ব্ল্যাক হোল আসলে কী?
ব্ল্যাক হোল হল মহাবিশ্বের এমন একটি অঞ্চল যেখানে মহাকর্ষ বল এতই শক্তিশালী যে কোনোকিছু, এমনকি আলোও তার কেন্দ্র থেকে পালাতে পারে না। এটি একটি অত্যন্ত ঘন এবং ছোট স্থান, যার ভর সূর্যের মতো হতে পারে কিন্তু আয়তন তার ব্যাসের একটি ক্ষুদ্র অংশ।
ব্ল্যাক হোল তৈরি হয় যখন একটি বড় তারা তার জীবনের শেষে তার নিজস্ব মহাকর্ষের কারণে ভেঙে পড়ে। এই বিস্ফোরণকে সুপারনোভা বলা হয়। সুপারনোভার কেন্দ্রে, একটি ছোট, ঘন বস্তু তৈরি হয় যা ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয়।
ব্ল্যাক হোলকে সাধারণত তাদের ভরের উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। ক্ষুদ্রতম ব্ল্যাক হোলগুলির ভর প্রায় একটি সূর্যের ভরের সমান। বৃহত্তম ব্ল্যাক হোলগুলির ভর লক্ষ লক্ষ বা এমনকি বিলিয়ন সূর্যের ভরের সমান।
ব্ল্যাক হোলগুলির অধ্যয়ন মহাবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। বিজ্ঞানীরা এখনও ব্ল্যাক হোলের গঠন এবং আচরণ সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন না।
ব্ল্যাক হোলের কিছু আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল:
- ব্ল্যাক হোলের কেন্দ্রে একটি বিন্দু থাকে যাকে সিঙ্গুলারিটি বলা হয়। সিঙ্গুলারিটিতে, মহাকর্ষ বল এতই শক্তিশালী যে মহাবিশ্বের শাসন আইনগুলি ব্যর্থ হয়।
- ব্ল্যাক হোল থেকে আলোও পালাতে পারে না, তাই এগুলি অদৃশ্য।
- ব্ল্যাক হোলকে প্রায়শই “সময়ের ঝিল” হিসাবে উল্লেখ করা হয় কারণ তারা এমন একটি জায়গা যেখানে সময় আমাদের পরিচিত নিয়ম অনুসারে কাজ করে না।
ব্ল্যাক হোল মহাবিশ্বের একটি রহস্যময় বস্তু। বিজ্ঞানীরা এখনও তাদের সম্পূর্ণরূপে বোঝেন না, তবে তারা মহাবিশ্বের বিবর্তন এবং গঠন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে প্রসারিত করতে সাহায্য করার সম্ভাবনা রাখে।
হোল শব্দের অর্থ
বাংলায় “হোল” শব্দের অর্থ হল “ছিদ্র”। এটি একটি বিশেষ্য। “হোল” শব্দটি ইংরেজি “hole” শব্দ থেকে এসেছে। ইংরেজিতে “hole” শব্দের অর্থও “ছিদ্র”।
বাংলায় “হোল” শব্দটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ:
- একটি কাগজের ছিদ্রকে “হোল” বলা হয়।
- একটি বোতামের ছিদ্রকে “হোল” বলা হয়।
- একটি পাথরের ছিদ্রকে “হোল” বলা হয়।
- একটি গাছের ছিদ্রকে “হোল” বলা হয়।
- একটি শরীরের ছিদ্রকে “হোল” বলা হয়।
- একটি গর্তকে “হোল” বলা হয়।
- একটি কক্ষপথের ছিদ্রকে “হোল” বলা হয়।
“হোল” শব্দটি কখনও কখনও একটি বিশেষণ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ:
- একটি “হোল” (ছিদ্রযুক্ত) কাগজ।
- একটি “হোল” (ছিদ্রযুক্ত) বোতাম।
- একটি “হোল” (ছিদ্রযুক্ত) পাথর।
- একটি “হোল” (ছিদ্রযুক্ত) গাছ।
- একটি “হোল” (ছিদ্রযুক্ত) শরীর।
- একটি “হোল” (ছিদ্রযুক্ত) গর্ত।
- একটি “হোল” (ছিদ্রযুক্ত) কক্ষপথ।
বাংলায় “হোল” শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- ছিদ্র
- গর্ত
- ফাঁক
- ফুটো
- বিবর্জন
- গর্ভ
- গহব্বর
- বিষণ্নতা
- অবক্ষয়
বাংলায় “হোল” শব্দের কিছু বিপরীত শব্দ হল:
- পূর্ণতা
- পরিপূর্ণতা
- পূর্ণতা
- পূর্ণতা
- সুস্থতা
- অক্ষততা
- অখণ্ডতা
- পূর্ণতা
ব্ল্যাক হোল কে আবিষ্কার করেন?
ব্ল্যাক হোল আবিষ্কারের কৃতিত্ব কারও একজনের নয়। বরং, এটি অনেক বিজ্ঞানীর অবদানের ফল।
ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের ধারণাটি প্রথম ১৮শ শতাব্দীতে ইংরেজ বিজ্ঞানী জন মিচেল প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি প্রস্তাব করেছিলেন যে একটি বড় তারা তার নিজস্ব মহাকর্ষের কারণে ভেঙে পড়ে একটি ছোট, ঘন বস্তু তৈরি করতে পারে যা আলোও পালাতে পারে না।
১৯১৫ সালে, আলবার্ট আইনস্টাইন সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রস্তাব করেন। এই তত্ত্ব অনুসারে, মহাকর্ষ হল মহাবিশ্বের স্থান-কালের বক্রতার কারণে। আইনস্টাইনের তত্ত্ব অনুসারে, একটি বড় পরমাণুর ভর যদি সূর্যের ভরের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে এর মহাকর্ষের কারণে স্থান-কাল এতটাই বক্র হয়ে যাবে যে আলোও পালাতে পারবে না।
১৯৩০-এর দশকে, কার্ল শোয়ার্জশিল্ড এবং রবার্ট ওপেনহাইমার আইনস্টাইনের তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে ব্ল্যাক হোলের একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছিলেন। এই মডেলটি দেখায় যে একটি ব্ল্যাক হোলের একটি সীমাবদ্ধ অঞ্চল রয়েছে, যাকে ঘটনা দিগন্ত বলা হয়, যার মধ্যে দিয়ে আলোও পালাতে পারে না।
১৯৫০-এর দশকে, বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে কিছু তারা সুপারনোভা বিস্ফোরণের পরে তাদের কেন্দ্রে একটি ছোট, ঘন বস্তু রেখে যায়। এই বস্তুগুলিকে কৃষ্ণ গহ্বর বলে মনে করা হয়।
১৯৭০-এর দশকে, বিজ্ঞানীরা প্রথম সরাসরি ব্ল্যাক হোলের প্রমাণ পেয়েছিলেন। তারা দেখতে পেলেন যে কিছু তারা তাদের সঙ্গীর চারপাশে একটি কক্ষপথে ঘোরে যা এতটাই ছোট যে এটি একটি ব্ল্যাক হোলের কারণে হতে পারে।
আজ, বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে মহাবিশ্বে অনেক ব্ল্যাক হোল রয়েছে। তারা ছোট তারা থেকে বৃহৎ ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত বিশাল ব্ল্যাক হোল পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের হতে পারে।
সুতরাং, বলা যেতে পারে যে ব্ল্যাক হোল আবিষ্কারের কৃতিত্ব অনেক বিজ্ঞানীর অবদানের ফল।
ব্ল্যাক হোলের কি সত্যি অস্তিত্ব আছে?
ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের প্রমাণ রয়েছে। ব্ল্যাক হোল হল এমন একটি বস্তু যা এত ঘন সন্নিবিষ্ট বা অতি ক্ষুদ্র আয়তনে এর ভর এত বেশি যে এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুকেই তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না, এমনকি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণকেও (যেমন: আলো) নয়।
প্রকৃতপক্ষে এই স্থানে সাধারণ মহাকর্ষীয় বলের মান এত বেশি হয়ে যায় যে এটি মহাবিশ্বের অন্য সকল বলকে অতিক্রম করে। ফলে এ থেকে কোন কিছুই পালাতে পারে না।
ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের প্রমাণের মধ্যে রয়েছে:
- সুপারনোভা বিস্ফোরণ: বড় নক্ষত্রের জীবনের শেষে, এটি একটি বিস্ফোরণে বিলীন হয়ে যায়, যাকে সুপারনোভা বলা হয়। এই বিস্ফোরণের ফলে একটি ব্ল্যাক হোল বা একটি নিউট্রন তারকা তৈরি হতে পারে।
- দূরবর্তী ছায়াপথের কেন্দ্রে অতি-ঘন বস্তু: দূরবর্তী ছায়াপথের কেন্দ্রে, একটি অতি-ঘন বস্তু পাওয়া যায় যা ছায়াপথের সমস্ত তারাকে কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে। এই বস্তুটিকে একটি ব্ল্যাক হোল বলে মনে করা হয়।
- কৃষ্ণ বিন্দু: একটি কৃষ্ণ বিন্দু হল এমন একটি বস্তু যা এতটাই ঘন যে এটি আলোকেও গিলে ফেলে। কৃষ্ণ বিন্দুগুলিকে ব্ল্যাক হোলের প্রমাণ হিসেবে দেখা হয়।
2019 সালে, বিজ্ঞানীরা সরাসরি প্রথমবারের মতো একটি ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলেন। এই ছবিটি ছিল Messier 87 ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি ব্ল্যাক হোলের। এই ছবিটি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তাই, বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার ভিত্তিতে বলা যায় যে ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব সত্যিই রয়েছে।
ব্ল্যাক হোলের একটি তত্ত্বের সন্ধানে বিজ্ঞানীরা
ব্ল্যাক হোল মহাবিশ্বের অন্যতম রহস্যময় বস্তু। বিজ্ঞানীরা এখনও তাদের সম্পূর্ণরূপে বোঝেন না। ব্ল্যাক হোলের একটি তত্ত্ব তৈরির জন্য, বিজ্ঞানীরা নিম্নলিখিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন:
- ব্ল্যাক হোলগুলি কীভাবে তৈরি হয়?
- ব্ল্যাক হোলগুলি কীভাবে কাজ করে?
- ব্ল্যাক হোলগুলির ভবিষ্যত কী?
ব্ল্যাক হোলের গঠন এবং আচরণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণাগুলি আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই তত্ত্ব অনুসারে, একটি ব্ল্যাক হোল হল এমন একটি স্থান যেখানে মহাকর্ষ বল এতই শক্তিশালী যে আলোও পালাতে পারে না।
ব্ল্যাক হোলের গঠনের একটি সম্ভাব্য উপায় হল একটি বড় তারার সুপারনোভা বিস্ফোরণ। সুপারনোভা বিস্ফোরণের পরে, একটি বড় তারার কেন্দ্রে একটি ছোট, ঘন বস্তু তৈরি হয় যা ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয়।
ব্ল্যাক হোলগুলি কীভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য, বিজ্ঞানীরা তাদের আশেপাশের মহাবিশ্বের উপর তাদের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করছেন। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে ব্ল্যাক হোলগুলি তাদের চারপাশের স্থান-কালকে বক্র করে।
ব্ল্যাক হোলগুলির ভবিষ্যত কী তা বোঝার জন্য, বিজ্ঞানীরা তাদের বিবর্তন সম্পর্কে গবেষণা করছেন। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে ব্ল্যাক হোলগুলি ধীরে ধীরে শীতল হয়ে যায় এবং অবশেষে অদৃশ্য হয়ে যায়।
ব্ল্যাক হোলের একটি তত্ত্ব তৈরির জন্য, বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করছেন। তারা নতুন পর্যবেক্ষণমূলক তথ্য সংগ্রহ করছেন, নতুন গাণিতিক মডেল তৈরি করছেন এবং নতুন তত্ত্বগুলি পরীক্ষা করছেন।
ব্ল্যাক হোলের একটি তত্ত্ব তৈরি করা একটি কঠিন কাজ। তবে, বিজ্ঞানীরা এই রহস্যময় বস্তু সম্পর্কে আরও জানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।