ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব
ইতিহাস হলো মানব সভ্যতার বিবর্তনের সত্যনির্ভর বিবরণ। অতীতের ঘটনাবলির বিশ্লেষণের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে বোঝা সম্ভব। তাই ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব নিম্নরূপ:
- অতীত সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা: ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা অতীতের ঘটনাবলি সম্পর্কে জানতে পারি। অতীতের ঘটনাবলির কারণ, প্রভাব, ফলাফল ইত্যাদি সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আমরা বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে ভালোভাবে বুঝতে পারি।
- শিক্ষা গ্রহণ করা: ইতিহাস থেকে আমরা অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা থেকে আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারি। ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা থেকে আমরা ভালো কিছু গ্রহণ করে আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারি।
- জাতীয় চেতনা জাগ্রত করা: ইতিহাস আমাদের জাতীয় চেতনা জাগ্রত করতে সাহায্য করে। একটি জাতির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে জাতীয়তাবোধ গড়ে ওঠে। ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা আমাদের জাতির অতীতের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি। যা আমাদের জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে।
- বিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা: ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি। যা আমাদের বিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করে।
ইতিহাস না পড়লে মিস করবেন
যারা ইতিহাস পড়েন না তারা অনেক কিছু মিস করেন। ইতিহাস না পড়লে আমরা নিম্নলিখিত জিনিসগুলি মিস করব:
- অতীত সম্পর্কে জ্ঞান: ইতিহাস না পড়লে আমরা অতীতের ঘটনাবলি সম্পর্কে জানতে পারব না।
- শিক্ষা: ইতিহাস না পড়লে আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারব না।
- জাতীয় চেতনা: ইতিহাস না পড়লে আমরা জাতীয় চেতনা জাগ্রত করতে পারব না।
- বিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান: ইতিহাস না পড়লে আমরা বিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারব না।
সুতরাং, ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা ইতিহাস পড়েন তারা অনেক কিছু শিখতে পারেন এবং নিজেকে একজন জ্ঞানী ও শিক্ষিত ব্যক্তি হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন।
ইতিহাসের অর্থঃ ইতিহাস শব্দের উৎপত্তি ইতিহ থেকে যা ‘ইতি’ ও ‘হ’ কার দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত । ‘ইতি’ শব্দের অর্থ এই প্রকার এবং ‘হ’ শব্দের অর্থ হলো ‘বর্ণনা’ । আর ইতি হ – এর সমন্বিত অর্থ হলো ঐতিহ্য ।
ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত অভ্যাস, শিল্প , ভাষা , শিক্ষা , সাহিত্য সংস্কৃতিকে ঐতিহ্য বলে । সুতরাং ইতিহাসের আবিধানিক অর্থ দাঁড়ায় মানুষের অতীত কর্মের বিবরণ , যা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যায় ।
অন্যদিকে ইতিহাস শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ করলে পাওয়া যায় ইতিহ+আস এর অর্থ এমনই ছিল যা এরূপ ঘটেছিল । অর্থাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনায় ইতিহাস, যা ঘটে না তা ইতিহাস নয় ।
ইতিহাসের প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ সাধারণত ইতিহাস বলতে মানব সমাজের কথা ও কাহিনী কে বোঝায় । ইতিহাস অজানা অতীতকে বর্তমানে দ্বারপ্রান্তে এনে হাজির করে । তাই ইতিহাসকে মানবসভ্যতার দর্পণ হিসেবে গণ্য করা হয় ।
ইতিহাসবেওা এইচ আর কার এর মতে ইতিহাস হলো বর্তমান ও অতীতের মধ্যে এক অন্তহীন সংলাপ । হেরোডোটাস বলেন ইতিহাস হলো যা সাহিত্যকার অর্থ ছিল বা সংঘটিত হয়েছিল তা অনুসন্ধান করা ও লেখা ।
ঐতিহাসিক ড.রমেশ চন্দ্র মজুমদারের মতে , মানবসমাজের অতীত কার্যাবলির পূর্ণ বিবরণ হলো ইতিহাস । সুতরাং ইতিহাস হলো মানুষ ও তার রাষ্ট্রীয় সমাজব্যবস্থা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশকে নিয়ে মহাকালের এক অনন্ত স্রোতাধারা,এটি কল্পনাবিলাসী কোনো ভাবের বস্তু নয় ।
ইতিহাসের উপাদানঃ সঠিক ইতিহাস রচনার জন্য ঐতিহাসিক উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম । যেসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ঐতিহাসিক সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়, তাকে ইতিহাসের উপাদান বলা হয় । ইতিহাস রচনার এ উপাদানগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা– লিখিত উপাদান অলিখিত উপাদান ।
ইতিহাসের বিষয়বস্তুঃ ইতিহাস কেবল কিছু ঘটনা সমষ্টি নয় । ঘটনার অন্তরালে যে তথ্য লুকিয়ে আছে তাকে উদঘাটন করাই হলো ইতিহাসের মূল দায়িত্ব । যুগ যুগান্তর ধরে মানুষ তার পরিবেশের সাথে সংগ্রাম করে এগিয়ে চলেছে । একসময় মানুষ ছিল গুহাবাসী ।
সেই মানুষ প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে নিরন্তর যুদ্ধ করে সমাজ গড়েছে; খাদ্য উৎপাদন করেছে, শিল্প গঠন , নগর নির্মাণ করে জীবন যাত্রা কে আরামপ্রদ করেছে ।
বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে প্রকৃতির রহস্য আবিষ্কারের চাবিকাঠি, সাহিত্য দিয়েছে ব্যথা বেদনা ও আনন্দ প্রকাশের ক্ষমতা শিল্প সুন্দরের সৃষ্টিতে উদ্ভব করেছে । মানুষ আজ নতুন নতুন সৃষ্টির কাজে নিয়োজিত ।
মানুষের এক জয়যাত্রার কাহিনি, তার সফলতা এবং বিফলতার সবকিছু ইতিহাসের উপজীব্য । তবে ইতিহাস শুধু প্রাচীনকালের বর্ণনা নয় । বরং মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপ পারস্পরিক সংঘাত ও সহযোগিতা ।
এবং যুগ যুগান্তরে মানুষের রাষ্ট্রীয় সামাজিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে বিবরণী হল ইতিহাসের মূল কথা । এসব বিষয় জানার জন্য ইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন ।
ইতিহাসের উপাদানঃ সঠিক ইতিহাস রচনার জন্য ঐতিহাসিক উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম । যেসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ঐতিহাসিক সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়, তাকে ইতিহাসের উপাদান বলা হয় ।
ইতিহাস রচনার এর উপাদানগুলোকে দু ভাগে ভাগ করা যায়। যথা লিখিত উপাদান ও অলিখিত উপাদান ।
ইতিহাসের বিষয়বস্তুঃ ইতিহাস কেবল কিছু ঘটনার সমষ্টি নয় । ঘটনার অন্তরালে যে তথ্য লুকিয়ে আছে তাকে উদঘাটন করাই হলো ইতিহাসের মূলদায়িত্ব ।
যুগ যুগান্তর ধরে মানুষ তার পরিবেশের সাথে সংগ্রাম করে এগিয়ে চলেছে এর এক সময় মানুষ ছিল গুহাবাসী । সেই মানুষ প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে নিরন্তর যুদ্ধ করে সমাজ গড়েছে ; খাদ্য উপাদান করেছে, শিল্প গঠন, নগর নির্মাণ করে জীবনযাত্রাকে আরামপ্রদ করেছে।
বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে প্রকৃতির রহস্য আবিষ্কারের চাবিকাঠি , সাহিত্য দিয়েছে ব্যথা বেদনা ও আনন্দ প্রকাশের ক্ষমতা , শিল্প সুন্দরের বৃষ্টিতে অদ্ভুত করেছে ।
মানুষ আজ নতুন নতুন সৃষ্টির কাজে নিয়োজিত । মানুষের এক জয়যাত্রার কাহিনি , তার সফলতা এবং বিফলতার সবকিছু ইতিহাসের উপজীব্য । তবে ইতিহাস শুধু প্রাচীনকালের বর্ণনা নয় ।
বরং মানুষের বিভিন্ন কার্যকলিক সংঘাত ও সহযোগিতা এবং যুগ যুগান্তরে মানুষের রাষ্ট্রীয় সামাজিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের বিবরণই হলো ইতিহাসের মূলকথা । এসব বিষয় জানার জন্য ইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন ।
ইতিহাসের স্বরুপঃ ইতিহাস স্থবির কোনো দীর্ঘশ্বাস নয় । এটি একটি চলমান জীবন । ইতিহাসের মূল বিষয় মানুষ । ইতিহাস অতীতমুখী । সত্যনিষ্ঠ তথ্যের সাহায্য অতীতকে পূর্ণগঠন করাই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য ।
ইতিহাস সর্বদা অতিকথন ও আবেগের উর্ধ্বে অবস্থান করে এবং ঘটে যাওয়া সব ঘটনা সঠিক বিবরণ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয় । ইতিহাস কখনোই থেমে থাকে না । নিরন্তর বয়ে চলা ইতিহাসের ধর্ম ।
ইতিহাস বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ।কারণ কোনো ঘটনার বর্ণনা যদি নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপিত না হয় , তাহলে সেটা আর সঠিক ইতিহাস থাকে না ।
ইতিহাসের প্রকারভেদঃ মানুষ সমাজ ও সভ্যতার প্রমো অগ্রগতি ধারাবাহিক তথ্য নির্ভর বিবরণী ইতিহাসের আলোচ্য বিষয় । আর মানবসভ্যতার এ অগ্রগতির সাথে সাথে নতুন নতুন ইতিহাস রচিত হয় ।
তাই ইতিহাসের প্রকারভেদ করা অত্যন্ত জটিল । তবে ইতিহাসের অধ্যয়ন ও আলোচনা, গবেষণার সুবিধার্থে একে দু, ভাগে ভাগ করা যায় । যথা- ভৌগলিক অবস্থানগত ইতিহাস ও বিষয়বস্তুগত ইতিহাস ।
ইতিহাসের পরিসরঃ ইতিহাসের পরিসর অত্যন্ত ব্যাপক । কারণ মানুষের দ্বারা সম্পাদনকৃত সব কাজ বা বিষয়েই ইতিহাসের পরিসরের আওতাভুক্ত মানুষের চিন্তা ধ্যান ধারণা পরিকল্পনা কার্যাবলীর সীমা যত বিস্তৃত ইতিহাসের পরিসর তত বিস্তৃত যা সমাজ ও সভ্যতার বিকাশ ও পরিবর্তনের সাথে সাথে আরো সম্প্রসারিত হচ্ছে ।
যেমন- আদিম যুগের মানুষের কর্মকান্ড খাদ্য সংগ্রহের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল । তাই ইতিহাসের পরিধিও খাদ্য সংগ্রহমূলক কর্মকাণ্ড পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল । কিন্তু বর্তমানে মানুষের কর্মকাণ্ডের পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে ইতিহাসের অরিজিত সম্প্রসারিত হচ্ছে ।
উনিশ শতকে ইতিহাসের বিষয় শুধু রাজনীতি থাকলেও মাক্রবাদের প্রচারের পর সমাজ অর্থনীতি শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাস রচিত হয়ে থাকে । এভাবে ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিষয় ইতিহাসের ্যন্ত অন্তর্ভুক্ত হয়ে তার পরিসর বৃদ্ধি করছে ।
ইতিহাস পাঠের গুরুত্বঃ যেকোনো শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানুষের সুন্দর পৃথিবীর গঠনের স্বপ্নকে পার্থক্য করা । আর ইতিহাস মানুষকে সেই সাধনার গোপন মন্ত্র শেখায় । ইতিহাস মানুষের কল্পনাশক্তি ও যুক্তিবোধের বিকাশ ঘটায় ।
অতীতের উত্থান পতনের ইতিহাস মানুষকে ভবিষ্যতের জন্য সঠিক পথ নির্দেশ করে । ভালো ও মন্দের পার্থক্য এবং সত্য নির্ণয়ে ইতিহাস সাহায্য করে । ইতিহাস অতীতের ক্ষীণ আলোতে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিশ্বকে চিনতে শেখায় ।
ইতিহাসের মাধ্যমে মানুষ নিজ জাতি ও দেশ সম্পর্কের ধারণা লাভ করে । সুতরাং দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তির প্রয়োজনে ইতিহাস অধ্যায়ন অত্যন্ত জরুরি । এ ছাড়াও ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব অনুধাবনের জন্য আরো কিছু বিষয় উল্লেখ করা যায় । যেমন-
