মেসির দ্য মেশিন অফ ‘৮৭ অর্জন
লিওনেল মেসির “দ্য মেশিন অফ ‘৮৭” নামে পরিচিত একটি অনন্য কীর্তির রেকর্ড রয়েছে। তিনি ১৯৮৭ সালের ২৪শে জুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এবং তার জন্মবর্ষের সাথে মিল রেখে, তিনি ৮৭তম মিনিটে তার প্রথম গোল করেন, ৮৭তম ম্যাচে তার প্রথম হ্যাটট্রিক করেন, এবং ৮৭তম ম্যাচে তার ১০০তম গোল করেন।
মেসির এই কীর্তির রেকর্ডটি নিম্নরূপ:
- প্রথম গোল: ১৭ই মে, ২০০৫, বার্সেলোনা বনাম হেতাফে, ৮৭তম মিনিট
- প্রথম হ্যাটট্রিক: ২রা এপ্রিল, ২০০৭, বার্সেলোনা বনাম উয়েলভা, ৮৭তম, ৮৮তম, এবং ৮৯তম মিনিট
- ১০০তম গোল: ১৭ই আগস্ট, ২০১২, বার্সেলোনা বনাম এলচ, ৮৭তম মিনিট
মেসির এই কীর্তির রেকর্ডটি অবিশ্বাস্য, এবং এটি তার অসাধারণ প্রতিভা এবং দক্ষতার একটি নিদর্শন।
এখানে মেসির এই কীর্তির রেকর্ডের আরও বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে:
- প্রথম গোল: মেসি তার প্রথম গোলটি করেন ২০০৫ সালের ১৭ই মে, বার্সেলোনা বনাম হেতাফে ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে। তিনি একটি দুর্দান্ত ড্রিবলিং অভিযানের পর গোলটি করেন।
- প্রথম হ্যাটট্রিক: মেসি তার প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেন ২০০৭ সালের ২রা এপ্রিল, বার্সেলোনা বনাম উয়েলভা ম্যাচের ৮৭তম, ৮৮তম, এবং ৮৯তম মিনিটে। তিনি এই ম্যাচে তিনটি দুর্দান্ত গোল করেন, যা বার্সেলোনাকে ২-১ ব্যবধানে জয়লাভ করতে সাহায্য করে।
- ১০০তম গোল: মেসি তার ১০০তম গোলটি করেন ২০১২ সালের ১৭ই আগস্ট, বার্সেলোনা বনাম এলচ ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে। তিনি এই ম্যাচে একটি দুর্দান্ত গোল করেন, যা বার্সেলোনাকে ৪-০ ব্যবধানে জয়লাভ করতে সাহায্য করে।
মেসির এই কীর্তির রেকর্ডটি বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে একটি অনন্য অর্জন। এটি তার অসাধারণ প্রতিভা এবং দক্ষতার একটি নিদর্শন, এবং এটি তাকে একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
গ্রোথ হরমোনের সমস্যায় মেসির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
হ্যাঁ, লিওনেল মেসির গ্রোথ হরমোনের সমস্যা তার ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছিল। তার বয়স যখন ১০ বছর, তখন তার গ্রোথ হরমোনের ঘাটতি ধরা পড়ে। এই সমস্যার কারণে তার উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল।
মেসির পরিবার তার চিকিৎসার জন্য অর্থের অভাবের কারণে সমস্যায় পড়েছিল। তবে, বার্সেলোনা ক্লাব তার চিকিৎসার খরচ বহন করতে সম্মত হয়েছিল। মেসির চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হতো।
মেসি ১২ বছর বয়স থেকে গ্রোথ হরমোন ইনজেকশন নিতে শুরু করেন। এই চিকিৎসার ফলে তার উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি হয়েছিল।
মেসির গ্রোথ হরমোনের সমস্যা তার খেলোয়াড়ী জীবনকে প্রভাবিত করেছিল। তিনি স্বাভাবিক উচ্চতার খেলোয়াড়দের তুলনায় কিছুটা কম শক্তিশালী ছিলেন। তবে, তার অসাধারণ প্রতিভা এবং দক্ষতার কারণে তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে আবির্ভূত হন।
মেসির গ্রোথ হরমোনের সমস্যা তার ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছিল, কিন্তু তার অসাধারণ প্রতিভা এবং দক্ষতার কারণে তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে আবির্ভূত হন।
বার্সেলোনা ক্লাবে মেসির যাত্রা
লিওনেল মেসি তার গ্রামের বার্সেলোনা একাডেমিতে খেলতে শুরু করেন। তার প্রতিভা দেখে বার্সেলোনা ক্লাব তাকে ১২ বছর বয়সে তাদের যুব দলে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
মেসির পরিবার তার চিকিৎসার জন্য অর্থের অভাবের কারণে সমস্যায় পড়েছিল। তবে, বার্সেলোনা ক্লাব তার চিকিৎসার খরচ বহন করতে সম্মত হয়েছিল।
মেসি ১২ বছর বয়স থেকে গ্রোথ হরমোন ইনজেকশন নিতে শুরু করেন। এই চিকিৎসার ফলে তার উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি হয়েছিল।
মেসি বার্সেলোনা যুব দলের হয়ে দুর্দান্ত খেলছিলেন। তিনি তার দলের হয়ে অনেক গোল করেছিলেন। ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর, পোর্তোর বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে মেসি বার্সেলোনা প্রথম দলের হয়ে অভিষেক করেন। তিনি তখন মাত্র ১৬ বছর এবং ১৪৫ দিন বয়সী ছিলেন।
মেসি দ্রুত বার্সেলোনা প্রথম দলের মূল খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন। তিনি তার দলের হয়ে অনেক গোল করেছিলেন এবং অনেক শিরোপা জিতেছিলেন। মেসি ২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনায় খেলেছেন।
এই সময়ে তিনি ৭৭৮টি ম্যাচে ৬৭২টি গোল করেছেন এবং ৩০৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন। তিনি বার্সেলোনাকে ১০টি লা লিগা শিরোপা, ৭টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা, ৪টি কোপা দেল রে শিরোপা, ৩টি সুপারকোপা দে এস্পানা শিরোপা এবং ৩টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জিতিয়েছেন।
২০২১ সালে মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে যোগ দেন।
মেসির বার্সেলোনা ক্লাবে যাত্রা ছিল এক অসাধারণ সাফল্যের গল্প। তিনি বার্সেলোনাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবে পরিণত করতে সাহায্য করেছেন। তিনি বার্সেলোনা সমর্থকদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
মেসির বার্সেলোনা ক্লাবে কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জন হল:
- ১০টি লা লিগা শিরোপা
- ৭টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা
- ৪টি কোপা দেল রে শিরোপা
- ৩টি সুপারকোপা দে এস্পানা শিরোপা
- ৩টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা
- ৬টি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার
- ৬টি ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট পুরস্কার
- ৬টি পিচিচি পুরস্কার
- ১০টি বার্সেলোনা গোল্ডেন বুট পুরস্কার
মেসি বার্সেলোনা ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম সফল খেলোয়াড়। তিনি বার্সেলোনাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবে পরিণত করতে সাহায্য করেছেন। তিনি বার্সেলোনা সমর্থকদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
