রুই মাছ – শ্রেণীবিন্যাস ও বাহ্যিক গঠন

রুই মাছ (Labeo rohita): হল একটি বড়, দ্রুত বর্ধনশীল মাছ যা মিষ্টি জলে পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় মাছ। রুই মাছ একটি সুস্বাদু মাছ যা বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়।

রুই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Labeo rohita। এটি সিপ্রিনিফর্মেস বর্গের অন্তর্গত। রুই মাছের দেহ লম্বা এবং চ্যাপ্টা। মাথা বড় এবং মুখ ছোট। চোখ ছোট এবং মুখের কোণে অবস্থিত। রুই মাছের গায়ে ছোট ছোট আঁইশ থাকে। মাছের রঙ ধূসর বা বাদামী হয়।

রুই মাছ সাধারণত 30-40 সেন্টিমিটার লম্বা হয়। তবে, কিছু রুই মাছ 1 মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। রুই মাছ সাধারণত 5-10 বছর বাঁচে।

রুই মাছ মিষ্টি জলে বাস করে। এটি সাধারণত নদী, খাল, বিল এবং পুকুরে পাওয়া যায়। রুই মাছ সাধারণত 25-30 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বাস করে।

রুই মাছ একটি তৃণভোজী মাছ। এটি সাধারণত শেওলা, জলজ উদ্ভিদ এবং পোকামাকড় খায়।

রুই মাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য মাছ। এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় খাবার। রুই মাছ বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। এটি ভাজা, পোড়া, সিদ্ধ, ভুনা বা মাছের ঝোল দিয়ে খাওয়া যায়।

রুই মাছের পুষ্টিগুণ

রুই মাছ একটি পুষ্টিকর মাছ। এটি প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি ভাল উৎস। রুই মাছের প্রতি 100 গ্রামে প্রায় 20 গ্রাম প্রোটিন, 1 গ্রাম চর্বি এবং 100 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।

রুই মাছের উপকারিতা

রুই মাছ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি ভাল উৎস। রুই মাছ খাওয়ার ফলে শরীরের পেশী গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।

রুই মাছ চাষ

রুই মাছ একটি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মাছ। এটি বাংলাদেশে এবং ভারতে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। রুই মাছ চাষের জন্য সাধারণত পুকুর বা খাঁচা ব্যবহার করা হয়। রুই মাছ চাষের জন্য একটি ভালো মানের মাটি এবং পরিষ্কার জল প্রয়োজন। রুই মাছ চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা।

রুই মাছের কিছু রোগ

রুই মাছের কিছু সাধারণ রোগ হল:

  • ইনফেকশন: রুই মাছ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
  • পুষ্টির অভাব: রুই মাছ পুষ্টির অভাবে ভুগতে পারে।
  • পরজীবী: রুই মাছ বিভিন্ন ধরনের পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

রুই মাছের রোগ প্রতিরোধের জন্য ভালো মানের খাবার খাওয়ানো, পরিষ্কার জল সরবরাহ করা এবং মাছগুলিকে রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী করার জন্য ওষুধ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

রুই মাছের শ্রেণিবিন্যাস

রুই মাছের শ্রেণিবিন্যাস নিম্নরূপ:

  • পর্ব: কর্ডাটা (Chordata)
  • উপপর্ব: ভার্টিব্রাটা (Vertebrata)
  • মহাশ্রেণী: Gnathostomata
  • শ্রেণী: Actinopterygii
  • বর্গ: Cypriniformes
  • পরিবার: Cyprinidae
  • গণ: Labeo
  • প্রজাতি: Labeo rohita

রুই মাছ সিপ্রিনিফর্মেস বর্গের অন্তর্গত। এই বর্গের মাছগুলির দেহ সাধারণত লম্বা এবং চ্যাপ্টা হয়। মাথা ছোট এবং মুখ বড়। চোখ ছোট এবং মুখের কোণে অবস্থিত। গায়ে ছোট ছোট আঁইশ থাকে।

রুই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Labeo rohita। এই নামটি গ্রীক শব্দ “labeo” থেকে এসেছে, যার অর্থ “মুখ” এবং “rohita” থেকে এসেছে, যার অর্থ “লাল”। এই নামটি মাছের মুখের আকৃতি এবং দেহের লালচে বর্ণের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে।

