ঠাকুরমার ঝুলি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার ‘ভট্টাচার্য এন্ড সন্স’ প্রকাশনা সংস্থা হতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বইয়ের ভূমিকা লিখেছিলেন। এরপর থেকে এর শত শত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। রিনা প্রীতিশ নন্দী কর্তৃক অনূদিত এর একটি ইংরেজি সংস্করণও বের হয়েছে।
ঠাকুরমার ঝুলিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রূপকথা। এগুলোর মধ্যে আছে:
- লালকমল-নীলকমল
- বুদ্ধ-ভুতুম
- ব্যাঙ্গোমা-ব্যাঙ্গোমি
- শামুক-ঝিনুক
- তেলেমাটি
- নন্দিনী
- কাঁকড়া-ঝিনুক
- চাঁদ-সূর্য
এই গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের শিক্ষামূলক উপাদান। এগুলো শিশুদের নৈতিকতা, ভালোবাসা, সহানুভূতি, পরিশ্রম, সততা ইত্যাদি গুণাবলীর শিক্ষা দেয়।
ঠাকুরমার ঝুলি শুধুমাত্র শিশুদের জন্যই নয়, বয়স্কদের জন্যও একটি আকর্ষণীয় বই। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ।
ঠাকুরমার ঝুলি’ কার লেখা
ঠাকুরমার ঝুলি’র লেখক হলেন দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার। তিনি ছিলেন একজন ব্রিটিশ আমলের লেখক এবং সংস্কৃতিকর্মী। তিনি বাংলা শিশুসাহিত্যের উন্নয়নে আগ্রহী ছিলেন। তিনি মনে করতেন যে, বাংলা শিশুসাহিত্যের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন বাংলার নিজস্ব গল্প ও কবিতায় সমৃদ্ধ একটি সাহিত্য।
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে রূপকথার গল্প সংগ্রহ করেন। তিনি এই গল্পগুলো সংগ্রহ করার সময় সেগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন।
১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এই গল্পগুলোর একটি সংকলন প্রকাশ করেন। এই সংকলনের নাম দেন “ঠাকুরমার ঝুলি”।
ঠাকুরমার ঝুলি প্রকাশের পর এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এটি বাংলা শিশুসাহিত্যের একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
ঠাকুরমার ঝুলির গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের শিক্ষামূলক উপাদান। এগুলো শিশুদের নৈতিকতা, ভালোবাসা, সহানুভূতি, পরিশ্রম, সততা ইত্যাদি গুণাবলীর শিক্ষা দেয়।
ঠাকুরমার ঝুলি শুধুমাত্র শিশুদের জন্যই নয়, বয়স্কদের জন্যও একটি আকর্ষণীয় বই। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ।
ঠাকুরমার ঝুলি প্রকাশনার পটভূমি
ঠাকুরমার ঝুলি প্রকাশনার পটভূমি ছিল বাংলা শিশুসাহিত্যের একটি অভাব। তৎকালীন সময়ে বাংলায় শিশুদের জন্য খুব বেশি ভালো বই ছিল না। যেসব বই ছিল সেগুলো বেশিরভাগই ছিল অনুবাদিত বা ইউরোপীয় আদলে লেখা।
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার ছিলেন একজন ব্রিটিশ আমলের লেখক এবং সংস্কৃতিকর্মী। তিনি বাংলা শিশুসাহিত্যের উন্নয়নে আগ্রহী ছিলেন। তিনি মনে করতেন যে, বাংলা শিশুসাহিত্যের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন বাংলার নিজস্ব গল্প ও কবিতায় সমৃদ্ধ একটি সাহিত্য।
এই উদ্দেশ্যে তিনি তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে রূপকথার গল্প সংগ্রহ করেন। তিনি এই গল্পগুলো সংগ্রহ করার সময় সেগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন।
১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এই গল্পগুলোর একটি সংকলন প্রকাশ করেন। এই সংকলনের নাম দেন “ঠাকুরমার ঝুলি”।
ঠাকুরমার ঝুলি প্রকাশের পর এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এটি বাংলা শিশুসাহিত্যের একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
ঠাকুরমার ঝুলি প্রকাশের পটভূমি নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন:
“দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ঠাকুরমার ঝুলি প্রকাশের পর বাংলা শিশুসাহিত্যের একটি নতুন যুগের সূচনা হয়। এই বইয়ের মাধ্যমে বাংলা শিশুসাহিত্যের নিজস্ব ভিত্তি গড়ে ওঠে।”
ঠাকুরমার ঝুলি প্রকাশের পর বাংলায় আরও অনেক শিশুসাহিত্যিক এগিয়ে আসেন। তারা বাংলার নিজস্ব গল্প ও কবিতায় সমৃদ্ধ শিশুসাহিত্য রচনা করেন। এতে বাংলা শিশুসাহিত্যের বিকাশ ঘটে।
ঠাকুরমার ঝুলি গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত গল্পসমূহ
ঠাকুরমার ঝুলি গ্রন্থে মোট ১৬টি গল্প রয়েছে। এই গল্পগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
প্রথম ভাগ
- দুধের সাগর
- কলাবতী রাজকন্যা
- ঘুমন্ত পুরী
- কাঁকনমালা কাঞ্চনমালা
- সাত ভাই চম্পা
- শীত বসন্ত
- কিরণমালা
দ্বিতীয় ভাগ
- রুপ তরাসি
- নীলকমল আর লালকমল
- ডালিমকুমার
- পাতালকন্যা মণিমালা
- সোনার কাঠি রূপার কাঠি
তৃতীয় ভাগ
- চ্যাঙা-ভাঙা
- বুদ্ধু ভুতুম
- শেয়াল পণ্ডিত
- সুখু আর দুখু
- বামন বামনি
- দেড় আঙুলে
চতুর্থ ভাগ
- আম সন্দেশ
- সোনা ঘুমাও
- শেষ
এই গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রূপকথা। এগুলোর মধ্যে আছে:
- প্রাকৃতিক রূপকথা: এই ধরনের গল্পে প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের সাথে মানুষের সম্পর্ক দেখানো হয়। যেমন, “দুধের সাগর”, “ঘুমন্ত পুরী”, “কাঁকনমালা কাঞ্চনমালা” ইত্যাদি।
- মানুষের রূপকথা: এই ধরনের গল্পে মানুষের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ও চরিত্রের প্রতিফলন দেখানো হয়। যেমন, “সাত ভাই চম্পা”, “শীত বসন্ত”, “কিরণমালা” ইত্যাদি।
- পশু-পাখির রূপকথা: এই ধরনের গল্পে পশু-পাখিদের সাথে মানুষের সম্পর্ক দেখানো হয়। যেমন, “নীলকমল আর লালকমল”, “ডালিমকুমার”, “পাতালকন্যা মণিমালা” ইত্যাদি।
- অন্যান্য রূপকথা: এই ধরনের গল্পে বিভিন্ন ধরনের অলৌকিক ঘটনা ও চরিত্রের প্রতিফলন দেখানো হয়। যেমন, “সোনার কাঠি রূপার কাঠি”, “চ্যাঙা-ভাঙা”, “বুদ্ধু ভুতুম”, “শেয়াল পণ্ডিত”, “সুখু আর দুখু”, “বামন বামনি”, “দেড় আঙুলে”, “আম সন্দেশ”, “সোনা ঘুমাও” ইত্যাদি।
ঠাকুরমার ঝুলির গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের শিক্ষামূলক উপাদান। এগুলো শিশুদের নৈতিকতা, ভালোবাসা, সহানুভূতি, পরিশ্রম, সততা ইত্যাদি গুণাবলীর শিক্ষা দেয়।
ঠাকুরমার ঝুলি শুধুমাত্র শিশুদের জন্যই নয়, বয়স্কদের জন্যও একটি আকর্ষণীয় বই। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ।
ঠাকুরমার ঝুলি সেরা গল্প সমূহ
ঠাকুরমার ঝুলি গ্রন্থে মোট ১৬টি গল্প রয়েছে। এই গল্পগুলোর মধ্যে সবগুলোই জনপ্রিয় এবং শিশুদের কাছে পছন্দের। তবে, কিছু গল্প অন্যদের তুলনায় আরও বেশি জনপ্রিয়। এই গল্পগুলোকেই ঠাকুরমার ঝুলির সেরা গল্প হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
ঠাকুরমার ঝুলির সেরা গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- দুধের সাগর: এই গল্পে একটি রাজকন্যার স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে দুধের সাগরের কথা বলা হয়েছে। এই গল্পটি শিশুদের কল্পনার জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
- কলাবতী রাজকন্যা: এই গল্পে একটি রাজকন্যার ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এই গল্পটি শিশুদেরকে কখনো হাল ছাড়তে না বলে।
- ঘুমন্ত পুরী: এই গল্পে একটি পুরীর ঘুমন্ত অবস্থার কথা বলা হয়েছে। এই গল্পটি শিশুদেরকে সতর্কতা ও সাবধানতার শিক্ষা দেয়।
- কাঁকনমালা কাঞ্চনমালা: এই গল্পে দুটি বোনের ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে। এই গল্পটি শিশুদেরকে ভালোবাসা ও সহানুভূতির শিক্ষা দেয়।
- সাত ভাই চম্পা: এই গল্পে সাত ভাই ও এক বোনের কথা বলা হয়েছে। এই গল্পটি শিশুদেরকে পারিবারিক বন্ধনের শিক্ষা দেয়।
এই গল্পগুলো ছাড়াও ঠাকুরমার ঝুলির অন্যান্য গল্পগুলোও শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক উপাদান। এই গল্পগুলো শিশুদেরকে নৈতিকতা, ভালোবাসা, সহানুভূতি, পরিশ্রম, সততা ইত্যাদি গুণাবলীর শিক্ষা দেয়।