মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন বিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক। তিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে “মজলুম জননেতা” হিসাবে সমধিক পরিচিত।
তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের আসামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন এবং ১৯১০ সালে আসামে কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯১৯ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন এবং ১৯২৩ সালে আসাম প্রাদেশিক কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৪০ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে তিনি যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নেতা ছিলেন এবং যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের পর তিনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করলে তিনি গৃহবন্দি হন। ১৯৬২ সালে সামরিক শাসন প্রত্যাহারের পর তিনি মুক্তি পান এবং ১৯৬৬ সালে তিনি ছয় দফা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি যুদ্ধকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
মাওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য অবদানগুলো হলো:
- তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে, কৃষক আন্দোলনে, যুক্তফ্রন্ট আন্দোলনে, ছয় দফা আন্দোলনে ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।
- তিনি পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন ও বাংলা ভাষার অধিকারের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেন।
- তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
মাওলানা ভাসানী বাংলাদেশের একজন জাতীয় নেতা এবং তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র।
শৈশবজীবন
মাওলানা ভাসানীর শৈশবজীবন ছিল দারিদ্র্য ও অভাব-অনটনের মধ্যে। তিনি ১২ ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে ব্রিটিশ ভারতের আসামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার তেরখাদা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৌলভী আবদুল জলিল এবং মাতার নাম ফাতিমা খাতুন।
মাওলানা ভাসানীর বাবা ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও একজন সাধারণ কৃষক। মাওলানা ভাসানী ছোটবেলা থেকেই ধর্ম ও শিক্ষার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি গ্রামের মক্তবে পড়াশোনা শুরু করেন এবং পরে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করেন।
মাওলানা ভাসানী ১২ বছর বয়সে দারুল উলুম দেওবন্দে চলে যান। দেওবন্দে তিনি দীর্ঘ ৮ বছর শিক্ষা গ্রহণ করেন। দেওবন্দে পড়াশোনা করার সময় তিনি ইসলামি শিক্ষা ও রাজনীতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
মাওলানা ভাসানী ১৯০০ সালে দেওবন্দ থেকে দেশে ফিরে আসেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি মাদ্রাসা ছাত্রদের মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী চেতনা জাগ্রত করতে শুরু করেন।
মাওলানা ভাসানীর শৈশবজীবন ছিল দারিদ্র্য ও অভাব-অনটনের মধ্যে। কিন্তু তিনি তার কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে একজন মহান নেতা হিসেবে গড়ে তোলেন।
শিক্ষাজীবন
মাওলানা ভাসানীর শিক্ষাজীবন ছিল খুবই কঠোর ও পরিশ্রমের। তিনি গ্রামের মক্তবে পড়াশোনা শুরু করেন এবং পরে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করেন।
১২ বছর বয়সে মাওলানা ভাসানী দারুল উলুম দেওবন্দে চলে যান। দেওবন্দে তিনি দীর্ঘ ৮ বছর শিক্ষা গ্রহণ করেন। দেওবন্দে পড়াশোনা করার সময় তিনি ইসলামি শিক্ষা ও রাজনীতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
মাওলানা ভাসানী দেওবন্দ থেকে দেশে ফিরে আসেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি মাদ্রাসা ছাত্রদের মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী চেতনা জাগ্রত করতে শুরু করেন।
মাওলানা ভাসানীর শিক্ষাজীবন নিম্নরূপ:
- প্রাথমিক শিক্ষা: গ্রামের মক্তবে
- মাধ্যমিক শিক্ষা: স্থানীয় মাদ্রাসা
- উচ্চশিক্ষা: দারুল উলুম দেওবন্দ
মাওলানা ভাসানী ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। তিনি খুব অল্প সময়েই ইসলামি শিক্ষা ও রাজনীতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। তার শিক্ষাজীবন তাকে একজন মহান নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
মাওলানা ভাসানীর শিক্ষাজীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো হলো:
- তিনি ১২ বছর বয়সে দারুল উলুম দেওবন্দে চলে যান।
- তিনি দেওবন্দে দীর্ঘ ৮ বছর শিক্ষা গ্রহণ করেন।
- তিনি দেওবন্দে পড়াশোনা করার সময় ইসলামি শিক্ষা ও রাজনীতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
- তিনি মাদ্রাসা ছাত্রদের মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী চেতনা জাগ্রত করতে শুরু করেন।