কারক ও বিভক্তি দুটিই বাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারক হলো বাক্যের ক্রিয়াপদের সাথে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সম্পর্ক। বিভক্তি হলো শব্দের সঙ্গে যুক্ত একটি স্বর বা ব্যঞ্জনধ্বনি, যা শব্দের অর্থ ও ব্যবহারকে পরিবর্তন করে।
কারক
বাংলা ব্যাকরণে কারক ছয় প্রকার। যথা:
- কর্তৃকারক
- কর্মকারক
- করণকারক
- সম্প্রদান কারক
- অপাদান কারক
- অধিকরণ কারক
কর্তৃকারক
কর্তৃকারক হলো বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনকারী পদ। যেমন:
- ছাত্ররা খেলছে।
- আমি পড়ছি।
কর্মকারক
কর্মকারক হলো বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের অবশেষ বা ফল। যেমন:
- ছাত্ররা বই পড়ছে।
- আমি দুধ খাচ্ছি।
করণকারক
করণকারক হলো বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের উপায় বা মাধ্যম। যেমন:
- ছাত্ররা কলম দিয়ে লিখছে।
- আমি গাড়িতে করে যাচ্ছি।
সম্প্রদান কারক
সম্প্রদান কারক হলো বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য। যেমন:
- ছাত্ররা শিক্ষককে ফুল দিচ্ছে।
- আমি তোমাকে টাকা দিচ্ছি।
অপাদান কারক
অপাদান কারক হলো বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান, দিক, সময়, কারণ ইত্যাদি। যেমন:
- ছাত্ররা স্কুল থেকে ছুটি পেয়েছে।
- আমি কাল তোমাকে দেখব।
অধিকরণ কারক
অধিকরণ কারক হলো বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের অবস্থা, পরিবেশ, উপায় ইত্যাদি। যেমন:
- ছাত্ররা নীচে বসে খেলছে।
- আমি ভালো করে পড়ছি।
বিভক্তি
বাংলা ভাষায় বিভক্তি ছয় প্রকার। যথা:
- প্রথমা বিভক্তি
- দ্বিতীয়া বিভক্তি
- তৃতীয়া বিভক্তি
- চতুর্থী বিভক্তি
- পঞ্চমী বিভক্তি
- ষষ্ঠী বিভক্তি
- সপ্তমী বিভক্তি
প্রথমা বিভক্তি
প্রথমা বিভক্তির কোন চিহ্ন নেই। যেমন:
- ছাত্র
- আমি
দ্বিতীয়া বিভক্তি
দ্বিতীয়া বিভক্তির চিহ্ন কে। যেমন:
- ছাত্রকে দেখলাম।
- আমাকে বলো।
তৃতীয়া বিভক্তি
তৃতীয়া বিভক্তির চিহ্ন র, এর, দিগের, দের। যেমন:
- ছাত্রের বই।
- আমার কলম।
চতুর্থী বিভক্তি
চতুর্থী বিভক্তির চিহ্ন কে, রে, এ, য়, তে। যেমন:
- ছাত্রকে বই দিলাম।
- আমাকে কলম দাও।
পঞ্চমী বিভক্তি
পঞ্চমী বিভক্তির চিহ্ন হইতে, থেকে, চেয়ে। যেমন:
- ছাত্র স্কুল থেকে চলে গেল।
- আমি কাল তোমাকে দেখব।
ষষ্ঠী বিভক্তি
ষষ্ঠী বিভক্তির চিহ্ন র, এর, দিগের, দের। যেমন:
- ছাত্র স্কুলের ছাত্র।
- আমি তোমার ভাই।
সপ্তমী বিভক্তি
সপ্তমী বিভক্তির চিহ্ন এ