোনো নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কোন ডিওয়াটারিং পদ্ধতিটি উপযুক্ত তা নির্ভর করে সেই পরিস্থিতির উপর। উদাহরণস্বরূপ, শহরের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য নর্দমা এবং ডাইক ব্যবহার করা যেতে পারে।
বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় খাল এবং পম্পিং স্টেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। শিল্পক্ষেত্রে পম্পিং স্টেশন এবং ড্রেনেজ সিস্টেম ব্যবহার করা যেতে পারে। কৃষিক্ষেত্রে খাল, ড্রেনেজ সিস্টেম, এবং জলাধার ব্যবহার করা যেতে পারে।
পরীক্ষা এবং অল্প-গভীর গর্ত পদ্ধতি
পরীক্ষা এবং অল্প-গভীর গর্ত পদ্ধতি
পরীক্ষা এবং অল্প-গভীর গর্ত পদ্ধতি হলো একটি ভূ-তত্ত্ববিদ্যার পদ্ধতি, যা ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূগর্ভস্থ গঠনগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে, বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা এবং গর্ত খোলার মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
পরীক্ষা
পরীক্ষাগুলি ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূগর্ভস্থ গঠনগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার জড়িত। পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ভূ-বিদ্যুতিক পরীক্ষা: এই পরীক্ষায়, ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূগর্ভস্থ গঠনগুলির মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রতিরোধের পরিমাপ করা হয়।
- ভূ-কম্পন পরীক্ষা: এই পরীক্ষায়, ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূগর্ভস্থ গঠনগুলির মাধ্যমে ভূকম্পন তরঙ্গের গতি এবং শক্তি পরিমাপ করা হয়।
- ভূ-প্রাকৃতিক পরীক্ষা: এই পরীক্ষায়, ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূগর্ভস্থ গঠনগুলির উপর ভূ-প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলির প্রভাব পরিমাপ করা হয়।
অল্প-গভীর গর্ত
অল্প-গভীর গর্তগুলি হলো ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূগর্ভস্থ গঠনগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য খোলা ছোট গর্ত। অল্প-গভীর গর্তগুলির গভীরতা সাধারণত 10 মিটার (33 ফুট) এর কম হয়।
অল্প-গভীর গর্তগুলি খোলার সময়, ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূগর্ভস্থ গঠনগুলির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই নমুনাগুলি পরীক্ষাগারে বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূগর্ভস্থ গঠনগুলি সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যায়।
পরীক্ষা এবং অল্প-গভীর গর্ত পদ্ধতির সুবিধা
পরীক্ষা এবং অল্প-গভীর গর্ত পদ্ধতির বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- এই পদ্ধতিটি ব্যয়বহুল নয়।
- এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে সহজ।
- এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূগর্ভস্থ গঠনগুলি সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।
পরীক্ষা এবং অল্প-গভীর গর্ত পদ্ধতির অসুবিধা
পরীক্ষা এবং অল্প-গভীর গর্ত পদ্ধতির বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- এই পদ্ধতিটি সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারে না, যদি ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূগর্ভস্থ গঠনগুলি খুব জটিল হয়।
- এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূগর্ভস্থ গঠনগুলির গভীরতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যায় না।
ব্যবহার
পরীক্ষা এবং অল্প-গভীর গর্ত পদ্ধতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে রয়েছে:
- ভূগর্ভস্থ পানি সম্পদের মূল্যায়ন
- ভূগর্ভস্থ গঠনগুলির অধ্যয়ন
- ভূ-প্রকৌশল প্রকল্প
- পরিবেশগত গবেষণা
ছিদ্রযুক্ত পাইপ পদ্ধতি
অভিকর্ষ প্রবাহ (gravity flow)এর উপর ভিত্তি করে এই পদ্ধতি উদ্ভাবিত। এই পদ্ধতিটি বেশ জটিল। ৫ সেমি হতে ৮ সেমি ব্যাসের প্রায় ০.১মিটার হতে ১ মিটার লম্বা ছিদ্রযুক্ত তারের জালি দ্বারা মোড়ানো পাইপ ব্যবহার করা হয়।
মোটর আকৃতির সু পাইপের নিচে লাগানো থাকে, যার সাথে বল ভালৃভ লাগানো থাকে। ফলে এ পাইপ বসানোর সময় পাইপের মধ্যে দিয়ে পানির ধারা নিচে নামতে পারে।
ছিদ্রযুক্ত পাইপ টিকে সব ব্যাসের উত্তোলন 5005 নিম্ন প্রান্তে লাগানো হয়। ১ হতে ৩মিটার পরপর স্থাপিত এই উত্তোলন পাইপ গুলোকে ১৫ সেমি থেকে ৩০ সেমি ব্যাচের অনুভূমিকভারে স্থাপিত হেডার পাইপ এর সাথে সংযুক্ত করা হয়।
এটার পাইপ এর সাথে বিশেষ ধরনের পাম্প লাগিয়ে পানি উত্তোলন করে পানি থেকে নিচে নামানো হয়।
যেসব মাটি বৈদ্যতার সহগ ১x১০-১হতে ১x১০-৩ মিমি/সেকেন্ড সেখানে পানি তলকে ৫ মিটার হতে ৬ মিটার নিচে নামানোর জন্য এ পদ্ধতির সুবিধাজনক।
প্রান্ত অনুভূমিকাভাবে স্থাপিত হেডার পাই পের সাথে লাগিয়ে পাম্পের সাহায্যে পানি উত্তোলন করা হয়।
ফলে পানির নিচে নেমে যায়। স্বল্প গভীরে মোটা বালির প্রথম প্রাণী ধারক স্তরের পানির নিচে নামানোর জন্য এ পদ্ধতি খুবই কার্যকর।
গভীর কুপ পদ্ধতি
পানিরতলের ১৬ মিটার নিচে খনন কাজের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এর 8 আর্টেসীয় অবস্থা বিদ্যমান সেখানেও এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়।
১৫ সেমিতে ৬০ সেমি দেশের খাড়া ছিদ্র করে লম্বা উচ্চতার পানি ঢেলে উঠাতে পারে এমন ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প এর তলায় লাগাতে হবে।
পানি তরের অবস্থান ডিওয়াটারিং-এর এলাকা ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে গভীর কূপে এর একটি হতে অপরটির দূরত্ব ১০ মিটার থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
মন্ত্রীরা হিন্দু বীর-কুকুর থেকে পানি নিষ্কাশন করতে গিয়ে একবার পাম্পিং এর শুরু করা হলে উক্ত এলাকার খনন কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চালু রাখতে হবে।
যদি মধ্যবর্তী সময়ে পাম্প বন্ধ করা হয় তাহলে উদস্থিতি চাপ ও সিপেজ চাপের সৃষ্টি হবে। ফলে মাটি ভেঙে কুপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বায়ু শুন্য কুপ পদ্ধতি
শুক্ষ কণা মাটির ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। পলি মিশ্রিত বালি ও অন্যান্য বাজার দর কার্যকরী কণার আকার D১০ এবং ০,০৫ মিমির চেয়ে সূক্ষ্ম এবং ভদ্রতার সহগ ১০,৩ থেকে ১০-৫ সিমি/সেকেন্ডের নিচে সে ক্ষেত্রে বায়ুশূন্য পদ্ধতি বেশি কার্যকরী।
ছিদ্রযুক্ত পদ্ধতি এবং গভীর পদ্ধতি যৌথভাবে প্রয়োগ করে এ ধরনের মাটি ক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশন করা হয়।
২৫ সেমি ব্যাসের খারা গর্ত বায়ু শূন্য কুপের বাইরে করা হয় এবং রাইজার পাইপের ভিতর পানির চাপ এর মাধ্যমে বায়ু বের করার জন্য পাম্প বসানো হয়।