নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে। হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে, হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।
বাসনা বসে মন অবিরত, ধায় দশ দিশে পাগলের মতো। স্থির-আঁখি তুমি মরমে সতত জাগিছ শয়নে স্বপনে।
সবাই ছেড়েছে, নাই যার কেহ, তুমি আছ তার আছে তব স্নেহ– নিরাশ্রয় জন, পথ যার যেও সেও আছে তব ভবনে।
তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর, সমুখে অনন্ত জীবন বিস্তার, কালপারাবার করিতেছ পার কেহ নাহি জানে কেমনে।
জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি, তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি, যত পাই তোমায় আরো তত যাচি, যত জানি তত জানি নে।
জানি আমি তোমায় পাব নিরন্তর লোকলোকান্তরে যুগযুগান্তর– তুমি আর আমি মাঝে কেহ নাই, কোনো বাধা নাই ভুবনে।
অর্থ
এই কবিতাটিতে কবি তাঁর প্রেমিকা/প্রেমিকের প্রতি গভীর ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি তাঁর প্রেমিকার/প্রেমিকের উপস্থিতি অনুভব করছেন, কিন্তু তাঁকে চোখে দেখতে পারছেন না। তিনি তাঁর প্রেমিকার/প্রেমিকের ভালবাসা এবং স্নেহের জন্য পথ চেয়ে আছেন। তিনি তাঁর প্রেমিকার/প্রেমিকের সাথে চিরকাল একসাথে থাকার আশা করছেন।
কবিতাটিতে কবি তাঁর প্রেমিকা/প্রেমিকের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁর প্রেমিকার/প্রেমিকের জন্য পাগল হয়ে আছেন। তিনি তাঁর প্রেমিকার/প্রেমিকের সাথে চিরকাল একসাথে থাকার স্বপ্ন দেখেন।
কবিতাটির ভাষা ও ছন্দ
এই কবিতাটিতে কবি সহজ ও সরল ভাষায় তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি সাতচরণী ছন্দে এই কবিতাটি রচনা করেছেন।
শেষ চিঠি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ চিঠিটি তাঁর কন্যা রবীন্দ্রনাথকে লেখা। চিঠিটি ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট লেখা হয়েছিল। চিঠিটিতে তিনি তাঁর কন্যার প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও স্নেহের কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি তাঁর কন্যাকে তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা থেকে কিছু শিক্ষা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
চিঠির সম্পূর্ণ পাঠ নিম্নরূপ:
প্রিয় রবীন্দ্রনাথ,
আজ ৭ আগস্ট, ১৯৪১। আজ আমার বয়স ৮০ বছর। আমার জীবনের শেষ সময় এসে গেছে। আমি জানি, আমি আর বেশিদিন বাঁচব না।
আমি তোমাকে চিঠি লিখছি কারণ আমি তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা ও স্নেহ প্রকাশ করতে চাই। আমি তোমাকে আমার জীবনের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা থেকে কিছু শিক্ষা গ্রহণ করার পরামর্শ দিতে চাই।
আমার জীবনে আমি অনেক সুখ-দুঃখ দেখেছি। আমি অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। কিন্তু আমি সবসময় চেষ্টা করেছি সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি মানুষের সেবা করতে।
আমি তোমাকে বলতে চাই, জীবনে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে হবে। মানুষের সেবা করতে হবে। ভালোবাসা ও সহানুভূতি দিয়ে জীবনকে সুন্দর করে তুলতে হবে।
আমি তোমাকে আমার জীবনের কিছু শিক্ষা দিয়েছি। তুমি সেই শিক্ষাগুলিকে মনে রাখবে এবং তোমার জীবনে কাজে লাগাবে বলে আমি আশা করি।
আমি তোমার প্রতি আমার আশীর্বাদ রইল।
তোমার স্নেহময় পিতা,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চিঠিটির মূল বিষয়বস্তু
চিঠিটির মূল বিষয়বস্তু হলো রবীন্দ্রনাথের কন্যা রবীন্দ্রনাথের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও স্নেহ এবং তাঁকে তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা থেকে কিছু শিক্ষা গ্রহণ করার পরামর্শ।
চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যাকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে, মানুষের সেবা করতে এবং ভালোবাসা ও সহানুভূতি দিয়ে জীবনকে সুন্দর করে তুলতে বলেছেন।
চিঠিটিতে রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যাকে তাঁর জীবনের কিছু শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি তাঁর কন্যাকে বলেছেন যে, জীবনে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে হবে, মানুষের সেবা করতে হবে এবং ভালোবাসা ও সহানুভূতি দিয়ে জীবনকে সুন্দর করে তুলতে হবে।
যেদিন উদিলে তুমি, বিশ্বকবি, দূর সিন্ধুপারে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যেদিন উদিলে তুমি, বিশ্বকবি, দূর সিন্ধুপারে, সেদিনই আলো জ্বলে উঠল আমাদের প্রাণের আকাশে। তোমার সুরের ঝংকার ভেসে এল পূর্ব-পশ্চিমের মাঝে, তোমার কবিতার মধুর সুবাসে মরুর বুক জুড়ে হল ফুলে ফুলে ভরে।
তোমার গান শুনে ভারতের যুবক-যুবতীরা জেগে উঠল, তোমার লেখার আলোয় তাদের অন্ধকার দূর হল। তোমার প্রেমের উন্মাদনায় তারা ছুটে চলল নব জীবনের সন্ধানে, তোমার আহ্বানে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ল স্বাধীনতার লড়াইয়ে।
তোমার কবিতা গেয়ে তারা আকাশ পানে চেয়ে উঠল, তোমার গান শুনে তারা যুদ্ধের রণক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তোমার লেখার আলোয় তারা দেখল নতুন দিনের স্বপ্ন, তোমার প্রেমের উন্মাদনায় তারা ছুটে চলল স্বাধীনতার আকাশে।
তোমার কবিতা আজও আমাদের হৃদয়ের গভীরে রয়েছে, তোমার গান আজও আমাদের কানে বাজে। তোমার লেখার আলোয় আমরা আজও আলোকিত, তোমার প্রেমের উন্মাদনায় আমরা আজও নব জীবনের সন্ধানে।
অর্থ
এই কবিতাটিতে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বকবি হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গান এবং লেখা ভারতের মানুষের জীবনে আলোর দিশারী হিসেবে কাজ করেছে।
কবিতাটিতে কবি রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গান এবং লেখার প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, রবীন্দ্রনাথের কবিতা ভারতের যুবক-যুবতীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগ্রত করেছে। রবীন্দ্রনাথের গান ভারতের মানুষকে স্বাধীনতার লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করেছে। রবীন্দ্রনাথের লেখা ভারতের মানুষকে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে।
কবিতাটিতে কবি রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গান এবং লেখার গুরুত্ব সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, রবীন্দ্রনাথের কবিতা আজও ভারতের মানুষের হৃদয়ের গভীরে রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের গান আজও ভারতের মানুষের কানে বাজে। রবীন্দ্রনাথের লেখা আজও ভারতের মানুষের আলোকিত করেছে।
কবিতাটির ভাষা ও ছন্দ
এই কবিতাটিতে কবি সহজ ও সরল ভাষায় তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি পয়ার ছন্দে এই কবিতাটি রচনা করেছেন।
অকর্মার বিভ্রাট
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
লাঙল কাঁদিয়া বলে ছাড়ি দিয়ে গলা, “তুই কোথা হতে এলি ওরে ভাই ফলা?” যেদিন আমার সাথে তোরে দিল জুড়ি সেই দিন হতে মোর মাথা-খোঁড়াখুঁড়ি।
ফলা কহে, ভালো ভাই, আমি যাই খ’সে, দেখি তুমি কী আরামে থাক ঘরে ব‘সে।
ফলাখানা টুটে গেল, হলুখানা তাই খুশি হয়ে পড়ে থাকে, কোনো কর্ম নাই।
চাষা বলে, এ আপদ আর কেন রাখা, এরে আজ চলা করে ধরাইব আখা।
হল বলে, ওরে ফলা, আয় ভাই ধেয়ে- খাটুনি যে ভালো ছিল জ্বলুনির চেয়ে।
অর্থ
এই ছড়াটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন অকর্মার বিভ্রাটের চিত্র তুলে ধরেছেন। ছড়ার শুরুতে দেখা যায় যে, লাঙল এবং ফলা দুটোই একসাথে কাজ করছিল। কিন্তু একদিন ফলা ভেঙে গেলে লাঙল একা কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
ফলা তখন লাঙলকে বলে যে, সে ঘরে বসে থাকবে এবং লাঙলকে কাজ করতে হবে। লাঙল এতে অসন্তুষ্ট হয়ে ফলাকে ধরে আখায় আঁটকে দেয়। ফলা তখন লাঙলকে বোঝায় যে, কাজ না করে ঘরে বসে থাকার চেয়ে কাজ করে কষ্ট করা ভালো।
ছড়াটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অকর্মার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, অকর্মা মানুষ শুধু নিজের ক্ষতি করেই না, অন্যদেরও ক্ষতি করে। তাই অকর্মা মানুষকে উৎসাহিত করা উচিত কাজ করার জন্য।
ছড়াটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহজ ও সরল ভাষায় তাঁর ভাব প্রকাশ করেছেন। তিনি ছন্দের ব্যবহার করে ছড়াটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছেন।
অন্তর মম বিকশিত করো
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অন্তর মম বিকশিত করো, অন্তরতর হে। নির্মল করো, উজ্জ্বল করো, সুন্দর করো হে।
জাগ্রত করো, উদ্যত করো, নির্ভয় করো হে। মঙ্গল করো, নিরলস নিঃসংশয় করো হে।
যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে, মুক্তি করো হে বন্ধ। সঞ্চার করো সকল কর্মে শান্ত তোমার ছন্দ।
চরণপদ্মে মম চিত নিষ্পন্দিত করো হে। নন্দিত করো হে, অন্তরতর হে।
অর্থ
এই কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অন্তরকে বিকশিত করার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন। তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন যে, তাঁর অন্তরকে নির্মল, উজ্জ্বল এবং সুন্দর করুন। তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন যে, তাঁর অন্তরকে জাগ্রত, উদ্যত এবং নির্ভয় করুন।
তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন যে, তাঁর অন্তরকে মঙ্গলময় এবং নিঃসংশয় করুন। তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন যে, তাঁর অন্তরকে সকলের সঙ্গে যুক্ত করুন এবং সকল বন্ধন থেকে মুক্ত করুন।
তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন যে, তাঁর অন্তরের সকল কর্মে তাঁর শান্ত ছন্দ সঞ্চার করুন। তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন যে, তাঁর অন্তরকে তাঁর চরণপদ্মে নিষ্পন্দিত করুন এবং তাঁকে নন্দিত করুন।
এই কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন ধার্মিক মানুষের আধ্যাত্মিক অনুভূতির কথা তুলে ধরেছেন। তিনি একজন ধার্মিক মানুষ হিসেবে ঈশ্বরের কাছে তাঁর অন্তরকে বিকশিত করার জন্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন যে, তাঁর অন্তরকে এমনভাবে গড়ে তুলুন যাতে সে ভালোবাসা, সহানুভূতি, সম্প্রীতি এবং শান্তির উৎস হয়ে উঠতে পারে।