রুই মাছ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। এটি ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন এবং মালয়েশিয়ায়ও পাওয়া যায়।

রুই মাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য মাছ। এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় খাবার। রুই মাছ বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। এটি ভাজা, পোড়া, সিদ্ধ, ভুনা বা মাছের ঝোল দিয়ে খাওয়া যায়।

Labeo rohita –বাহ্যিক গঠন

Labeo rohita, যা সাধারণত রুই মাছ নামে পরিচিত, একটি বড়, দ্রুত বর্ধনশীল মাছ যা মিষ্টি জলে পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় মাছ।

বাহ্যিক গঠন

রুই মাছের বাহ্যিক গঠন নিম্নরূপ:

  • দেহ: রুই মাছের দেহ লম্বা এবং চ্যাপ্টা। দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত 30-40 সেন্টিমিটার হয়। তবে, কিছু রুই মাছ 1 মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
  • মাথা: রুই মাছের মাথা বড়। মাথার উপরে একটি ছোট টিউব থাকে যা নাসিকা গহ্বরকে বাতাসের সাথে সংযুক্ত করে।
  • মুখ: রুই মাছের মুখ ছোট এবং আঁকাবাঁকা। মুখের সামনে দুটি বারবেল থাকে যা মাছকে খাবার খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
  • চোখ: রুই মাছের চোখ ছোট এবং মুখের কোণে অবস্থিত।
  • আঁইশ: রুই মাছের গায়ে ছোট ছোট আঁইশ থাকে। আঁইশগুলি মাছেকে শত্রু থেকে রক্ষা করে।
  • লেজ: রুই মাছের লেজ চ্যাপ্টা এবং বড়। লেজ মাছকে সাঁতার কাটতে সাহায্য করে।

দেহ

রুই মাছের দেহ লম্বা এবং চ্যাপ্টা। দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত 30-40 সেন্টিমিটার হয়। তবে, কিছু রুই মাছ 1 মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। দেহের রঙ সাধারণত ধূসর বা বাদামী হয়। দেহের পাশে একটি লম্বা কালো রেখা থাকে।

মাথা

রুই মাছের মাথা বড়। মাথার উপরে একটি ছোট টিউব থাকে যা নাসিকা গহ্বরকে বাতাসের সাথে সংযুক্ত করে। মাথার দুপাশে দুটি বড় কান থাকে যা মাছকে শব্দ শুনতে সাহায্য করে।

মুখ

রুই মাছের মুখ ছোট এবং আঁকাবাঁকা। মুখের সামনে দুটি বারবেল থাকে যা মাছকে খাবার খুঁজে পেতে সাহায্য করে। বারবেলগুলি মাছের মুখের সামনের দিকে থাকে এবং মাছের স্পর্শকাতর অঙ্গ হিসাবে কাজ করে।

চোখ

রুই মাছের চোখ ছোট এবং মুখের কোণে অবস্থিত। চোখগুলি মাছকে দেখতে সাহায্য করে।

আঁইশ

রুই মাছের গায়ে ছোট ছোট আঁইশ থাকে। আঁইশগুলি মাছেকে শত্রু থেকে রক্ষা করে। আঁইশগুলি মাছের দেহকে একটি শক্ত বাহিনী দেয় যা শত্রুদের থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

লেজ

রুই মাছের লেজ চ্যাপ্টা এবং বড়। লেজ মাছকে সাঁতার কাটতে সাহায্য করে। লেজটি মাছের দেহের পিছনে অবস্থিত এবং মাছকে জলে দ্রুত সাঁতার কাটতে সাহায্য করে।

বাহ্যিক গঠন এবং খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে সম্পর্ক

রুই মাছের বাহ্যিক গঠন তার খাদ্যাভ্যাসের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। রুই মাছ একটি তৃণভোজী মাছ এবং শেওলা, জলজ উদ্ভিদ এবং পোকামাকড় খায়। রুই মাছের লম্বা এবং চ্যাপ্টা দেহ তাকে জলে দ্রুত সাঁতার কাটতে সাহায্য করে। মাছের ছোট চোখ তাকে ঝোপঝাড়ের মধ্যে খাবার খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *