পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কতকিলোমিটার-এক ক্লিকে জানুন

পদ্মা সেতুর মোট খরচ ছিল ৩০,১৯৩ কোটি টাকা। এটি নির্মাণে প্রায় ৮ বছর সময় লেগেছে। সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়েছিল।

পদ্মা সেতুর নির্মাণে ব্যয়ের মধ্যে ছিল:

• সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণ: ১২,১৩৩ কোটি টাকা
• নদী শাসন: ৭,০৬০ কোটি টাকা
• অন্যান্য খরচ: ১০,০০০ কোটি টাকা

পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন। সেতুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।

পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ানোর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

• পদ্মা নদীর ভৌত অবস্থা: পদ্মা নদী একটি বড় এবং গভীর নদী। এর উপর সেতু নির্মাণের জন্য বিশেষ ধরনের প্রযুক্তি এবং উপকরণ ব্যবহার করতে হয়েছিল।
• নদী শাসন: পদ্মা নদীর ভাঙন রোধ করার জন্য নদী শাসন কাজ করা হয়েছিল। এটি একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।
• অন্যান্য খরচ: সেতুর নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ, পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য খরচও হয়েছিল।

পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি ছিল একটি চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্ত। তবে, সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ সেতুটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

২০২৩ সালের ১০ জুলাই, পদ্মা সেতুর ব্যয় সংশোধন করে ৩২,৬৩৮ কোটি টাকা করা হয়। এটি মূল ব্যয়ের চেয়ে ২,৪৪৫ কোটি টাকা বেশি। ব্যয় বাড়ানোর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

• প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি: পদ্মা সেতু নির্মাণের মেয়াদ ছিল ছয় বছর। তবে, এটি নির্মাণে প্রায় আট বছর সময় লেগেছে।
• নদী শাসন কাজের বিলম্ব: পদ্মা নদীর ভাঙন রোধ করার জন্য নদী শাসন কাজ করা হয়েছিল। এই কাজটি নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হয়নি।
• অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি: জমি অধিগ্রহণ, পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ানোর ফলে সেতুর টোল বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

পদ্মা সেতুর টোল তালিকা