১।জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধিঃ তিয়াস অতীতের বস্তুনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষের জ্ঞানের সীমাকে বৃদ্ধি করে । আর এ বিবরণ যদি ও জাতির সফলতার হয়, তবে তা মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে । সেদিক থেকে জাতীয়তাবোধ জাতীয় সংহতি সুদৃঢ়করণে ইতিহাস পাঠের বিকল্প নেই ।
২। সচেতনতা বৃদ্ধিঃ ইতিহাসের মাধ্যমে বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর উত্থান পতন এবং বিকাশ সম্পর্কে জানতে পারা যায় । ফলে মানুষ ভালো ও মন্দের পার্থক্য বুঝতে পারে এবং মিস কর্মের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন হয় ।
৩। মননশীলতার পরিচয় নির্ণয়ঃ ইতিহাস মানুষের সামনে অতীত কীর্তিকে তুলে ধরার পাশাপাশি সেগুলোর পেছনে লুক্কায়িত সৃজনশীল উদ্দেশ্যগুলো উপস্থাপন করে । ফলে মানুষ মননশীল চেতনার পরিচয় নির্ণয় করতে পারে ।
৪। বিশ্বের মূলধারার আর সাথে পরিচিতিঃ ইতিহাস কোনো একটি দুটি জাতির বর্ণনা নয় । এখানে বিশ্বের সব জাতি গোষ্ঠী সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় । এ সকল জ্ঞান মানুষকে বিশ্বের মূলধারার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং প্রত্যেকটি মানুষ যেন উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করে ।
৫। বুদ্ধিবৃত্তির অনুশীলনঃ ইতিহাস বুদ্ধিবৃত্তির অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষকে জ্ঞানী করে । তাই জ্ঞান অর্জনের জন্য ইতিহাস পাঠ করা জরুরী । কেননা ইতিহাস পাঠ ছাড়া জ্ঞানের পূর্ণতা আসে না । সুতরাং উন্নত জাতি গঠনের জন্য অবশ্যই ইতিহাস পাঠ করতে হবে ।
৬। দেশপ্রেম মনোভাব সৃষ্টিঃ অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, কোনো জাতির ঐতিহ্য ও গৌরবের ইতিহাস বই জাতিকে উৎসাহিত করে । ইতিহাসে সুন্নিবেশিত থাকে কোনো জাতির গৌরবগাথা জাতির অগ্রগতি যুদ্ধের জয় পরাজয় ইত্যাদি ।
ইতিহাস পাঠ করে একটি জাতি তার সঠিক পরিচয় জানতে পারে, যা তাদের মধ্যে জাতীয় চেতনার বিকাশ ঘটায় এবং দেশপ্রেম মনোভাব সৃষ্টি করে ।
৭। ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করেঃ প্রত্যেক জাতির ইতিহাস তার ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে । ইতিহাস কোনো জাতি অতীতে রেখে যাওয়া কোনো সামগ্রী স্থাপত্য ভাস্কর্য মুদ্রারা শিলালিপি ইত্যাদি সংরক্ষণ করে ।
এগুলো ইতিহাসের খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এগুলোই কোন জাতির ঐতিহ্যের কাহিনীর জন্ম দেয় এবং নতুন প্রজন্মের গৌরবের বিষয় হয় প্রকাশিত হয় ।
৮।মানবমনের দিগন্তকে প্রসারিত করেঃ বর্তমানের প্রতি মানুষের যেমন দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, তেমনিভাবে অতীতকেও ভবিষ্যতের দাবি পূরণ করতে হয় ।
অতীতের মানুষ কিভাবে এসব দায়িত্ব পালন করেছে , ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে তা জানা যায় । এভাবে ইতিহাস পাঠ মানুষকে উদ্ধার করে এবং মানুষের মনের দিগন্তকে প্রসারিত করে ।
৯। আন্তর্জাতিক মৈত্রী প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেঃ আমরা সবাই জানি মানুষ বিভিন্ন জাতিতে বিরক্ত । বিচিত্র তাদের রীতিনীতি আইন-কানুন আচার ব্যবহার পোশাক পরিচ্ছদ এবং খাদ্য ।
কিন্তু এ বিভিন্নতার মধ্যেও মনের ভেতর থেকে মানুষের মধ্যে একটি ঐক্যের বন্ধন রয়েছে । ইতিহাস পাঠ মানুষের এ বোধটিকেই যায় গিয়ে তোলে যা মানুষের মধ্যে আন্তর্জাতিক মৈত্রী প্রতিষ্ঠার পথকে প্রশস্ত করে