কলকাতার নতুন শেরিফ অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। তিনি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তিনি প্রখ্যাত চিকিৎসক স্বপন কুমার ঘোষের স্থলাভিষিক্ত হন।
রঞ্জিত মল্লিক একজন জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেতা। তিনি ১৯৭০ সালে মৃণাল সেন পরিচালিত “ইন্টারভিউ” চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি তার অভিনয় জীবনে অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি ৭ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ৫ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, এবং ১ বার পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেছেন।
রঞ্জিত মল্লিকের শেরিফ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়কাল এক বছর। এই সময়কালে তিনি কলকাতার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। তিনি কলকাতার রাষ্ট্রীয় অতিথিদেরও অভ্যর্থনা জানাবেন।
রঞ্জিত মল্লিকের শেরিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন কলকাতার জন্য একটি গৌরবময় ঘটনা। তিনি একজন জনপ্রিয় এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তিনি এই পদে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কলকাতার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথম জীবন
রঞ্জিত মল্লিক ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৪ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ির সন্তান। এই বাড়ি দুর্গাপূজার জন্য বিখ্যাত। তাঁর ডাকনাম রঞ্জু। তিনি আশুতোষ কলেজ এবং পরে শ্যামাপ্রসাদ কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন।
রঞ্জিত মল্লিকের পিতা উপেন্দ্রচন্দ্র মল্লিক একজন শিশুসাহিত্যিক এবং মাতা অঞ্জনা মল্লিক একজন গৃহিণী। তার পিতামহ বাঙালি বিজ্ঞানী ইন্দুমাধব মল্লিক।
রঞ্জিত মল্লিকের অভিনয় জীবনের শুরু হয় ১৯৭০ সালে মৃণাল সেনের “ইন্টারভিউ” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন তরুণ সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক ক্যালভি পুরস্কারে ভূষিত হন।
১৯৭২ সাল থেকে তিনি একজন খ্যাতিমান রোমান্টিক অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বিখ্যাত মৌচাক, দেবী চৌধুরানী, রাগ অনুরাগ, স্বয়ং সিদ্ধা প্রভৃতি চলচ্চিত্রে সাফল্যের সাথে অভিনয় করেন। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত শাখা-প্রশাখায়ও তিনি অভিনয় করেন।
রঞ্জিত মল্লিক তার অভিনয় জীবনে অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি ৭ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ৫ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, এবং ১ বার পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেছেন।
রঞ্জিত মল্লিক একজন জনপ্রিয় এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন সফল অভিনেতা, একজন ভালো মানুষ, এবং একজন দেশপ্রেমিক। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
রঞ্জিত মল্লিকের প্রথম জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিম্নরূপ:
- ১৯৪৪ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ।
- আশুতোষ কলেজ এবং পরে শ্যামাপ্রসাদ কলেজ থেকে পড়াশোনা।
- ১৯৭০ সালে মৃণাল সেনের “ইন্টারভিউ” চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবন শুরু।
- ১৯৭২ সালে একজন খ্যাতিমান রোমান্টিক অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ।
- বিখ্যাত মৌচাক, দেবী চৌধুরানী, রাগ অনুরাগ, স্বয়ং সিদ্ধা প্রভৃতি চলচ্চিত্রে অভিনয়।
- সত্যজিৎ রায় পরিচালিত শাখা-প্রশাখায় অভিনয়।
- ৭ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ৫ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, এবং ১ বার পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ।
রঞ্জিত মল্লিকের প্রথম জীবনের এই ঘটনাগুলো তাকে একজন সফল অভিনেতা এবং একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
চলচ্চিত্র জীবন
রঞ্জিত মল্লিকের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু হয় ১৯৭০ সালে মৃণাল সেনের “ইন্টারভিউ” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন তরুণ সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় প্রশংসিত হয় এবং তিনি আন্তর্জাতিক ক্যালভি পুরস্কারে ভূষিত হন।
১৯৭২ সাল থেকে তিনি একজন খ্যাতিমান রোমান্টিক অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বিখ্যাত মৌচাক, দেবী চৌধুরানী, রাগ অনুরাগ, স্বয়ং সিদ্ধা প্রভৃতি চলচ্চিত্রে সাফল্যের সাথে অভিনয় করেন। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত শাখা-প্রশাখায়ও তিনি অভিনয় করেন।
রঞ্জিত মল্লিক তার অভিনয় জীবনে অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি ৭ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ৫ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, এবং ১ বার পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেছেন।
তিনি একজন বহুমুখী অভিনেতা। তিনি রোমান্টিক, নাটকীয়, এবং কৌতুকপূর্ণ চরিত্রে সমানভাবে সফল। তিনি বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, যেমন: সামাজিক, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, এবং প্রণয়।
রঞ্জিত মল্লিক বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি একজন সফল অভিনেতা, একজন ভালো মানুষ, এবং একজন দেশপ্রেমিক।
রঞ্জিত মল্লিকের চলচ্চিত্র জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:
- ইন্টারভিউ (১৯৭০)
- মৌচাক (১৯৭২)
- দেবী চৌধুরানী (১৯৭৫)
- রাগ অনুরাগ (১৯৭৬)
- স্বয়ং সিদ্ধা (১৯৭৮)
- শাখা-প্রশাখা (১৯৮৩)
- তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩)
- অগ্নিযুগ (১৯৮১)
- চিত্রাঙ্গদা (১৯৭৬)
- বারুদ (১৯৯৬)
- শ্যামল ছায়া (১৯৯৬)
- লভ স্টোরি (১৯৯৭)
- শ্যামল ঘোঘ (২০০৪)
- পোস্ত (২০০৯)
- বাদশাহী আংটি (২০১৪)
রঞ্জিত মল্লিক তার অভিনয় জীবনে অসংখ্য বাঙালি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি একজন কালজয়ী অভিনেতা, যিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
চলচ্চিত্রের তালিকা
রঞ্জিত মল্লিকের চলচ্চিত্রের তালিকা নিম্নরূপ:
প্রথম দিককার চলচ্চিত্র
ইন্টারভিউ (১৯৭০)
মধুমতি (১৯৭১)
শঙ্খচিল (১৯৭২)
মৌচাক (১৯৭২)
গঙ্গা (১৯৭৩)
তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩)
দেবী চৌধুরানী (১৯৭৫)
অন্তরে অন্তরে (১৯৭৬)
রাগ অনুরাগ (১৯৭৬)
গণশত্রু (১৯৭৭)
স্বয়ং সিদ্ধা (১৯৭৮)
পরবর্তীকালের চলচ্চিত্র
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত শাখা-প্রশাখা (১৯৮৩)
অগ্নিযুগ (১৯৮১)
চিত্রাঙ্গদা (১৯৭৬)
বারুদ (১৯৯৬)
শ্যামল ছায়া (১৯৯৬)
লভ স্টোরি (১৯৯৭)
শ্যামল ঘোঘ (২০০৪)
পোস্ত (২০০৯)
বাদশাহী আংটি (২০১৪)
রঞ্জিত মল্লিক তার অভিনয় জীবনে অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি একজন বহুমুখী অভিনেতা। তিনি রোমান্টিক, নাটকীয়, এবং কৌতুকপূর্ণ চরিত্রে সমানভাবে সফল। তিনি বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, যেমন: সামাজিক, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, এবং প্রণয়।
রঞ্জিত মল্লিক বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি একজন সফল অভিনেতা, একজন ভালো মানুষ, এবং একজন দেশপ্রেমিক।
রঞ্জিত মল্লিকের বাংলা সিনেমা
রঞ্জিত মল্লিক একজন জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেতা। তিনি ১৯৭০ সালে মৃণাল সেন পরিচালিত “ইন্টারভিউ” চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি তার অভিনয় জীবনে অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি ৭ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ৫ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, এবং ১ বার পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেছেন।
রঞ্জিত মল্লিকের বাংলা সিনেমার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হল:
ইন্টারভিউ (১৯৭০): এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন তরুণ সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় প্রশংসিত হয় এবং তিনি আন্তর্জাতিক ক্যালভি পুরস্কারে ভূষিত হন।
মৌচাক (১৯৭২): এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন রোমান্টিক যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে এবং রঞ্জিত মল্লিককে একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
দেবী চৌধুরানী (১৯৭৫): এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা তরুণের চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং রঞ্জিত মল্লিককে একজন গুণী অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি দেয়।
রাগ অনুরাগ (১৯৭৬): এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং রঞ্জিত মল্লিককে একজন বহুমুখী অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
স্বয়ং সিদ্ধা (১৯৭৮): এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন সাধুর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং রঞ্জিত মল্লিককে একজন সফল অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি দেয়।
রঞ্জিত মল্লিক বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি একজন সফল অভিনেতা, একজন ভালো মানুষ, এবং একজন দেশপ্রেমিক।