বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন

বাংলাদেশের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময়। এই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন। এই স্থানগুলি বাংলাদেশের মানুষের কাছে গর্বের বিষয় এবং পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র।

আহসান মঞ্জিল

ঢাকার বুকে অবস্থিত আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান। এটি ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ ছিল। ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ স্থাপত্যরীতিতে এই প্রাসাদটি নির্মিত হয়েছিল। আহসান মঞ্জিলের অভ্যন্তরভাগে রয়েছে সুদৃশ্য কারুকার্য এবং চিত্রকর্ম। প্রাসাদের চারপাশে রয়েছে সুন্দর উদ্যান।

উয়ারী-বটেশ্বর

নরসিংদী জেলায় অবস্থিত উয়ারী-বটেশ্বর প্রত্নক্ষেত্র বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ থেকে ১০০০ অব্দের মধ্যে এই সভ্যতার বিকাশ ঘটে। উয়ারী-বটেশ্বরে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলি থেকে জানা যায় যে, এই সভ্যতা ছিল কৃষিভিত্তিক এবং এটি বাণিজ্যেও সক্রিয় ছিল।

সোনারগাঁও

পাবনা জেলায় অবস্থিত সোনারগাঁও বাংলাদেশের মধ্যযুগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল। ১৩ শতকে এটি পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। সোনারগাঁওয়ে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলি থেকে জানা যায় যে, এই শহর ছিল শিল্প ও বাণিজ্যের কেন্দ্র। সোনারগাঁওয়ের বিখ্যাত শিল্পের মধ্যে রয়েছে মসলিন, সুতা, কাপড়, এবং নকশীকাঁথা।

ষাট গম্বুজ মসজিদ

বগুড়া জেলায় অবস্থিত ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর মসজিদ। ১৫ শতকে খান জাহান আলী এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটিতে ষাটটি গম্বুজ রয়েছে, যার কারণে এটির নাম হয়েছে ষাট গম্বুজ মসজিদ। মসজিদটি স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য নিদর্শন।

লালবাগ কেল্লা

ঢাকার লালবাগ এলাকায় অবস্থিত লালবাগ কেল্লা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান। ১৭ শতকে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে এই কেল্লাটি নির্মিত হয়েছিল। কেল্লাটিতে রয়েছে সুদৃশ্য স্থাপত্য, সুন্দর উদ্যান, এবং একটি দীঘি। লালবাগ কেল্লা ঢাকার একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

এছাড়াও, বাংলাদেশের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শনগুলির মধ্যে রয়েছে:

চট্টগ্রামে বৌদ্ধ বিহার
খুলনায় ষাটগম্বুজ মসজিদ
শরীয়তপুরে ষাটগম্বুজ মসজিদ
সিলেটে ঐতিহাসিক মসজিদ ও স্থাপত্য
ময়মনসিংহে ঐতিহাসিক মসজিদ ও স্থাপত্য

এই স্থানগুলি বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির নিদর্শন।

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি প্রাচীন নগরী, যা বগুড়া জেলায় অবস্থিত। এটি বাংলার প্রাচীনতম ও সর্ববৃহৎ নগরী হিসেবে পরিচিত। মহাস্থানগড়ের ইতিহাস প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো।

মহাস্থানগড়ের উল্লেখযোগ্য নিদর্শনগুলির মধ্যে রয়েছে:

গোবিন্দ ভিটা
পরশুরামের প্রাসাদ
মাহীসওয়ার মাজার শরীফ
শীলাদেবীর ঘাট
জিউৎকুন্ড কুপ
মানকালির কুণ্ড
লক্ষীন্দর/গোকুল মেধ
বৈরাগীর ভিটা

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণও বটে।

এখানে প্রাপ্ত নিদর্শন গুলোর মধ্যে রয়েছে

মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলির মধ্যে রয়েছে:

মূর্তি: মহাস্থানগড়ে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে বৌদ্ধ, হিন্দু, জৈন ও ইসলামিক ধর্মের মূর্তি। বৌদ্ধ ধর্মের মূর্তির মধ্যে রয়েছে বুদ্ধ, বোধিসত্ত্ব ও দেবী-দেবতার মূর্তি। হিন্দু ধর্মের মূর্তির মধ্যে রয়েছে শিব, বিষ্ণু, ব্রহ্মা, দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতী দেবীর মূর্তি। জৈন ধর্মের মূর্তির মধ্যে রয়েছে মহাবীর, পার্শ্বনাথ ও ঋষভনাথের মূর্তি। ইসলামিক ধর্মের মূর্তির মধ্যে রয়েছে নবী মুহাম্মদ, খলিফাদের মূর্তি।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন: মহাস্থানগড়ে বিভিন্ন ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইট, পাথর, কাঁচ, পোড়ামাটির ফলক, মুদ্রা, অলঙ্কার ইত্যাদি। ইট থেকে জানা যায় যে, মহাস্থানগড়ে বিভিন্ন ধরনের স্থাপত্য ছিল, যেমন মন্দির, প্রাসাদ, দুর্গ ইত্যাদি। পাথর থেকে জানা যায় যে, মহাস্থানগড়ে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম ছিল, যেমন মূর্তি, ফলক, স্তম্ভ ইত্যাদি।
কাঁচ থেকে জানা যায় যে, মহাস্থানগড়ে বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালী সামগ্রী ছিল, যেমন পাত্র, অলঙ্কার ইত্যাদি। পোড়ামাটির ফলক থেকে জানা যায় যে, মহাস্থানগড়ে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের প্রচলন ছিল।
মুদ্রা থেকে জানা যায় যে, মহাস্থানগড়ে বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা প্রচলিত ছিল, যার মধ্যে রয়েছে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন ও মুসলিম আমলের মুদ্রা। অলঙ্কার থেকে জানা যায় যে, মহাস্থানগড়ের মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার ব্যবহার করত।
লিপি: মহাস্থানগড়ে বিভিন্ন ধরনের লিপি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মী, খরোষ্ঠী, পাল ও মুসলিম আমলের লিপি। ব্রাহ্মী লিপি থেকে জানা যায় যে, মহাস্থানগড়ে বৌদ্ধ ধর্মের প্রাধান্য ছিল।
খরোষ্ঠী লিপি থেকে জানা যায় যে, মহাস্থানগড়ে মৌর্য আমলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচলন ছিল। পাল লিপি থেকে জানা যায় যে, মহাস্থানগড়ে পাল আমলে বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয় ছিল। মুসলিম আমলের লিপি থেকে জানা যায় যে, মহাস্থানগড়ে মুসলিম আমলে ইসলাম ধর্মের প্রচলন ছিল।

মহাস্থানগড়ের নিদর্শনগুলি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির গবেষণায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি থেকে জানা যায় যে, মহাস্থানগড় ছিল একটি সমৃদ্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ নগরী, যেখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বাস করত এবং বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি বিকাশ লাভ করেছিল।

ওয়ারী – বটেশ্বর

নরসিংদী জেলার দুয়ারী ও বটেশ্বর নামক দুইটি গ্রামের খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০ অব্দের মৌর্য আমলের পূর্বের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এইসব কি সমুদ্র বাণিজ্যের সাথে সম্পর্কিত ছিল।

প্রাচীন নগর সভ্যতা নিদর্শন শুরুপএখানে প্রাচীন রাস্তাঘাট ও পাওয়া গেছে। এখানে সেখানে প্রাপ্ত কোন রয়েছে রুপা মুদ্রা হাতিয়ার এবং পাথরের পুতি।

পাহাড়পুর

এই ঐতিহাসিক নিদর্শন 781 থেকে 821 খ্রিস্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে নির্মিত হয়। পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত। এখানে 24 মিটার গড় রয়েছে, এটি সোমপুর মহাবিহার, নামেও পরিচিত।

এই চমৎকার বৌদ্ধ বিহারের চারপাশে 177 টি বিক্ষুকক্ষআছে। এছাড়া এখানে মন্দির, রান্নাঘর খাবার ঘর এবং পাকা নর্দমা আছে। এখানে পাওয়া গেছে জীবজন্তুর মূর্তি ও টেরাকোটা।

ময়নামতি

অষ্টম শতকের রাজা মানিক চন্দ্রের স্ত্রী ময়নামতির কাহিনী এই জায়গায় ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা শহরের কাছে ময়নামতি অবস্থিত।

এটি বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। তবে এখানে হিন্দু ও জেন ধর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিদর্শন পাওয়া গেছে।

অন্য এখানকার অনন্য নিদর্শন এইখানকার অনন্য নিদর্শন এর মধ্যে রয়েছে জীবজন্তু অঙ্কিত পোড়ামাটি পোড়া মাটির ফসল, যেমন যুদ্ধরত গোখরা সাপ, আগুয়ান হাতি ইত্যাদি।এখানকার জাদুঘরে বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলকে নিদর্শনও আছে।

সোনারগাঁও

সোনারগাঁও লালবাগ কেল্লা ১৭ শতকের ঐতিহাসিক নিদর্শন সোনারগাঁও ঢাকা দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত সোনারগাঁও প্রাচীন বাংলায় মুসলমান সুলতানের রাজধানী ছিল।

এখনো সেখানে সুলতানি আমলে অনেক সমাধি রয়েছে। যার একটি গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের মাজার ১৬১০ এক যুদ্ধে ।

ঈশা খাঁন উত্তরা শাখা পরাজিত হওয়ার পর সোনারগাঁও এর পরিবর্তে ঢাকা রাজধানী স্থাপন করা হয়।১৯ হিন্দু বণিক বণিকদের সুতা বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে এখানে পানাম নগর গড়ে ওঠে।

সোনার গাঁও এর গুরুত্ব গৌরব ধরে রাখার জন্য শিল্পাচার্যজয়নুল আবেদীন১৯৭৫ সালে এখানে একটি লোক শিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন লোকশিল্প জাদুঘটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।

লালবাগ কেল্লা

ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিম বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে১৬৭৮ সালে লালবাগ কেল্লা নির্মাণ করা হয়। আরঙ্গজেবের পুত্র শাহাজাদা মোহাম্মদ আজম শাহ এই দুর্গটির নির্মাণ কাজ শুরু করলেও শেষ করতে পারেননি।

দূর্গটি সম্পূর্ণ ইটের তৈরি দুর্গের মাঝখানে খোলা জায়গায় মোগল শাসকগণ তার।

আহসান মঞ্জিল

আহসান মঞ্জিল ছিল বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে নির্মিত বাংলার নবাবদের রাজপ্রসাদ। মোগল আমলে জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতুল্লাহ এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন।

18 শতকে তার পুত্র শেখ মতিউল্লাহপ্রাসাদটিকে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন।

১৮৩০ সালে খাজা আলিমুল্লাহ ফরাসিদের নিকট থেকে এটিকে ক্রয় করেন আবার প্রাসাদের পরিণত করেন। এই প্রাসাদ কে কেন্দ্র করে খাজা আব্দুল গনি একটি প্রধান ভবন নির্মাণ করেন।

তিনি তার খাজা আহসানুল্লাহর নাম অনুসারে ভবনটির নামকরণ আহসান মঞ্জিল ১৮৮৮সালে ঘূর্ণিঝড়ে এবং১৮৯৭সালের ভূমিকম্পে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পরে তার মেরামত ও করা হয়। ১৯৮৫সালে বাংলাদেশের সরকার প্রাসাদটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর এর প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরে আনা হয়।

এই প্রাসাদে রয়েছে লম্বা বারান্দা, জলসাঘ, দরবার হল এবং রংমহল। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শন।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এর উদ্দেশ্য ঢাকার অদূরে সাভারের নবীনগরে নির্মিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

১৯৮২সালের আগস্ট মাসে স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজ শেষ হয় মূল কাঠামোর নকশা তৈরি করেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।

হাতিরঝিল

রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে ৩০২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত নান্দনিক হাতিরঝিল প্রকল্প।

রাজধানীর পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ জলাবদ্ধতা ও বন্যা প্রতিরোধ ময়লা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন যানজট নিরসন নগরের নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়ানো ও সার্বিক পরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তব প্রকল্প

প্রকল্প টি যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন শার্ট অ্যাসোসিয়েশনআদ্র (এডরা) পরিসর পরিকল্পনা ক্যাটাগরিতে গেট প্লেস অ্যাওয়ার্ড ২০২০ অর্জন করেন। প্রকল্পের স্থপতি বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইশতিয়াক জাহিদ এহসান খান।

স্বাধীনতা স্তম্ভ

স্বাধীনতা স্তম্ভ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মরক হিসেবে নির্মিত একটি স্মৃতিস্তম্ভ যার ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে সরোয়ারদি উদ্যানে অভ্যন্তর ভাবে অবস্থিত। সরোয়ারদী উদ্যান বাঙালির ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী।

বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের বিবর্তনের ধারায় ১৯৭১ এর ৭ এই প্রান্তরে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন আবার১৯৭১ এর১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সেখানে বাঙালির বিজয় সূচিত হয়।

স্বাধীনতা স্তম্ভটি বস্তুত ১৫০ ফুট উঁচু একটি গ্লাস টাওয়ার। গ্লাস টাওয়ার স্থাপিত নাইটের আলোকরশ্মি ৫ কিলোমিটার ঊর্ধ্বে প্রক্ষেপিত হয়।স্তম্ভটিরনকশা করেছেন দুই তপতী কাশেফ মাহবুব চৌধুরী ও মেরিনা তাবাসসুম।

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ বাঙালি স্বাধীনতা যুদ্ধ ও আত্মত্যাগের প্রতীক ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে প্রারাম্ভে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার মেহেরপুর জেলা বৈদ্যনাথতলার গ্রামে ১৭ মোবাইল বাজার দেখান এপ্রিল শপথ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু নামে বৈদ্যনাথ তলার গ্রামের নামকরণ হয় মুজিবনগর।

মুজিবনগর শপথ গ্রহণ স্থান সরণি পরবর্তী সময় সে এই সৃতিশোধ.২০,১০ একর জমির উপর দৃষ্টিশক্তি স্থাপিত.২৩ টি কংক্রিটের ত্রিকোণাকার স্তস্ত সমম্বয়ে এ স্মৃতিসৌধ নির্মিত।

স্থাপিত তানভীর কবিরের নকশায় সৌটিকে উদীয়মান সূর্যের প্রতীক বলে মনে হয়।

ভাঙ্গার মোড়

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা খুলনা এক্সপ্রেসওয়ের অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা মোড়। প্রপসিং ছাড়াই বাধাহীনভাবে যানবাহন চলাচলের জন্য অত্যাধুনিক ডিজাইনের সড়ক যা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে দেখা যায়।

দেশের পায়রা এবং মংলা সমুদ্র বন্দর সাগরকন্যা কুয়াকাটা আর বৃহত্তর স্থল বন্দর বেনাপোলে সঙ্গে রাজধানী ঢাকা যোগাযোগের প্রবেশদ্বার ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়।

যার মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ঢাকা পদ্মা হয়ে পড়ি উপজেলা প্রজন্ত ৫৫ কিলোমিটার পথ হচ্ছে দেশের প্রথম দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ে।

লালন শাহ সেতু হার্ডঞ্জ ব্রিজ

পাবনা জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত শতবর্ষী হার্ডঞ্জ ব্রিজ।

পাশেই লালন শাহ সেতু। দুটি সেতু নিচ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদী। বাংলা সবচেয়ে দীর্ঘতম রেল দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক একটি পুষ্টি ভেড়ামারা কে সংযোগ করেছে। যে দুটি সাথে ও উত্তর সংক্ষিপ্ত ও সহজ হয়েছে।

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন