পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কাজ কি?
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কাজের ধরন মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত:
সমিতি পর্যায়ে কাজ: পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আর্থিক উন্নয়নে সহায়তা করা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যাংক গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠন করে। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই সমিতির সাথে কাজ করে। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে:
- সমিতির সদস্যদের সঞ্চয় জমা করা,
- সমিতির সদস্যদের ঋণ প্রদান,
- সমিতির সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান,
- সমিতির কার্যক্রম তদারকি করা।
ব্যাংক শাখা পর্যায়ে কাজ: পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শাখা রয়েছে। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই শাখাগুলোতে কাজ করে। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে:
- গ্রাহকদের সঞ্চয় জমা গ্রহণ,
- গ্রাহকদের ঋণ প্রদান,
- গ্রাহকদের হিসাব পরিচালনা,
- ব্যাংকের অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কাজের সুযোগ-সুবিধা বেশ ভালো। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকারি চাকরির সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও, ব্যাংকের নিজস্ব কিছু সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে। যেমন,
- বেতন: পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সরকারি চাকরির বেতন স্কেলে।
- ভাতা: পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাতা রয়েছে। যেমন, ভ্রমণ ভাতা, বিনোদন ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ইত্যাদি।
- পেনশন: পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অবসর ভাতা ও পেনশন সুবিধা রয়েছে।
- প্রশিক্ষণ: পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ সুবিধা রয়েছে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কাজের জন্য যোগ্যতা নির্ভর করে পদ ও বিভাগের উপর। তবে সাধারণভাবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কাজের জন্য যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন সেগুলো হল:
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
- বয়স: সাধারণত ৩০ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।
- অভিজ্ঞতা: প্রয়োজন অনুযায়ী।
- ভাষা দক্ষতা: বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা।
- কম্পিউটার দক্ষতা: কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যার পরিচালনায় দক্ষতা।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চাকরির জন্য আবেদন করতে হলে ব্যাংকের ওয়েবসাইট www.pallisanchaybank.gov.bd থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। আবেদন ফরম পূরণ করে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ব্যাংকের নির্ধারিত ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটি বাংলাদেশ সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন একটি বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকটির প্রধান লক্ষ্য দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আর্থিক উন্নয়নে সহায়তা করা।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মূল কার্যক্রম হল:
- গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠন ও পরিচালনা
- সমিতির সদস্যদের সঞ্চয় জমা গ্রহণ
- সমিতির সদস্যদের ঋণ প্রদান
- সমিতির সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান
- সমিতির কার্যক্রম তদারকি করা
ব্যাংকের বর্তমানে ৪৮৫টি উপজেলায় ৪৮৫টি শাখা রয়েছে।
নোটিশ বোর্ড
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক নোটিশ বোর্ড
ক্রমিক নম্বর: ২৭১৯
তারিখ: ১০ জানুয়ারী, ২০২৪
বিষয়: সাময়িক বরখাস্তের আদেশ
মোঃ সাইফুল ইসলাম (এস-৫৪৯),
কম্পিউটার অপারেটর,
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক,
রামগতি শাখা,
লক্ষীপুর।
আপনি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের রামগতি শাখায় কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত। আপনার বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত অভিযোগ আনা হয়েছে:
- আপনি সরকারি কর্মচারী হিসাবে আপনার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন।
- আপনি অফিসের সময় অফিসের বাইরে ছিলেন।
- আপনি আপনার দায়িত্বের বাইরে অন্য কাজ করেছেন।
উক্ত অভিযোগের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হল।
আপনি সাময়িক বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের নিকট কারণ দর্শানোর আবেদন করতে পারবেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক
ঢাকা
কর্মসম্পদন ব্যবস্থাপনা
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কর্মসম্পদন ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যাংকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য দক্ষ ও যোগ্য কর্মীদের প্রয়োজন। কর্মসম্পদন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কর্মসম্পদন ব্যবস্থাপনার মূলনীতি হল:
- কর্মীদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
- কর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তোলা।
- কর্মীদের মধ্যে আন্তরিকতা ও সহযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তোলা।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কর্মসম্পদন ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিম্নরূপ:
- কর্মীদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা মূল্যায়ন: ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়। এতে তাদের কাজের পরিমাণ, মান, সময়মতো কাজ সম্পাদন, গ্রাহকসেবা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়।
- কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান: কর্মীদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ যেমন, মৌলিক প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ ইত্যাদি প্রদান করা হয়।
- কর্মীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান: কর্মীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। এতে বেতন, ভাতা, প্রমোশন, পদোন্নতি, পেনশন ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কর্মসম্পদন ব্যবস্থাপনার কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- দূরবর্তী এলাকায় শাখা থাকা: ব্যাংকের অনেক শাখা দূরবর্তী এলাকায় অবস্থিত। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা মূল্যায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
- সীমিত সংস্থান: ব্যাংকের সংস্থান সীমিত। এতে কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা কঠিন হয়ে পড়ে।
- কর্মীদের মনোভাব: কিছু কর্মীর কর্মসম্পদন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। এতে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে ওঠে না।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কর্মসম্পদন ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
- কর্মীদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা মূল্যায়নের পদ্ধতি উন্নত করা।
- কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সংস্থান বরাদ্দ করা।
- কর্মীদের কর্মসম্পদন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এতে ব্যাংকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়তা হবে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে নীতিমালা, আইন ও বিধি সমূহ
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা, আইন ও বিধিমালা রয়েছে। এই নীতিমালা, আইন ও বিধিমালাগুলো ব্যাংকের কার্যক্রমকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনায় সহায়তা করে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নীতিমালা, আইন ও বিধিমালাগুলো নিম্নরূপ:
- পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন, ২০১৪: এই আইনটি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয়াবলি নির্ধারণ করে।
- পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৫: এই বিধিমালাটি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের পরিচালনা পদ্ধতি, ব্যবস্থাপনা কাঠামো ও কার্যাবলি নির্ধারণ করে।
- পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (কর্মকর্তা/কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানমালা, ২০২২: এই প্রবিধানমালাটি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি সম্পর্কিত বিষয়াবলি নির্ধারণ করে।
- পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের গ্রাহক সেবা নীতিমালা, ২০২০: এই নীতিমালাটি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের গ্রাহকদের সেবা প্রদানের বিষয়াবলি নির্ধারণ করে।
- পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণ নীতিমালা, ২০২১: এই নীতিমালাটি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণ প্রদানের বিষয়াবলি নির্ধারণ করে।
এই নীতিমালা, আইন ও বিধিমালাগুলো ছাড়াও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের পরিপত্র ও নির্দেশনা জারি করে। এই পরিপত্র ও নির্দেশনাগুলোও ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নীতিমালা, আইন ও বিধিমালাগুলো ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গ্রাহকদের অভিযোগের দ্রুত ও সুষ্ঠু সমাধানের মাধ্যমে ব্যাংকের সুনাম ও ভাবমূর্তি রক্ষা করা সম্ভব।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা নিম্নরূপ:
- গ্রাহক অভিযোগ কেন্দ্র: ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় একটি গ্রাহক অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রে গ্রাহকরা তাদের অভিযোগ দাখিল করতে পারেন।
- ওয়েবসাইট: ব্যাংকের ওয়েবসাইটে একটি অভিযোগ ফর্ম রয়েছে। গ্রাহকরা এই ফর্ম পূরণ করে তাদের অভিযোগ দাখিল করতে পারেন।
- টেলিফোন: গ্রাহকরা ব্যাংকের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন।
গ্রাহক অভিযোগ কেন্দ্রে দাখিলকৃত অভিযোগগুলোর তদন্ত করা হয়। তদন্তের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয় এবং অভিযোগের যথাযথ সমাধান করা হয়।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
- গ্রাহকদের অভিযোগ দাখিলের প্রক্রিয়া সহজ করা।
- গ্রাহকদের অভিযোগের তদন্ত দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা।
- অভিযোগের যথাযথ সমাধান নিশ্চিত করা।
এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর করা সম্ভব হবে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনার কিছু উল্লেখযোগ্য দিক নিম্নরূপ:
- গ্রাহকদের অভিযোগ দাখিলের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
- অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে।
- অভিযোগের যথাযথ সমাধান নিশ্চিত করার জন্য একটি মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে।
এই দিকগুলোর কারণে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা একটি কার্যকর ব্যবস্থাপনা হিসেবে বিবেচিত হয়।