সাইরু হিল রিসোর্ট

সাইরু হিল রিসোর্টের মালিক কে

সাইরু হিল রিসোর্টের মালিক হলেন মো. শাহজাহান আলম। তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং বান্দরবানের একজন স্থানীয় ব্যক্তি। তিনি ২০০৮ সালে সাইরু হিল রিসোর্ট প্রতিষ্ঠা করেন। রিসোর্টটি বান্দরবান জেলার নীলগিরি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এটি একটি পাঁচ তারকা রিসোর্ট এবং এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।

মো. শাহজাহান আলম বান্দরবানের একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। তিনি বান্দরবানের একটি বড় হোটেল চেইন এবং একটি পরিবহন সংস্থার মালিক। তিনি বান্দরবানের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

সাইরু হিল রিসোর্টের মালিকানা সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে রিসোর্টের ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে রিসোর্টটি মো. শাহজাহান আলমের মালিকানাধীন একটি বেসরকারি কোম্পানি, সাইরু হিল রিসোর্টস্ লিমিটেড।

আর্কেশিয়া অ্যাওয়ার্ড পেল বান্দরবানের সাইরু রিসোর্ট

হ্যাঁ, বান্দরবানের সাইরু হিল রিসোর্ট ২০২৩ সালে আর্কেশিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। আর্কেশিয়া অ্যাওয়ার্ড হল স্থাপত্যের একটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার যা প্রতি বছর এশিয়া মহাদেশে প্রদান করা হয়। সাইরু হিল রিসোর্টকে “পরিবেশবান্ধব স্থাপত্যে অসামান্য অবদান” এর জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

সাইরু হিল রিসোর্টটি বান্দরবান জেলার নীলগিরি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। রিসোর্টটি তার পরিবেশবান্ধব স্থাপত্যের জন্য পরিচিত। রিসোর্টটিতে বাঁশ, বেত, এবং কাঠের মতো প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। রিসোর্টটিতে সৌর শক্তি এবং জল সংরক্ষণের মতো ব্যবস্থাও রয়েছে।

সাইরু হিল রিসোর্টের স্থাপত্যটিকে “বাংলাদেশের স্থাপত্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। রিসোর্টটি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।

আর্কেশিয়া অ্যাওয়ার্ডের জুরি বোর্ডের সদস্যরা সাইরু হিল রিসোর্টের স্থাপত্য সম্পর্কে বলেন:

“সাইরু হিল রিসোর্টটি বাংলাদেশের স্থাপত্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এটি একটি পরিবেশবান্ধব স্থাপনা যা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। রিসোর্টটি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।”

সাইরু হিল রিসোর্টের মালিক মো. শাহজাহান আলম বলেন:

“আমি আর্কেশিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়ে খুব খুশি। এই পুরস্কারটি আমাদের পরিবেশবান্ধব স্থাপত্য এবং আমাদের প্রতিশ্রুতির জন্য একটি স্বীকৃতি। আমরা এই পুরস্কারটি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য উৎসর্গ করছি

সাইরু হিল রিসোর্ট, ১ মাসে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি

২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর, ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর বান্দরবানের সাইরু হিল রিসোর্টে অভিযান চালায়। অভিযানে তারা উদ্ধার করে যে, সাইরু হিল রিসোর্ট ২০১৮ সাল থেকে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে। শুধুমাত্র ২০২২ সালের অক্টোবরে, সাইরু হিল রিসোর্ট প্রকৃত বিক্রয় গোপন করে ১৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর বলছে, সাইরু হিল রিসোর্ট ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করলেও তা যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি। ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে।

এই ঘটনায় সাইরু হিল রিসোর্টের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

সাইরু হিল রিসোর্টের এই ভ্যাট ফাঁকির ঘটনাটি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা। ভ্যাট ফাঁকি দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর এবং এটি পর্যটন শিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।

সাইরু হিল রিসোর্টের এই ভ্যাট ফাঁকির ঘটনাটি থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা উচিত।

বান্দরবানের সাইরু হিল রিসোর্টে অভিযান

বান্দরবানের সাইরু হিল রিসোর্টে অভিযান একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভিজ্ঞতা অর্জনের। রিসোর্টটি নীলগিরি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এবং এটি থেকে আশেপাশের পাহাড় এবং বনাঞ্চলের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

সাইরু হিল রিসোর্টে অভিযানের জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে। আপনি রিসোর্টের নিজস্ব গাইডদের সাথে একটি গাইডেড ট্যুর করতে পারেন, বা আপনি নিজেই একটি অভিযানের পরিকল্পনা করতে পারেন।

গাইডেড ট্যুরগুলি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট রুটে পরিচালিত হয় এবং তারা ভ্রমণকারীদের কাছে রিসোর্টের ইতিহাস এবং স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। গাইডেড ট্যুরগুলির খরচ সাধারণত প্রতি ব্যক্তি প্রতি ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত।

নিজে থেকে অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য, আপনাকে রিসোর্টের কাছ থেকে একটি অনুমতি নিতে হবে। অনুমতির জন্য, আপনাকে আপনার নাম, ঠিকানা, এবং অভিযানের পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। অনুমতির খরচ সাধারণত প্রতি ব্যক্তি প্রতি ২০০ টাকা।

নিজে থেকে অভিযানের জন্য, আপনাকে আপনার নিজের খাবার, জল, এবং সরঞ্জাম নিতে হবে। রিসোর্টের কাছ থেকে ভাড়ায় সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

সাইরু হিল রিসোর্টে অভিযানের জন্য এখানে একটি সম্ভাব্য রুট রয়েছে:

  • দিন ১: রিসোর্ট থেকে যাত্রা শুরু করুন এবং একটি ছোট পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছান। চূড়া থেকে আশেপাশের পাহাড় এবং বনাঞ্চলের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করুন।
  • দিন ২: একটি আরও বড় পাহাড়ের চূড়ায় যাত্রা করুন। চূড়া থেকে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত উপভোগ করুন।
  • দিন ৩: রিসোর্টে ফিরে যান।

এই রুটটি একটি মৌলিক অভিযান এবং এটি প্রায় দুই দিন সময় নেয়। আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে রুটটি পরিবর্তন করতে পারেন।

সাইরু হিল রিসোর্টে অভিযান একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভিজ্ঞতা অর্জনের। এটি একটি চ্যালেঞ্জিং এবং পুরস্কৃত অভিজ্ঞতা হতে পারে যা ভ্রমণকারীদের মনে চিরকাল থাকবে।

এখানে সাইরু হিল রিসোর্টে অভিযানের জন্য কিছু টিপস দেওয়া হল:

  • প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিন। আপনার সাথে পর্যাপ্ত খাবার, জল, এবং সরঞ্জাম নিতে ভুলবেন না।
  • আপনার শারীরিক অবস্থার জন্য পরিকল্পনা করুন। অভিযানটি একটি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তাই আপনার শারীরিক অবস্থার জন্য পরিকল্পনা করুন।
  • নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত থাকুন। আপনার সাথে একটি প্রথম-সাহায্য কিট এবং একটি যোগাযোগের ব্যবস্থা নিন।
  • স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। স্থানীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন এবং তাদের সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না।

এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, আপনি সাইরু হিল রিসোর্টে একটি নিরাপদ এবং উপভোগ্য অভিযান উপভোগ করতে পারেন।

বান্দরবানের সাইরু রিসোর্টের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা

হ্যাঁ, বান্দরবানের সাইরু রিসোর্টের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর, ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর বান্দরবানের সাইরু হিল রিসোর্টে অভিযান চালায়।

অভিযানে তারা উদ্ধার করে যে, সাইরু হিল রিসোর্ট ২০১৮ সাল থেকে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে। শুধুমাত্র ২০২২ সালের অক্টোবরে, সাইরু হিল রিসোর্ট প্রকৃত বিক্রয় গোপন করে ১৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

এই ঘটনার ভিত্তিতে, ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর সাইরু হিল রিসোর্টের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করে। মামলাটি চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের আদালতে দায়ের করা হয়। মামলায় সাইরু হিল রিসোর্টকে ২ কোটি ১২ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিচার চলমান। সাইরু হিল রিসোর্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাদেরকে ফাঁকিকৃত ভ্যাটের দ্বিগুণ অর্থ জরিমানা করা হতে পারে। এছাড়াও, তাদেরকে শাস্তিমূলক কারাদণ্ড হতে পারে।

সাইরু হিল রিসোর্টের ভ্যাট ফাঁকির ঘটনাটি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা। ভ্যাট ফাঁকি দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর এবং এটি পর্যটন শিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।

সাইরু হিল রিসোর্টের এই ভ্যাট ফাঁকির ঘটনাটি থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা উচিত।

বান্দরবানের কম বাজেটের সেরা রিসোর্ট

বান্দরবান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি। এটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত, যার মধ্যে রয়েছে নীলগিরি পাহাড়, কেওক্রাডং এবং বগালেক হ্রদ।

বান্দরবানে থাকার জন্য অনেকগুলি হোটেল এবং রিসোর্ট রয়েছে, তবে কম বাজেটের ভ্রমণকারীদের জন্য কিছু দুর্দান্ত বিকল্প রয়েছে।

  • মেঘবাড়ি রিসোর্ট: এই রিসোর্টটি বান্দরবান শহরের কাছাকাছি অবস্থিত এবং এটি তার পরিবেশবান্ধব স্থাপত্যের জন্য পরিচিত। রিসোর্টটিতে মাচাং এবং কটেজ রয়েছে, যার প্রতি রাতের জন্য দাম ৩,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত।
  • বন নিবাস হিল রিসোর্ট: এই রিসোর্টটি মিলনছড়ি এলাকায় অবস্থিত এবং এটি তার মনোরম পরিবেশের জন্য পরিচিত। রিসোর্টটিতে কটেজ রয়েছে, যার প্রতি রাতের জন্য দাম ২,৫০০ থেকে ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত।
    বন নিবাস হিল রিসোর্ট বান্দরবান
  • হোটেল হিল ভিউ: এই হোটেলটি বান্দরবান শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এটি তার সুবিধাজনক অবস্থানের জন্য পরিচিত। হোটেলে বিভিন্ন ধরণের রুম রয়েছে, যার প্রতি রাতের জন্য দাম ১,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত।
    হোটেল হিল ভিউ বান্দরবান
  • হোটেল নাইট হ্যাভেন: এই হোটেলটি বান্দরবান শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এটি তার সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য পরিচিত। হোটেলে বিভিন্ন ধরণের রুম রয়েছে, যার প্রতি রাতের জন্য দাম ১,০০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত।
    এই রিসোর্টগুলি সবই বান্দরবানের প্রধান পর্যটন আকর্ষণগুলির কাছে অবস্থিত এবং তারা ভ্রমণকারীদের একটি আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী মূল্যের থাকার ব্যবস্থা প্রদান করে।

    সাইরু হিল রিসোর্ট প্যাকেজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *