ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর মাসিক হওয়ার সময় নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। এটি ব্যক্তিভেদে এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে। আপনার মাসিক চক্র আপনার স্বাভাবিক মাসিক চক্রের উপর নির্ভর করে মাসিক হওয়ার সময় কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। ওষুধের ধরন বিভিন্ন ধরনের ইমার্জেন্সি পিলের ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব থাকতে পারে। শরীরের প্রতিক্রিয়া প্রত্যেকের শরীর ওষুধের প্রতি ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়।
কিছু সাধারণ পরিস্থিতি :স্বাভাবিক সময়ে অনেক ক্ষেত্রে, ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর আপনার মাসিক স্বাভাবিক সময়েই হতে পারে। কিছুটা আগে বা পরে কিছু ক্ষেত্রে, মাসিক কিছুটা আগে বা পরে হতে পারে। অনিয়মিত মাসিক ইমার্জেন্সি পিল আপনার মাসিক চক্রকে কিছুটা অনিয়মিত করে তুলতে পারে। ইমার্জেন্সি পিল একটি জরুরি জন্মনিরোধক এটি নিয়মিত জন্মনিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রতিবার ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ইমার্জেন্সি পিলের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। অন্যান্য লক্ষণ যদি আপনার মাসিক অনিয়মিত হয় বা অন্য কোনো অস্বস্তি হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিয়মিত জন্মনিরোধক ব্যবহার করুন: অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিয়মিত জন্মনিরোধক ব্যবহার করা।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
ইমার্জেন্সি পিল বা মর্নিং আফটার পিল হলো অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধ করার একটি জরুরি উপায়। যদি আপনি অসুরক্ষিত যৌনসম্পর্ক করে থাকেন বা আপনার নিয়মিত জন্মনিরোধক পদ্ধতি ব্যর্থ হয়েছে, ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের পর 72 ঘণ্টার (3 দিন) মধ্যে। যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায়, তত ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
কিভাবে খাবেন প্যাকেটের নির্দেশাবলী ভালো করে পড়ুন এবং অনুসরণ করুন। সাধারণত একবারেই পুরো পিলটি খেতে হয়। পানি সহ খাবেন। যত তাড়াতাড়ি খাওয়া হয়, তত বেশি কার্যকর হয়।72 ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া হলে গর্ভধারণের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়।তবে 100% নিরাপদ নয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা, ক্লান্তি, মাসিক চক্রে বিঘ্ন, স্তন ব্যথা,ইমার্জেন্সি পিল কোনো নিয়মিত জন্মনিরোধক পদ্ধতি নয়। বারবার ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি আপনার নিয়মিত মাসিক চক্র না হয় বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।ইমার্জেন্সি পিল গর্ভপাত করায় না, এটি শুধুমাত্র গর্ভধারণ রোধ করতে সাহায্য করে।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন: যদি আপনি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত হন। যদি আপনার মাসিক চক্র অনিয়মিত হয়। যদি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর আপনার কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। ইমার্জেন্সি পিল শুধুমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা উচিত। নিয়মিত জন্মনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো উপায়।
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার ১ দিন ঘন ও কালো দলা পড়ছে, ২ ,৩ ও ৪থ দিন লাল রক্ত পড়ছে, এর করনীয় কী?
আপনি যে ধরনের রক্তপাত বর্ণনা করেছেন, তা ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার একটি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ইমারজেন্সি পিল শরীরে হরমোনের পরিমাণকে হঠাৎ পরিবর্তন করে দেয়, যার ফলে অনিয়মিত রক্তপাত হতে পারে।
কেন এই ঘটনা ঘটতে পারে হরমোনাল পরিবর্তন ইমারজেন্সি পিলে থাকা উচ্চ মাত্রার হরমোন আপনার মাসিক চক্রকে বিঘ্নিত করে এবং অনিয়মিত রক্তপাত হতে পারে। জরায়ুর আস্তরণ পিলটি জরায়ুর আস্তরণকে পাতলা করে দেয়, যার ফলে রক্তপাত হয়। দেহের প্রতিক্রিয়া প্রত্যেকের দেহের প্রতিক্রিয়া আলাদা আলাদা হতে পারে। কেউ কেউ ঘন ও কালো দলা, আবার কেউ কেউ লাল রক্ত পেতে পারেন। চিন্তা করবেন না সাধারণত এই রক্তপাত কয়েক দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্রাম নিন যদি আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।পর্যবেক্ষণ করুন রক্তপাতের পরিমাণ এবং দৈর্ঘ্য পর্যবেক্ষণ করুন। অন্যান্য লক্ষণ যদি আপনার পেটে ব্যথা, জ্বর, বা অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পর ৩দিন রক্তপাত হলে কি গর্ভধারন সম্ভব?
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পর ৩ দিন রক্তপাত হলেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকতে পারে, তবে তা খুবই কম। ইমারজেন্সি পিল 100% কার্যকর নয় যদিও ইমারজেন্সি পিল গর্ভধারণ রোধে খুবই কার্যকর, তা 100% নিশ্চিত নয়। ডিম্বাশয়ের অবস্থা আপনার ডিম্বাশয়ের অবস্থা, ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার সময়, এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়তে পারে কেন রক্তপাত হয় হরমোনাল পরিবর্তন ইমারজেন্সি পিলে থাকা উচ্চ মাত্রার হরমোন আপনার মাসিক চক্রকে বিঘ্নিত করে এবং অনিয়মিত রক্তপাত হতে পারে। জরায়ুর আস্তরণ পিলটি জরায়ুর আস্তরণকে পাতলা করে দেয়, যার ফলে রক্তপাত হয়। চিন্তা করবেন না সাধারণত এই রক্তপাত কয়েক দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্রাম নিন যদি আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। ডাক্তারের পরামর্শ নিন যদি আপনার মনে হয় যে আপনি গর্ভবতী হতে পারেন, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার আপনাকে একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে বলতে পারেন।
গর্ভধারণের লক্ষণ:
- মাসিকের সময় না হওয়া
- বমি বমি ভাব
- স্তনের ব্যথা
- ক্লান্তি
- ঘন ঘন প্রস্রাব
ইমারজেন্সি পিল একটি জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয় এবং এটি নিয়মিত জন্মনিরোধক হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।যদি আপনি নিয়মিত জন্মনিরোধকের বিষয়ে চিন্তিত হন, তাহলে একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করুন।আপনার স্বাস্থ্যের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কোনো সন্দেহ থাকলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। Disclaimer: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং এটি কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে সর্বদা একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।