জগদীশচন্দ্র বসু একজন বিখ্যাত ভারতীয় পদার্থবিদ এবং উদ্ভিদ জীববিজ্ঞানী। তিনি উদ্ভিদদেহে জীবন্ত প্রাণের উপস্থিতি প্রমাণ করেছিলেন। তিনিই প্রথম উদ্ভিদদেহে বৈদ্যুতিক প্রবাহের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। তার এই আবিষ্কার উদ্ভিদবিদ্যা এবং পদার্থবিদ্যায় একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
জগদীশচন্দ্র বসু ১৮৫৮ সালের ৩০শে নভেম্বর হুগলি জেলার মেটিয়াবুরুজে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হুগলি কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
জগদীশচন্দ্র বসু ১৮৯৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি সেখানে পদার্থবিদ্যা এবং উদ্ভিদবিদ্যা পড়িয়েছেন। তিনি ১৯১৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
জগদীশচন্দ্র বসুর উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারগুলির মধ্যে রয়েছে:
- উদ্ভিদদেহে বৈদ্যুতিক প্রবাহের অস্তিত্ব আবিষ্কার
- উদ্ভিদদেহে জীবন্ত প্রাণের উপস্থিতি প্রমাণ
- উদ্ভিদদেহে আলোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া প্রমাণ
- উদ্ভিদদেহে ট্রান্সমিশন ইলেকট্রোমিক্রোস্কোপি আবিষ্কার
জগদীশচন্দ্র বসু তার আবিষ্কারের জন্য অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন। তিনি ১৯১৫ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পদক লাভ করেন। তিনি ১৯৩০ সালে লন্ডন রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন।
জগদীশচন্দ্র বসু একজন খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ছিলেন। তার আবিষ্কারগুলি উদ্ভিদবিদ্যা এবং পদার্থবিদ্যায় একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি ভারতীয় বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
জগদীশচন্দ্র বসু বিখ্যাত হওয়ার আরও কয়েকটি কারণ হল:
- তিনি একজন সফল শিক্ষক ছিলেন। তিনি তার ছাত্রদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তুলতেন।
- তিনি একজন সফল গবেষক ছিলেন। তিনি তার গবেষণায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন।
- তিনি একজন সফল সাংবাদিক ছিলেন। তিনি বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন নিবন্ধ লিখেছেন এবং জনসাধারণের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য কাজ করেছেন।
জগদীশচন্দ্র বসু একজন আদর্শ বিজ্ঞানী ছিলেন। তার জীবন ও কাজ আমাদের অনুপ্রেরণা।