নীলিমা ইব্রাহিম কে
১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৭২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৭৪-৭৫ সালে তিনি বাংলা একাডেমির অবৈতনিক মহাপরিচালক ছিলেন।
নীলিমা ইব্রাহিমের কর্মজীবন ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তিনি একজন মেধাবী শিক্ষক, একজন দক্ষ গবেষক এবং একজন সমাজ-সচেতন মানুষ ছিলেন। তিনি তার ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ও প্রবণতা জাগ্রত করতে সক্ষম হন।
তিনি তার গবেষণায় বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি একজন সমাজকর্মী হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি নারী অধিকার ও নারী উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন।
নীলিমা ইব্রাহিমের উল্লেখযোগ্য রচনাবলীর মধ্যে রয়েছে:
- সামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমিকায় ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা নাটক (১৯৫৯)
- বাংলা কথাসাহিত্যে নারী (১৯৬৯)
- আমি বীরাঙ্গনা বলছি (১৯৭২)
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (১৯৮৬)
- বাংলা সাহিত্যে নারীবাদী চেতনা (২০০২)
নীলিমা ইব্রাহিমের কর্ম ও অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন। ১৯৭৫ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
নীলিমা ইব্রাহিম ছিলেন একজন অসামান্য ব্যক্তিত্ব। তিনি তার মেধা, সাহস ও দৃঢ়চেতা মনোবলের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা, সাহিত্য ও সমাজব্যবস্থায় গভীর প্রভাব ফেলেছেন। তিনি একজন আদর্শ নারী ও একজন জাতীয় স্তরের ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
নীলিমা ইব্রাহিমের মৃত্যুর পর তার স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগে একটি স্মৃতিচারণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা নীলিমা ইব্রাহিমের কর্ম ও অবদানের প্রশংসা করেন।
তারা বলেন, নীলিমা ইব্রাহিম ছিলেন একজন সত্যিকারের শিক্ষাবিদ, একজন দক্ষ গবেষক এবং একজন সমাজসেবী। তার মৃত্যু বাংলাদেশের শিক্ষা, সাহিত্য ও সমাজব্যবস্থার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
নীলিমা ইব্রাহিমের জীবন ও কর্ম আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। তিনি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন যে, একজন নারী যেকোনো ক্ষেত্রে সফল হতে পারে। তিনি একজন আদর্শ নারী ও একজন জাতীয় স্তরের ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।