জন্ম ও শিক্ষা
কিম জং উন ১৯৮২ বা ১৯৮৩ সালে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা কিম জং ইল উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন এবং তাঁর মা কো ইয়ং হুই ছিলেন একজন চিকিৎসক।
কিম জং উন সুইজারল্যান্ডের বের্নেতে একটি ভিন্ন নামে পড়াশোনা করেছেন। তিনি সুইজারল্যান্ডের একটি প্রিপারেটরি স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন, কিন্তু পরে তিনি একটি পাবলিক স্কুলে স্থানান্তরিত হন। তিনি ২০০০ সালে সুইজারল্যান্ড থেকে স্নাতক হন।
রাজনৈতিক জীবন
কিম জং উন ২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়ার কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। তিনি ২০১০ সালে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য হন। ২০১১ সালে তাঁর বাবা কিম জং ইল মারা গেলে তিনি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হন।
কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার একজন স্বৈরশাসক। তিনি উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার জনগণকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন।
বৈদেশিক সম্পর্ক
কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক নীতিতে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছেন। তিনি ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন-এর সাথে একটি শান্তি প্রস্তাবনা গ্রহণ করেন।
তিনি ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সাথে তিনটি বৈঠক করেছেন। তবে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনও চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
ব্যক্তিগত জীবন
কিম জং উন রি সোল জুকে বিয়ে করেছেন। তাঁদের একটি কন্যা রয়েছে।
কিম জং উনের সমালোচনা
কিম জং উনকে তার স্বৈরাচারী শাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জন্য সমালোচনা করা হয়েছে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলির দ্বারা একটি শত্রু হিসেবে বিবেচিত হয়।
জন্ম ও মৃত্যু
কিম জং উন ১৯৮২ বা ১৯৮৩ সালে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা কিম জং ইল উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন এবং তাঁর মা কো ইয়ং হুই ছিলেন একজন চিকিৎসক।
কিম জং উনের মৃত্যুর সঠিক তারিখ জানা যায় না। তবে, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর, উত্তর কোরিয়া সরকার ঘোষণা করে যে কিম জং উন ২২ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁর বয়স ছিল ৩৯ বছর।
কিম জং উনের মৃত্যুর পর, তাঁর ছোট বোন কিম ইয়ো জং উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
কিম জং উনের জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ নিম্নরূপ:
জন্ম: ১৯৮২ বা ১৯৮৩
মৃত্যু: ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩
কিম জং উন কোন ধর্মের
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের ধর্ম সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে, তিনি একজন কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ, এবং কমিউনিজম সাধারণত ধর্মবিরোধী। উত্তর কোরিয়ায় সরকারিভাবে কোনও ধর্ম নেই, এবং সরকার ধর্মকে জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে চায়।
কিম জং উনের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তিনি সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন, যেখানে তিনি সম্ভবত বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে শিখে থাকতে পারেন। তিনি তার বাবা কিম জং ইল-এর মতোই একজন ধর্মবিরোধী হতে পারেন, অথবা তিনি অন্য কোনও ধর্ম গ্রহণ করতে পারেন।
কিম জং উনের ধর্ম সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও, তিনি একজন কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ এবং উত্তর কোরিয়ায় সরকারিভাবে কোনও ধর্ম নেই, এই তথ্যগুলি থেকে বলা যায় যে তিনি কোনও ধর্ম পালন করেন না।
কিম জং উনের ধর্ম সম্পর্কে কিছু সম্ভাব্য ধারণা হল:
- তিনি কোনও ধর্ম পালন করেন না।
- তিনি একজন ধর্মবিরোধী।
- তিনি একজন গোপন ধর্মাবলম্বী।
কিম জং উনের ধর্ম সম্পর্কে সত্যিই জানার একমাত্র উপায় হল যদি তিনি নিজেই এটি প্রকাশ করেন। তবে, যেহেতু তিনি একজন গোপনীয় ব্যক্তি এবং তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়, তাই এটি অসম্ভাব্য।
এখানে কিম জং উনের ধর্ম সম্পর্কে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে যা আমাদের ধারণা দেয় যে তিনি কোনও ধর্ম পালন করেন না:
- তিনি একজন কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ, এবং কমিউনিজম সাধারণত ধর্মবিরোধী।
- উত্তর কোরিয়ায় সরকারিভাবে কোনও ধর্ম নেই, এবং সরকার ধর্মকে জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে চায়।
- কিম জং উনের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়, এবং তিনি সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন, যেখানে তিনি সম্ভবত বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে শিখে থাকতে পারেন।
এই তথ্যগুলি থেকে আমরা অনুমান করতে পারি যে কিম জং উন একজন ধর্মবিরোধী, বা তিনি কোনও ধর্ম পালন করেন না।
কে হচ্ছেন কিম জং উনের উত্তরসূরি?
কিম জং উনের উত্তরসূরি হিসেবে তার ছোট বোন কিম ইয়ো জংকে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
কিম ইয়ো জং উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি তার ভাইয়ের সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন, এবং তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে পরিচিত। তিনি একজন কট্টরপন্থী কমিউনিস্ট, এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার বর্তমান নীতিগুলিকে অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিম ইয়ো জংয়ের উত্তরসূরি হওয়ার ঘোষণাটি উত্তর কোরিয়ার রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রথম মহিলা নেতা, এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের জং পরিবারের শাসনকে অব্যাহত রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কিম ইয়ো জংয়ের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যত কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত। তবে, তিনি একজন যোগ্য এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নেতা, এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারেন।
কিম জং উনেরও পছন্দ বিলাসবহুল ট্রেন
কিম জং উনেরও পছন্দ বিলাসবহুল ট্রেন। তিনি তার দাদা কিম ইল সুং এবং বাবা কিম জং ইলের মতোই বিলাসবহুল ট্রেনে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন।
কিম জং উনের বিলাসবহুল ট্রেনটিকে “তাইয়েংহো” বলা হয়, যার অর্থ “সূর্য”। এই ট্রেনটি ৯০টি বগি নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক কনফারেন্স রুম, ছোট থিয়েটার, একাধিক বেডরুম, স্যাটেলাইট ফোন, বড় আকারের টেলিভিশন সেট এবং লাল চামড়ায় মোড়ানো চেয়ার। ট্রেনটিতে একটি বাহিনীও রয়েছে যা কিম জং উনের নিরাপত্তা রক্ষা করে।
কিম জং উন তার বিলাসবহুল ট্রেনে উত্তর কোরিয়ার ভিতরে এবং বাইরে ভ্রমণ করেন। তিনি এই ট্রেনটি ব্যবহার করে চীন, রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশগুলিতেও ভ্রমণ করেছেন।
কিম জং উনের বিলাসবহুল ট্রেনটি উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা এবং ঐতিহ্যের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। এটি কিম জং উনের নেতৃত্বের অবস্থান এবং উত্তর কোরিয়ার আন্তর্জাতিক মর্যাদাকে প্রদর্শন করে।
মেয়েকে উত্তরসূরি করছেন কিম জং উন?
কিম জং উনের মেয়ে কিম জু-আয়েকে উত্তরসূরি হিসেবে তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, কিম জং উন তার মেয়েকে একাধিক সামরিক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছিলেন, যা তার উত্তরসূরি হওয়ার সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করেছিল।
কিম জং উন একজন কট্টরপন্থী কমিউনিস্ট, এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের জং পরিবারের শাসনকে অব্যাহত রাখতে চান। তার মেয়ে কিম জু-আয়ে একজন তরুণ এবং দক্ষ নেত্রী, এবং তিনি কিম জং উনের নীতিগুলিকে অব্যাহত রাখার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।
কিম জু-আয়ে কিম জং উনের দ্বিতীয় সন্তান। তিনি ২০১২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পিতার সাথে সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন, এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার সামরিক এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
কিম জু-আয়ে এখনও খুব কম বয়সী, এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। তবে, তিনি একজন সম্ভাব্য উত্তরসূরি, এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
কিম জং উনের মেয়ে কিম জু-আয়েকে উত্তরসূরি হিসেবে তৈরি করার সম্ভাবনা সম্পর্কে কিছু বিশেষজ্ঞের মতামত নিম্নরূপ:
- কিম ইয়ো-হই, দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিয়ানস অ্যান্ড টেকনোলজির একজন নৃবিজ্ঞানী, বলেন যে কিম জু-আয়েকে উত্তরসূরি হিসেবে তৈরি করার সম্ভাবনা বেশি, কারণ তিনি একজন তরুণ এবং দক্ষ নেত্রী, এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের জং পরিবারের শাসনকে অব্যাহত রাখতে পারেন।
- মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড, ওয়াশিংটন ইন্সটিটিউট ফর পলিসি অ্যানালাইসিসের একজন উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ, বলেন যে কিম জু-আয়েকে উত্তরসূরি হিসেবে তৈরি করার সম্ভাবনা কম, কারণ তিনি এখনও খুব কম বয়সী এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার সামরিক এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পাননি।
কিম জং উনের মেয়ে কিম জু-আয়েকে উত্তরসূরি হিসেবে তৈরি করা হবে কিনা তা এখনই বলা মুশকিল। তবে, তিনি একজন সম্ভাব্য উত্তরসূরি, এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।